Home Blog Page 36

জ্বালানি পাচারের অভিযোগে ইরানে আরেকটি বিদেশী জাহাজ আটক

জ্বালানি পাচারের অভিযোগে আরেকটি বিদেশী জাহাজকে আটক করেছে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। তবে জাহাজটি কোন দেশের পতাকা বহন করছিল, এর নাম কি, মালিক কে বা ক্রুরা কোন দেশের নাগরিক-সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ইরানি কর্তৃপক্ষ।

আটকের সময়ে জাহাজটিতে প্রায় ৪ লাখ গ্যালন ডিজেল ছিল বলে আইআরজিসির একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন। পারস্য উপসাগরীয় কোনো দেশে এই জ্বালানি পাচার করা হচ্ছিল বলে বাহিনীটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

জাহাজটিকে জব্দ করে এতে থাকা জ্বালানি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি বুশেহরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া জাহাজ থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুশেহর প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মেহেদি মেহরাঙ্গিজ।

ইরানের জন্য জ্বালানি চোরাচালান বড় একটি মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে জ্বালানি তেলে বিপুল ভর্তুকি দেওয়া হয়। ফলে সেখান থেকে কম মূল্যে তেল কিনে অন্য দেশে চড়া দামে বিক্রি করা চোরাকারবারিদের জন্য বেশ লাভজনক। এছাড়া গত চার বছরে ইরানি রিয়ালের বৈদেশিক বিনিময় মূল্যে পতন এই লাভের পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ইরানি কর্তৃপক্ষ জ্বালানি চোরাচালান ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে আইআরজিসি ৯০ হাজার গ্যালন ডিজেলসহ একটি জাহাজ আটক করে। তার আগে অক্টোবরে ৩০ লাখ গ্যালন জ্বালানির বড় আরেকটি চালান আটক করে বাহিনীটি।

ঈদের ছুটিতে স্থলবন্দরসমূহে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্থলবন্দরগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠির মাধ্যমে এ বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আজ থেকে এ ছুটি কার্যকর হবে। বন্দরভেদে এ ছুটি পাঁচদিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময় বন্দরের পণ্য আমদানি ও রপ্তানিসহ সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

সোনাহাট স্থলবন্দর: বুধবার ১৯ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট নয়দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

হিলি বন্দর: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ছয়দিন আমদানি-রপ্তানি। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর: টানা পাঁচদিনের ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।

সোনামসজিদ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ছয় দিন বন্ধ থাকবে।

বাংলাবান্ধা: শবেকদর, ঈদুল ফিতর এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট ১০ দিন বন্ধ থাকছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ সময় সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে আনসার ব্যারাক ও বহুতল কার শেডের উদ্বোধন

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের থাকার জন্য নবনির্মিত ব্যারাক ও বহুতল কার শেডের উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ব্যারাক ও শেডের উদ্বোধন করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।  

১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আনসার ব্যারাকে রয়েছে লিফট, পার্কিং, প্লে গ্রাউন্ড, আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম, বাউন্ডারি ওয়ালসহ আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা। নবনির্মিত বহুতল কার শেডে রয়েছে ট্রাফিক রুম, সিকিউরিটি রুম, পাম্প রুম এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। প্রায় ২৯ হাজার বর্গফুটের শেড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। শেডের নিচ তলায় ১০৭ টি এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ১১১ টি করে কার পার্কিংয়ের সুবিধা রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের সকল পর্ষদ সদস্য, বিভাগীয় প্রধানগণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ঈদের দিন ছাড়া প্রতিদিন খোলা থাকবে কাস্টমস হাউস

