Home Blog Page 34

ভুটানকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ভুটানকে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলের দ্বিপক্ষীয় সভাকক্ষে স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও রানী জেটসুন পেমার সাথে বৈঠককালে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। আপনারা ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো করে আমাদের দেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারেন। এরই মধ্যে ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আপনারা চাইলে আমরা কুড়িগ্রামে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে পারি। বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেলপথসহ সব ধরনের যোগাযোগের উন্নয়ন করে যাচ্ছে।

ভুটানের রাজা পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে তার দেশে একটি প্রশাসনিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চাওয়ার কথা বলায় শেখ হাসিনা তাকে এ প্রস্তাব দেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সুখী দেশ ভুটান তাদের দেশের পরিবেশ বিপন্ন করতে চায় না। তাই প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেন, বাংলাদেশ একটি সংযোগের কেন্দ্র। ভুটান তাই আমাদের দুটি বন্দর এবং সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। কারণ আমরা সেগুলো এ উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

এ সময় ভুটানের রাজা ও রানী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুজনই বাংলাদেশে পড়ালেখা করায় বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশেষ অনুরাগ রয়েছে। তারা উভয়েই একান্তে বাংলাদেশ সফর করতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা।

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ভারত হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি ট্রানজিট পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ভুটানের এ আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে আমরা বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলব।

ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।

আখাউড়া দিয়ে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না : এনবিআর চেয়ারম্যান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, আমদানি করা পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার যেসব সুবিধা প্রয়োজন, তার সবকিছু নেই বন্দরে। সে জন্য আমরা একসঙ্গে সব পণ্যের জন্য বন্দর খুলে দিতে পারি না। যেসব পণ্যের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলোর অনুমতি অবশ্যই দেব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে স্থাপিত ব্যাগেজ স্ক্যানার বা ব্যাগের মালপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা যন্ত্রের উদ্বোধন শেষে শনিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব পণ্য সেদিক (আগরতলা) থেকে আসার সুযোগ নেই। একটি পণ্য হয়তো বছরে একবার আসবে। সেই পণ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা সেই পণ্যের ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। কারণ, সব পণ্য পরীক্ষা করার ব্যবস্থা এই বন্দরে নেই।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরে রপ্তানি চাঙা তো আমরা করতে পারি না, আমরা করিও না। আমরা দেখব কাস্টমসের নিয়ম মেনে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে কি না। শুল্ক আদায় হচ্ছে কি না। কোন জিনিসটা ওই দিকে রপ্তানি হবে, কোন জিনিসটা ওই দিক থেকে আমদানি হবে, সেটি কাস্টমস দেখতে পারবে না।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতকে নিজ দেশে পণ্য পরিবহনের সুযোগ দেওয়ায় বন্দর ও কাস্টমস রাজস্ব পাবে। পরিবহন খাতেও কিছু কর্মসংস্থান ও আয়ের জায়গা তৈরি হবে। ট্রানজিটের জন্য সড়ক ব্যবহার ও পরিবহনের জন্য মাশুল পাব আমরা।

প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশিত আয় করলেও ২০২৩ সালে কঠিন সময়ের আশঙ্কা মায়েরস্কের

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ২৩০ কোটি ডলারের সুদ ও কর পরিশোধ-পূর্ব (ইবিআইটি) রাজস্ব আয় করেছে এপি মোলার মায়েরস্ক। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই আয় তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে। এছাড়া বিশ্লেষকরা যতখানি ধারণা করেছিলেন, সেটিও ছাড়িয়ে গেছে এই শিপিং জায়ান্টের আয়ের পরিমাণ। তারপরও চলতি বছরের বাকি সময়টায় সমুদ্র পরিবহন খাতে খানিকটা মন্দাভাব থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে কোম্পানিটি।

মায়েরস্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ভিনসেন্ট ক্লার্ক জানিয়েছেন, ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ফ্রেইট রেট কমেছে ৩৭ শতাংশ। আর গত বছরের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় কমেছে ২৬ শতাংশ। মূলত এই নিম্নমুখী প্রবণতার কারণেই প্রত্যাশিত আয় করা সত্ত্বেও বছরের বাকি সময়টায় ব্যবসা মন্দা দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে মায়েরস্ক।

