Home Blog Page 37

শিল্প খাতে সিআইপি হলেন ৪৪ ব্যবসায়ী

বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪৪ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি নির্বাচিত করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১ সালের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে তাঁদের সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক গেজেটে শিল্প খাতের সিআইপিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, সিআইপি নির্বাচিত ব্যক্তিদের শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা আগামী এক বছরের জন্য জাতীয় ও সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

এনসিআইডি ক্যাটাগরি: ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট বা এনসিআইডি মনোনীত সিআইপি হয়েছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এবং বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী।

বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন): এ ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার এরিক এস চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলের চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, প্রাণ ডেইরির চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস মৃধা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক আলী, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এসিআইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফে দৌলা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মাঈনউদ্দিন মোনেম, ফারিহা নিট টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, হ্যামস গার্মেন্টেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলের উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মীর সিরামিকের পরিচালক মাহরীন নাসির, ডিউরেবল প্লাস্টিকের পরিচালক উজমা চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উইনার স্টেইনলেস স্টিল মিলসের চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, তাসনিয়া ফেব্রিক্সের উদ্যোক্তা পরিচালক আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, সোহাগপুর টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এনভয় টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।

বৃহৎ শিল্প (সেবা): এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন এসটিএস হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এসএম কামাল উদ্দিন এবং ইস্টার্ন হাউজিংয়ের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।

মাঝারি শিল্প (উৎপাদন): এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বাস পোলট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডসের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিনের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার জাহান হাসমিন, অকো-টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, জিন্নাত নিটওয়্যারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার, রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবুল, প্রমি এগ্রো ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনামুল হাসান খান, মাসকো পিকাসোর পরিচালক ফাহিমা আক্তার, টর্ক ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মূহাম্মদ কামাল উদ্দিন, জিন্নাত অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ ও সিটাডেল অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম।

ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন): এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন রংপুর ফাউন্ড্রির পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান ও এরফান এগ্রো ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম। এ ছাড়া মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন মাসকো ডেউরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এমএ সবুর।

যুক্তরাষ্ট্রে আলাস্কা এলএনজি প্রকল্পে অনুমোদন দিল জ্বালানি মন্ত্রণালয়

উচ্চাভিলাষী আলাস্কা এলএনজি প্রকল্পের বিষয়ে সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের এই মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন হলো।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে আলাস্কার নর্থ স্লোপ অঞ্চল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে আলাস্কা উপসাগরের একটি লিকুইফিকেশন প্লান্টে গ্যাস পাঠানো হবে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাইপলাইনের মাধ্যমে নর্থ স্লোপের শীতলতম অঞ্চল ও সেন্ট্রাল আলাস্কার পার্বত্য অঞ্চল ভেদ করে কুক ইনলেটে প্রতিদিন ৩৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালন করা সম্ভব হবে।

তুলনামূলক হিসাবে এই দূরত্ব যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত দূরত্বের সমান। পার্থক্য কেবল এক জায়গায় যে, আলাস্কার এই পাইপলাইন তীব্র শীতল ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে গেছে।

অবশ্য প্রকল্পটির উদ্যোগ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের নয়। বরং ২০২০ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পাইপলাইনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়ােগ পেয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এর আগে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলির কথা জানানো হয়। ঈদুল ফিতরের পর তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১৯৮৮ সালে কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি নৌবাহিনীর জাহাজ, ঘাঁটি ও সদর দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে নৌবাহিনীর এনইউপি পদক লাভ করেন। তিনি সততার সঙ্গে অসামান্য সেবা ও অবদান রাখায় রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পদক ও নৌ প্রধানের প্রশংসা পদক অর্জন করেন। মোহাম্মদ সোহায়েল ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজের ফ্যাকালটি (ডাইরেক্টিং স্টাফ ও সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর) হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল এলিট ফোর্স র‌্যাবের সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন। তিনি ডিজিএফআই সদর দপ্তরে কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরোতে (আইএবি) কর্নেল জিএস হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। নৌ সদর দপ্তরে পরিচালক সাবমেরিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ সোহায়েল।

পানিতে ভাসল বিশ্বের প্রথম মিথেনচালিত কনটেইনার জাহাজ

বিশ্বের প্রথম মিথানলচালিত কনটেইনার জাহাজ বহরে যোগ করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল শিপিং জায়ান্ট মায়েরস্ক। সম্প্রতি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই মিপো ডকইয়ার্ডে পানিতে ভাসানো হয়েছে জাহাজটিকে।

২০২১ সালের জুলাইয়ে জাহাজটি নির্মাণের কার্যাদেশ দিয়েছিল মায়েরস্ক। এটি তুলনামূলক ছোট আকারের একটি ফিডার জাহাজ। সেই কার্যাদেশের পর ১৬ হাজার ও ১৭ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার বড় আকারের মিথানলচালিত আরও কয়েকটি কনটেইনার জাহাজের কার্যাদেশ দিয়েছে মায়েরস্ক। এরই মধ্যে গত বছরের নভেম্বরে বৃহদাকার একটি জাহাজ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। মায়েরস্ক জানিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে মিথেনচালিত প্রথম বৃহদাকার কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করা হতে পারে।

ফিডার জাহাজটি চলতি বছরেই বুঝে পাবে মায়েরস্ক। এটি ৫৬৪ ফুট দীর্ঘ আর প্রস্থ ১০৫ ফুট। এর ধারণক্ষমতা ২ হাজার ১০০ টিইইউ। মায়েরস্ক জানিয়েছে, তাদের বাল্টিক সার্ভিসে যুক্ত হবে ফিডার জাহাজটি।