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ছাড়া বাকি সব সরকারি ছুটির দিন দেশের সব কাস্টমস হাউস খোলা থাকবে। সোমবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশ দেশের সব কাস্টমস হাউসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঈদের দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে শুল্কায়নে সীমিত আকারে সব কাস্টমস হাউস পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের ওই আদেশে বলা হয়েছে, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন ছাড়া ১৯ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাস্টমস হাউসগুলো সীমিত আকারে খোলা থাকবে। এ জন্য প্রতিটি কাস্টমস হাউসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি হয়। এরপরই বেশি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হয় বেনাপোল কাস্টমস হাউস দিয়ে। ঈদের বন্ধের সময় এই দুটি কাস্টমস হাউসের পাশাপাশি ঢাকা, মোংলা, কমলাপুর আইসিডি ও পানগাঁও কাস্টমসও খোলা থাকবে।

সমুদ্র পরিবহন খাতে নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগে সহায়তার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের

জাপানের সাপ্পোরো শহরে রোববার শেষ হয়েছে জি৭ দেশগুলোর জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী বৈঠক। এতে গভীর সমুদ্র বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিপিং খাতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের ফলাফল নিয়ে ৩৬ পৃষ্ঠার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে জি৭। এতে বলা হয়েছে সবুজ রূপান্তরের পালে হাওয়া দিতে জলবায়ু ও জ্বালানিবিষয়ক যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার, সেগুলো নিতে জোটটি প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মেরিটাইম এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন কমিটির (এমইপিসি) আসন্ন ৮০তম সেশনে ২০৩০ ও ২০৪০ সালের জন্য শিপিং খাতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। জি৭ মন্ত্রীরা সেই লক্ষ্যমাত্রার প্রতি সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

জি৭ দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৪০ শতাংশ, বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদার ৩০ শতাংশ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মোট কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণের ২৫ শতাংশে হিস্যা রয়েছে এই জোটের। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সমুদ্র পরিবহনের মতো কার্বন-নিবিড় শিল্পখাতগুলোয় নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হিসেবে দেখা হয় জি৭-কে।

১৫-১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পরিসর ও রূপান্তরের গতি বাড়ানোর গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এরই মধ্যে বড় অগ্রগতির পথে রয়েছে জি৭। ২০৩০ সাল নাগাদ সম্মিলিতভাবে ১৫০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ অফশোর খাত থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের।

বিনিয়োগ আকর্ষণে একসাথে কাজ করবে বিডা ও বিল্ড

বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিডা কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বিডা’র নির্বাহী সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন এবং বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে বিনিয়োগ সহজীকরণসহ পারস্পরিক প্রযুক্তিগত সহায়তা, আধুনিক বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি, বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করবে বিডা ও বিল্ড।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, গত ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৭৫০ ডলারের মতো, এখন তা ২ হাজার ৮৫০ ডলার। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের দরকার স্মার্ট বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি ফলো করা। ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ এখন আর বিশ বছর আগের মতো নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগে এখন রিসার্চ ও প্রযুক্তির প্রয়োগ আবশ্যক। সেই সঙ্গে বিনিয়োগ সেক্টরগুলোও আমাদের নির্ধারণ করতে হবে। এখন থেকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিল্ড নেপথ্যে আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও উন্নত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে বিডা ও বিল্ড।

বিল্ডের চেয়ারপারসন নিহাদ কবির বলেন, ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে, এখন আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর এবং দ্রুত। আমাদেরও সেই সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন সামনে রেখে কাজ করে যেতে হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধা, সেক্টরসমূহ বিদেশিদের কাছে তুলে ধরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে।

এ সময়ে বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ৯টি সেক্টর চিহ্নিত করেছি। যার ভিত্তিতে বিডা ও বিল্ড প্রতি তিন মাসে একবার অগ্রগতি এবং করণীয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে সভার আয়োজন করবে।

বিডার নির্বাহী সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন বলেন, এখন থেকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে, বিনিয়োগ সহজীকরণসহ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে আমরা একসাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