বন্দর কার্যক্রম বিদ্যুৎ শক্তিনির্ভর করতে ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরগুলোর কার্যক্রম বিদ্যুৎ শক্তিনির্ভর করতে এবং সেখানে কার্যরত হেভি ডিউটি কমার্শিয়াল ভেহিকলগুলো থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনা করছে বাইডেন প্রশাসন। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তার লক্ষ্যে বাড়তি ৪০০ কোটি ডলার তহবিল বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

নিজেদের বন্দর ও নৌপথগুলোর উন্নয়নে সম্প্রতি মোট ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। নতুন কর্মসূচি সেই উন্নয়ন পরিকল্পনারই অংশ বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

যেকোনো বন্দরে পণ্য হ্যান্ডলিংসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার সময় ক্রেনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা লাগে। এছাড়া বন্দরের অভ্যন্তরে ও বাইরে কার্গো পরিবহনে নিয়োজিত থাকে হেভি ডিউটি ট্রাক। এসব যান্ত্রিক যান ও সরঞ্জাম পরিচালনায় জীবাষ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হলে কার্বন নিঃসরণ হয়। মূলত এই কারণে এগুলোর অপারেশনাল কার্যক্রম বিদ্যুৎনির্ভর করতে চাইছে সরকার।

ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে শতবর্ষী আইরিশ পালতোলা জাহাজ ডিওয়াডেন

১৯১৭ সালে তিন মাস্তুলবিশিষ্ট স্কুনার (পালতোলা জাহাজ) ডি ওয়াডেন নির্মাণ করে নেদারল্যান্ডস। আইরিশ সাগরে দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার পর ডি ওয়াডেনকে ক্যানিং গ্রেভিং ড্রাইডকে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়। বর্তমানে স্কুনারটি ভঙ্গুর এবং স্থানান্তরের অযোগ্য হয়ে পড়ায় সেটিকে ভেঙ্গে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্সিসাইড মেরিটাইম মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ডাচরা বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলো। সে সময়ে স্বল্প দূরত্বের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে ডি ওয়াডেনসহ মোট তিনটি স্কুনার নির্মাণ করে দেশটি। ১৯২০-এর দশকের শুরুর দিকে স্বল্প দূরত্বের ইউরোপীয় বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিলো ডি ওয়াডেন। ১৯২২ সালে একজন আইরিশ ব্যবসায়ীর কাছে স্কুনারটি বিক্রি করা হয়। এরপর ১৯২২ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত আইরিশ সাগরে নানাবিধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে ডি ওয়াডেন। স্কুনারটি লিভারপুল এবং মার্সি নদী থেকে বিভিন্ন আইরিশ বন্দরে শস্যদানা, চীনামাটি, খনিজ আকরিক বিশেষত কয়লা পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আয়ারল্যান্ডে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ডি ওয়াডেন।

১১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের স্কুনারটিতে ছোট একটি মোটর থাকলেও এটি সবসময় পাল ও মোটরের সম্মিলিত শক্তিতে চলত। তবে ডি ওয়াডেন এমন ভাবে নকশা করা হয়েছিল যে, মোটরের সাহায্য ছাড়া এর হাল (জাহাজের যে অংশ পানির নিচে থাকে) ভালোভাবে পানিতে ভেসে থাকতো না। এই মোটরের সাহায্যে জাহাজটি ঘণ্টায় পাঁচ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারত। মোটর স্কুনার হিসেবে ডি ওয়াডেনের তলদেশ ছিলো সমতল এবং এর ড্রাফট ছিলো ফাঁপা। যার ফলে এতে সর্বোচ্চ পরিমাণ কার্গো পরিবহন করা যেত এবং স্কুনারটি সহজেই ছোট আকারের পোতাশ্রয়ে প্রবেশ করতে পারতো। এছাড়া সহজে পণ্য উঠা-নামার জন্য স্কুনারটিতে প্রশস্ত হ্যাচ দেওয়া ছিল।

১৯৬০ দশকের গোড়ার দিকে অন্যান্য আধুনিক নৌযানের সামনে ডি ওয়াডেনের আবেদন ক্রমশ কমতে থাকে এবং এক সময় মোটরচালিত কোস্টার এর জায়গা দখল করে নেয়। স্কুনারটিকে সে সময় স্কটল্যান্ডের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরবর্তী বিশ বছর ডি ওয়াডেন সেখানে বালি পরিবহন থেকে শুরু করে জেলেদের আনা-নেওয়ার কাজ করে।

ক্যানিং গ্রেভিং ড্রাইডকে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে ডি ওয়াডেনকে

মার্সিসাইড মেরিটাইম মিউজিয়াম ১৯৮৪ সালে জাহাজটি অধিগ্রহণ করে। ১৯৮৭ সালে ডি ওয়াডেনকে ক্যানিং গ্রেভিং ড্রাইডকে প্রদশর্নীর রাখা হয় এবং তখন থেকে জাহাজটি সেখানেই রয়েছে। দর্শণার্থীদের জন্য স্কুনারটির আদিরূপ ধরে রাখতে পরবর্তীতে পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। ১৯৯০ এর দশকে যাদুঘর কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য জাহাজটিতে শিক্ষামূলক অধিবেশন এবং ট্যুরের আয়োজন করে। বেশ কিছুদিন পর জাহাজটি সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করে সেসব আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আবহাওয়া এবং অন্যান্য পরিস্থিতির সংস্পর্ষে এসে ঐতিহাসিক এই স্কুনারটি দিনে দিনে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। যার ফলে যাদুঘর কর্তৃপক্ষ ডি ওয়াডেনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। এ-সংক্রান্ত একটি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর যাদুঘর বোর্ড এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, স্কুনারটি মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে যেই খরচ হবে সেটা মোটেও টেকসই হবে না। ২০২২ সালে যাদুঘর বোর্ড জাহাজটিকে স্থানান্তর বা পুনির্মাণের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিকল্প এসব পন্থা কার্যকর না হওয়ায় দুভার্গ্যজনকভাবে জাহাজটি লিভারপুলের জলসীমা থেকে চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে। তবে আশার কথা হলো, মার্সিসাইড মেরিটাইম মিউজিয়ামের নির্দেশনা অনুসরন করে ডি ওয়াডেনের ভেঙ্গে ফেলার গোটা প্রক্রিয়াটি রের্কড করবে লিভারপুল ন্যাশনাল মিউজিয়াম।

বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষ নাগাদ জাহাজটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। লিভারপুলের সামুদ্রিক ইতিহাসে ডি ওয়াডেনের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এর মৌখিক ইতিহাস ও স্মৃতিচারণ সংরক্ষেণের অনুরোধ করেছে যাদুঘর কর্তৃপক্ষ। ডি ওয়াডেনের বর্ণিল ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে জাহাজটিকে এমন ভাবে ভাঙ্গা হবে, যাতে করে এর গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো সংরক্ষণ করা যায় বা পুনরায় ব্যবহার করা যায়। জাহাজটি ভেঙ্গে ফেলার পর এর কোন কোন অংশ মেরিটাইম মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হবে বা অন্যান্য কোন কাজে সেগুলো ব্যবহার করা যাবে বর্তমানে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জাহাজের যেসব অংশ ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যাবে না সেগুলোকে রিসাইকেল করা হবে।

অদৃশ্য রাসায়নিক দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাগর

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্র তলদেশে বিষাক্ত রাসায়নিক ডিডিটির উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। বছরের পর বছর এই বিষাক্ত রাসায়নিক সাগরের পানি ও জীববৈচিত্র্যকে দূষিত করে চলেছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানবস্বাস্থ্য। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক জীব।

বিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বের বড় বড় দেশ ও পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো সাগর দূষণ এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব রোধে কাজ করে চলেছে। গোটা বিশ্ব প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে সোচ্চার হলেও রাসায়নিক পদার্থের কারণে সৃষ্ট দূষণের বিষয়টি এখনো অনেকটা আড়ালেই রয়ে গেছে। ডিডিটি (ডাইক্লোরো-ডাইফিনাইল-ট্রাইক্লোরোইথেন), পিসিবি (পলিক্লোরিনেটেড বাইফিনাইল) এবং অন্যান্য পারসিস্ট্যান্ট অরগানিক পলিউট্যান্ট (পিওপি)-এর ফলে সৃষ্ট রাসায়নিক দূষণ ধারণাতীতভাবে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করছে।