স্কটল্যান্ডে বিশ্বের গভীরতম অফশোর টার্বাইন ফাউন্ডেশন স্থাপন

স্কটল্যান্ডের সিগ্রিন উইন্ড ফার্মে সম্প্রতি ১৯২ ফুট গভীরতায় একটি অফশোর উইন্ড টার্বাইন ফাউন্ডেশন স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বে অফশোর প্রকল্পে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গভীরতায় স্থাপিত টার্বাইন ফাউন্ডেশন।

সিগ্রিন উইন্ড ফার্মটির অবস্থান নর্থ সি-তে, স্কটল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ১৭ মাইল দূরে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে এসএসই রিনিউয়েবলস, আর ওনারশিপ পার্টনার হিসেবে রয়েছে টোটালএনার্জিস। স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে বড় অফশোর উইন্ড ফার্ম হতে যাচ্ছে এটি।

গত ৯ এপ্রিল গভীরতম টার্বাইন ফাউন্ডেশনটি স্থাপন করা হয়। তবে সিগ্রিন উইন্ড ফার্মের জন্য এই রেকর্ড এবারই প্রথম নয়। প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের গভীরতম টার্বাইন ফাউন্ডেশন স্থাপনের নজির গড়ল। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ১৮৮ ফুট গভীরতায় একটি ফাউন্ডেশন বসায় এসএসই রিনিউয়েবলস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, উইন্ড ফার্মটির অবস্থান এমন জায়গায় যে, সেখানে ১৮০ ফুটের বেশি গভীরতায় আরও কয়েকটি টার্বাইন ফাউন্ডেশন স্থাপন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র উপকূলে জরুরি চিকিৎসার জন্য ট্যাংকারের ক্যাপ্টেনকে উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা উপকূল থেকে ২১৮ মাইল দূরে মেক্সিকো উপসাগরে জরুরি চিকিৎসার জন্য একটি ট্যাংকারের ক্যাপ্টেনকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। ওভারসিজ অ্যানাকোর্টেস নামের যুক্তরাষ্ট্রের পাতাকাবাহী ওই ট্যাংকারের ক্যাপ্টেনের হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ ছিল বলে বাহিনীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কোস্ট গার্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে তারা একটি জরুরি বার্তা পায় যে, ট্যাংকারটির ৬৯ বছর বয়সী ওই ক্যাপ্টেনের হার্ট অ্যাটাকের মতো অবস্থা হয়েছে। বার্তা পাওয়া মাত্রই কোস্ট গার্ডের নিউ অরলিনসের এয়ার স্টেশন থেকে এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টারে করে একটি মেডিভ্যাক টিম জাহাজটির উদ্দেশে রওনা দেয় এবং ক্যাপ্টেনকে উদ্ধার করে নিউ অরলিনস ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাপ্টেনের স্বাস্থ্যগত অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।

গিনি উপসাগরে জলদস্যুতার শিকার প্রডাক্ট ট্যাংকার, ক্রুরা নিরাপদে

আইভরি কোস্টের আবিদজান উপকূল থেকে আনুমানিক ৩০০ নাটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়া ট্যাংকার সাকসেস নাইনের সন্ধান পেয়েছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ। গত ১০ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী ট্যাংকারটিতে উঠে পড়ে জলদস্যুরা। সেখান থেকে তারা কার্গো ও ক্রুদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। অবশ্য ট্যাংকারটির ক্রুরা সবাই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের মেরিটাইম অ্যান্ড পোর্ট অথরিটি (এমপিএ) জানিয়েছে, আবিদজানের নিকটবর্তী গিনি উপসাগরের ওই এলাকায় থাকা অবস্থায় সাকসেস নাইনের কাছ থেকে একটি বার্তা পায় মনজাসা স্প্রিন্টার নামের আরেকটি বাণিজ্যিক ট্যাংকার, যেটিতে জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য চাওয়া হয়। পরে ট্যাংকারটির ক্রুরা এই বার্তা তাদের কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবার সেই বার্তা এমপিএ ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেন।

ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার (আইএফসি) ও মনরোভিয়া রিজিওনাল মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (এমআরসিসি) এই খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে আইভরি কোস্ট নৌবাহিনীর একটি প্যাট্রল ভেসেল সাকসেস নাইনের কাছাকাছি পৌঁছতে সক্ষম হয়। ভেসেলটির উদ্ধারকারী টিম ট্যাংকারটিতে উঠে দেখে জলদস্যুরা সেটি ফেলে চলে গেছে এবং যাওয়ার সময় ট্যাংকার থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তবে তারা ট্যাংকারের ক্রুদের কোনো ক্ষতি করেনি।

৬ হাজার ১৩৫ ডিডব্লিউটির প্রডাক্ট ট্যাংকার সাকসেস নাইন ২০০৩ সালে তৈরি। এর মালিক সিঙ্গাপুরের এইচএস ওশান। এর ক্রু সংখ্যা ২০ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে।

মারপোলের শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন আদালতে নরওয়েজিয়ান শিপিং লাইনের বিরুদ্ধে মামলা

জাহাজ পরিচালনা ও দুর্ঘটনার কারণে সৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রচলিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রিভেনশন অব পলিউশন ফ্রম শিপস (মারপোল) লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের আদালতে নরওয়ের একটি শিপিং লাইনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নরওয়ের শীর্ষস্থানীয় এলপিজি ও পেট্রোকেমিক্যাল গ্যাস পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান সোলভ্যাংয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ক্লিপার শিপিংকে প্রথম দফার শুনানির জন্য ১৮ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মারপোল চুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে প্রতি বছর আরও অনেক মামলা হলেও বিশেষ কারণে এই মামলাটি উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বন্দরে ঘটেনি। দ্বিতীয়ত, যেভাবে ঘটনাটি সামনে এসেছে, সেটিও অভূতপূর্ব।

গত ৬ এপ্রিল ক্লিপার শিপিং ও এর জাহাজ ক্লিপার স্যাটার্নের বিরুদ্ধে হিউস্টন ডিভিশনের সাউদার্ন ডিসট্রিক্ট অব টেক্সাসের আদালতে ফৌজদারি অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে মারপোল চুক্তির ব্যত্যয়ের জন্য জাহাজের প্রধান প্রকৌশলীকে সর্বোতভাবে দায়ী করা হয়েছে। অবশ্য সেই প্রকৌশলীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ক্লিপার স্যাটার্নের অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে মার্কিন কোস্ট গার্ডের রুটিন তদন্তের সময়। ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবরের সেই তদন্ত চলাকালে ক্লিপার স্যাটার্ন হিউস্টন বন্দরে অবস্থান করছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়, মারপোল অনুযায়ী একটি জাহাজকে সর্বদা অয়েল রেকর্ড বুক সংরক্ষণ করতে হবে, যেটিতে জাহাজের ওয়েস্ট অয়েল অপারেশন ও ডিসচার্জের বিষয়ে তথ্য থাকতে হবে। এই রেকর্ড বুক যেন নির্ভুল হয়, সেই দায়িত্ব ইঞ্জিন রুমের সিনিয়র অফিসার হিসেবে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের ওপরই অর্পিত থাকে।

মার্কিন কোস্ট গার্ডের তদন্তে দেখা যায়, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগোর লোম উপকূলে নোঙ্গর করা অবস্থায় ক্লিপার স্যাটার্ন অবৈধভাবে তৈলাক্ত বর্জ্য ডিসচার্জ করেছে। কিন্তু তাদের অয়েল রেকর্ড বুকে কিছু তথ্য সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি। অভিযোগপত্রে এটি উল্লেখ করা হয়নি যে, অবৈধ ডিসচার্জের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ধরতে পেরেছে কিনা অথবা এ বিষয়ে কোনো তদন্ত চলমান রয়েছে কিনা। শুধু এটি জানানো হয়েছে যে, হিউস্টন বন্দরে মার্কিন কোস্ট গার্ডের রুটিন চেকআপের সময় অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়েছে।