চলতি বছরের মার্চে গবেষকরা আবিষ্কার করেন, ১৯৪০-এর দশকে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে নিক্ষেপিত হাজার হাজার ব্যারেল নিষিদ্ধ রাসায়নিক এখনো সমুদ্রতলদেশে নিঃসৃত হচ্ছে। দীর্ঘ আশি বছর পরেও ক্ষতিকারক ডিডিটি  প্রকৃতিতে বিলীন হওয়া তো দূরের কথা, এখনো আগের মতোই বিষাক্ত রয়ে গেছে। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, সমুদ্রতলদেশের এই দূষণ ড্রেজিং ও সামুদ্রিক ঝড়ের মাধ্যমে বিস্তৃীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। যার ফলে গোটা এলাকার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য দূষিত হবে এবং সেসব প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে মানবদেহেও দূষিত রাসায়নিক প্রবেশ করবে। একসময় কীটনাশক হিসেব কৃষিকাজে ব্যাপক পরিমাণে ডিডিটি ব্যবহৃত হতো। বন্যপ্রাণী ও মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব বিস্তার করায় ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এবং ২০০১ সালে বৈশ্বিকভাবে এই রাসায়নিকটি নিষিদ্ধ করা হয়।

বিশ্বব্যাপী সাড়ে তিন লাখ রাসায়নিক উৎপাদিত হয়। পরিবেশের ওপর এসব সিন্থেটিকের প্রভাব নিরূপণ করতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। ২০২১ সালের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসব গবেষণায় উল্লেখযোগ্যহারে কেবল ৬৫টি রাসায়নিকের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। সাড়ে তিন লাখ রাসায়নিকের ভেতর ১ লাখ ২০ হাজার রাসায়নিকের বিষয়ে কোনো ধরনের তথ্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নেই। তথ্যগত এই ঘাটতির কারণে সাগরে রাসায়নিক দূষণের মাত্রা সম্পূর্ণরূপে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। রাসায়নিক দূষণের বিষয়ে সচেতনতা এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা কষ্টকর। অনেক রাসায়নিক পিওপি হিসেবে কাজ করায় দূষণের মাত্রাও বেশ ব্যাপক।

অধিকাংশ দেশ ক্ষতিকারক এসব রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলে। তবে পিওপির দুইটি বৈশিষ্ট্যের কারণে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এড়ানো সম্ভব হয় না। প্রথমত, পিওপি রাসায়নিকগুলো সহজে প্রকৃতিতে বিলীন হয় না বা ভেঙ্গে যায় না। যার ফলে যুগের পর যুগ সেগুলো প্রকৃতিতে অক্ষত অবস্থায় থেকে যায় এবং সমান মাত্রায় দূষণ ছড়ায়। এছাড়া ক্ষতিকারক এসব রাসায়নিক প্রাণীদেহের ফ্যাটি টিস্যুতে জমা হয়। প্রাণীর মৃত্যুর পর কোষে জমা থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পুনরায় প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া অন্য কোনো প্রাণী আক্রান্ত প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে তার শরীরেও দূষণ প্রবেশ করে। যার ফলে প্রাণীর মাধ্যমেও রাসায়নিক দূষণ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়ায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উত্তর সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের নির্জন ও গভীর অংশেও রাসায়নিক দূষণ শনাক্ত হয়েছে, যার ফলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে সাগরের কোনো অংশই বর্তমানে দূষণমুক্ত নেই। সব ধরনের পণ্য উৎপাদনে রাসায়নিকের ব্যবহার এই দূষণের অন্যতম কারণ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক গবেষণায় দেখা যায়, উত্তর-পূর্ব আটলান্টিকের ৭৫ শতাংশ, ভূমধ্যসাগরের ৮৭ ও বাল্টিক সাগরের ৯৬ শতাংশ অঞ্চল সিন্থেটিক পদার্থ ও ভারী ধাতু দ্বারা দূষিত। 

ক্ষতিকারক এসব রাসায়নিক ‘এন্ডোক্রাইন ডিজরাপ্টর’ হিসেবে কাজ করে এবং সমুদ্রের পোকামাকড়, মাছ ও উভচর প্রাণীর প্রজনন এবং বিকাশকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ করে। একই সঙ্গে সামুদ্রিক প্রাণীর দেহে এসব রাসায়নিক জমা হয় বলে এর দ্বারা খাদ্যশৃঙ্খল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ প্রোটিনের উৎস হিসেবে সামুদ্রিক প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে মানবস্বাস্থ্যের ওপর। রাসায়নিক দূষণের কারণে অকালমৃত্যু থেকে শুরু করে মানবভ্রুণের বিকাশজনিত সমস্যা এবং প্রাপ্তবয়ষ্কদের মধ্যে হৃদরোগ ও ডিমেনশিয়া দেখা দিচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০৩০ সাল নাগাদ সিন্থেটিক রাসায়নিকের বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ হবে। এরই মধ্যে রাসায়নিক উৎপাদনের পরিমাণ নিরাপদ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যার ফলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা তো দূরের বিষয়, দূষণের মাত্রা নিরূপণ করাও কোনো দেশের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রে রাসায়নিক দূষণ রোধে তাই বিভিন্ন দেশের সরকার, শিল্প খাত এবং গ্রাহকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

নিঃসরণকারী ট্রাক চলাচল বন্ধ করছে ক্যালিফোর্নিয়া

ক্যালিফোর্নিয়া এয়ার রিসোর্সেস বোর্ড (সিএআরবি) সম্প্রতি নতুন একটি নিয়ম চালু করেছে, যার অধীনে অঙ্গরাজ্যটিতে চলাচলকারী সকল মাঝারি ও ভারী ট্রাককে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। নতুন এই নিয়মের নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাডভান্সড ক্লিন ফ্লিটস।

২০৪৫ সাল নাগাদ ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যজুড়ে চলাচলকারী পণ্যবাহী সব ট্রাকে জিরো-এমিশন প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখবে অ্যাডভান্সড ক্লিন ফ্লিটস। এছাড়া রাজ্যের সব বন্দর ও সেখানকার কার্গো হ্যান্ডলিং সরঞ্জামগুলোকেও পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন নিয়মে।

অ্যাডভান্সড ক্লিন ফ্লিটসের অধীনে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রাইভেট সার্ভিসে ব্যবহৃত (যেমন ডেলিভারি ভেহিকল) এবং ফেডারেল ফ্লিটের (যেমন পোস্টাল সার্ভিস) সব ট্রাক ২০২৪ সাল থেকে জিরো-এমিশন ভেহিকলে রূপান্তরিত হওয়া শুরু করবে। বিশেষ করে বন্দর ও রেল ইয়ার্ড থেকে কনটেইনার ও অন্যান্য পণ্য পরিবহনকারী ক্লাস এইট হেভি ডিউটি ট্রাকগুলোয় সবার আগে জ্বালানি রূপান্তরের ওপর জোর দেওয়া হবে।

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই ক্যাটাগরির নতুন ট্রাকগুলোর মধ্যে যারা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করবে, কেবল তারাই সিএআরবি থেকে নিবন্ধন লাভ করবে। আর পুরনো ট্রাকগুলোকে রূপান্তরের জন্য ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষ যে এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, তা একেবারে অননুমেয় ছিল না। ২০২০ সালে রাজ্য কর্তৃপক্ষ একটি নিয়ম চালু করেছে, যেটি অনুসারে সব ম্যানুফ্যাকচারারকে জিরো-এমিশন ট্রাকের বিক্রি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি। মঙ্গলবার তিনি বিদায়ী চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, এনপিপি, বিসিজিএমএস, এনডিসি, পিএসসি এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরে যোগদানের আগে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি কমিশন লাভ করেন। কমিশন পাওয়ার পর তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন পেশাগত কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। একজন অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্পেশালিস্ট অফিসার হিসেবে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। তিনি কানাডায় ওয়ার গেম সিমুলেশন কোর্স, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ঢাকায় নেভাল স্টাফ কোর্সএবং ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে নেভাল স্টাফ কোর্সে অংশ নিয়েছেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল একজন প্রাণবন্ত নাবিক যিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সব ধরনের জাহাজে কাজ করেছেন। তিনি নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস দুরন্ত, বিএনএস অনির্বাণ বিএনএস তমজিদ এবং বিএনএস বারকাতকে কমান্ড করেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্তরে স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক দায়িত্ব পালন করেছেন। নৌসদর দপ্তর এবং এরিয়া সদর দপ্তরের স্টাফ অফিসার, জুনিয়র স্টাফ কোর্সের পরিচালক, ওয়ারফেয়ার ইন্সট্রাক্টর ইন স্কুল অফ মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিকস, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নৌ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি নৌবাহিনীর ওএসপি ও এনইউপি পদক লাভ করেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এলিট ফোর্স র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময়কালে তিনি জাতীয় গণমাধ্যমে বেশ প্রাণবন্ত ছিলেন এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখেন। তাঁর অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিআইটিবি), ডিজিএফআই সদর দপ্তরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরো (আইএবি) এবং নৌসদর দপ্তরের পরিচালক সাবমেরিনে কর্ণেল জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পাঁচ উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ২২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশকে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনার পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পে এ ঋণ দেয়া হবে। খবর বাসস।

স্থানীয় সময় সোমবার (১ মে) বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার মধ্যে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচটি প্রকল্প হলো রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (আরআইভিইআর), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট সাসটেইনেবলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশান (বিইএসটি), অ্যাকসেলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেক্টিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস)-বাংলাদেশ ফেজ-১, ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি) এবং সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশনান (এসএমএআরটি)।

এসব প্রকল্পের মধ্যে অভিযোজন ও ঝুঁকি হ্রাসের জন্যে ৫০ কোটি ডলারের রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট রয়েছে যা ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাস্তবায়নে প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রকল্প। এটি অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নয়নে সহায়তা করবে।

দ্বিতীয় প্রকল্প ২৫ কোটি ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশান (বিইএসটি)। এটি বাংলাদেশে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।

তৃতীয় প্রকল্পটি হলো ৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার ব্যয়ে অ্যাকসেলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেক্টিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস)-বাংলাদেশ ফেজ-১, যা ঢাকাকে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।

চতুর্থ প্রকল্প ৫০ কোটি ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি). যা দেশকে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে সহায়তা করবে।

আর পঞ্চম ও সর্বশেষ প্রকল্প ২৫ কোটি ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশনান (এসএমএআরটি)। এটি ক্ষুদ্র শিল্প খাতকে আরো গতিশীল, কম দূষণকারী, দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধির খাতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।

মালয়েশিয়ায় ট্যাংকারে আগুন, ২৩ ক্রু উদ্ধার

মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সমুদ্রসীমায় সোমবার (১ মে) একটি তেলবাহী ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অন্য একটি ট্যাংকার ও মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এমএমইএ) ট্যাংকারটির বেশিরভাগ ক্রুকে উদ্ধার করতে সমর্থ হলেও তিনজন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে এমএমইএ জানিয়েছে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও সিঙ্গাপুর মেরিটাইম অ্যান্ড পোর্ট অথরিটি (এমপিএ) জানিয়েছে, ট্যাংকারটির নাম পাবলো। গ্যাবনে নিবন্ধিত ট্যাংকারটি ইরানি তেল পরিবহন করছিল বলে গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এমপিএ দুর্ঘটনাস্থালে উদ্ধার অভিযান পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া তারা জ্বলন্ত ট্যাংকারের বিষয়ে সতর্ক করে এবং নিখোঁজ ক্রুদের সন্ধানে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে আশেপাশের অন্যান্য জাহাজের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে।

এদিকে এমএমইএ জানিয়েছে, বেলা ৪টার দিকে তারা ট্যাংকারটির কাছ থেকে সাহায্যবার্তা পায় এবং দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রেসকিউ বোট পাঠায়। এছাড়া ইনোলা নামের নিকটবর্তী আরেকটি ট্যাংকার দুর্ঘটনাকবলিত ট্যাংকারটির ক্রুদের সহায়তায় এগিয়ে যায় এবং ১৮ জন ক্রুকে উদ্ধার করে।

সব মিলিয়ে মোট ২৩ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ২৬ বছরের পুরনো ট্যাংকারটিতে কীভাবে আগুন লাগল, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।