প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে যাচ্ছেন ২৫ এপ্রিল

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

চারদিনের এক আনুষ্ঠানিক সফরে ২৫ এপ্রিল জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে এ সফরে যাচ্ছেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের নভেম্বরে তার এ সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সে সময় দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তার এ সফর স্থগিত করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক এ সফর চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন জাপানের সম্রাট নারুহিতো। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাপানি প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।

জাপান সফর চলাকালে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগবিষয়ক এক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া সেখানে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও যোগ দেবেন তিনি। জাপানে অবস্থানকালে সেখানকার কয়েকজন নাগরিকের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ সম্মাননা তুলে দেবেন তিনি।

সরকারপ্রধানের জাপান সফরে দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলেও জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপান। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবহন, টেলিযোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, পরিবেশ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অন্যান্য খাতে বড় অংকের বিনিয়োগ রয়েছে দেশটির। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ বিতরণসহ নানাভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগিতা করে আসছে টোকিও।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জাইকার বৈশ্বিক ঋণ প্রতিশ্রুতির গন্তব্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। জাইকার মোট বৈশ্বিক ঋণ প্রতিশ্রুতির ২৬ দশমিক ৮ শতাংশেরই গন্তব্য হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরেও (২০২১-২২) বাংলাদেশকে মোট ১৭৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ঋণ ও অনুদান হিসেবে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।

এখন পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এসেছে জাপান থেকে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয় ১৯৭২ সালে। ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত জাপানের কাছ থেকে ঋণ, অনুদানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সহায়তা হিসেবে মোট ২ হাজার ৮৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুধু ঋণ হিসেবে প্রতিশ্রুত অর্থ ২ হাজার ৫১৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ। এর মধ্যে গত অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ছাড় হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জাপান সফর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে বলে প্রত্যাশা করছেন কূটনীতিকরা।

বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করবে জাপান, হবে বন্দর উন্নয়নও

বাংলাদেশে একটি শিল্পাঞ্চল তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছে জাপান। প্রস্তাবিত এ শিল্পাঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, নেপাল ও ভুটানে বাজারজাত করতে সমুদ্রবন্দর উন্নয়নসহ যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় দেশটি। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ভারত সফরের পর এ প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এই শিল্পাঞ্চল ৩০ কোটি মানুষের আবাসস্থল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বঙ্গোপসাগর এলাকায় উন্নয়ন জোরদার করবে বলে জাপানের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।

কিশিদার ভারত সফরের পর জাপান সরকার বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ১২৭ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে। মূলত তিনটি অবকাঠামো প্রকল্পে এ বিনিয়োগ করা হবে, যার মধ্যে আছে মাতারবাড়ী অঞ্চলে নতুন একটি বাণিজ্যিক বন্দর, যার সঙ্গে ত্রিপুরাসহ ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল সংযুক্ত হবে। তবে এ বন্দরের আওতা শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বৃহত্তর আন্তর্জাতিক বাজার ধরাও হবে তার লক্ষ্য।

ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশি সুজুকি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ, ভারত ও জাপানের মধ্যকার এক বৈঠকে এ–সংক্রান্ত যে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, সে সম্পর্কে তিনি মঙ্গলবারে কথা বলেন। তাঁর মতে, এটা ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই লাভজনক হতে পারে।

হিরোশি সুজুকি আরও বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম সম্ভবত ২০২৭ সালের মধ্যে শুরু হবে। একটি শিল্পাঞ্চল নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যার মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চলের সংযোগ স্থাপিত হবে।

রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলবিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি ওই বৈঠকে জাপানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এর মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং জাপানসহ অন্যান্য দেশের বিনিয়োগ আসার পথ সুগম হবে।

নির্মীতব্য মাতারবাড়ী বন্দর বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর, যেখানে বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। ত্রিপুরায় দুই দিনের এ বৈঠক আয়োজন করেছিল গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স। প্রতিষ্ঠানের প্রধান সব্যসাচী দত্ত বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর থেকে ত্রিপুরার দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। ফলে মাতারবাড়ী বন্দর ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রপ্তানিকারকদের প্রবেশদ্বার হতে পারে।

চীন তার আলোচিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে, জাপান ও ভারত তার বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকা অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণ করছে।

বৈঠকে সুজুকি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইতিমধ্যে তিন শতাধিক জাপানি কোম্পানি কাজ করছে। দুই দেশের মধ্যে শিগগিরই অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি হতে পারে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প উৎপাদন বাড়বে এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে।

এক সরকারি বিবৃতির বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত জাপান সফর করবেন।

দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে জাপানের সন্তোষ

বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বিনিয়োগ সম্প্রসারণের আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। অন্যদিকে জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পঞ্চম বাংলাদেশ-জাপান সরকারি-বেসরকারি যৌথ অর্থনৈতিক সংলাপে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন প্লাটফর্মে এ যৌথ অর্থনৈতিক সংলাপ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং জাপান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের (এমইটিআই) আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী হিরাই হিরোহাইড।

অর্থনৈতিক সংলাপে উভয়েই বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা সম্প্রসারণের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) মডেলের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রমের অগ্রগতিতে জাপান সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। জাপানি পক্ষ এ সময় বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন খাতে জাপানি বিনিয়োগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। একই সঙ্গে জাপানি বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও জানান তারা।

সংলাপে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া জাপানের বিনিয়োগকারীরা আগে যেসব ক্ষেত্রে কাজ করেছে, সেসব এলাকার অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে আলোচনা হয়, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। এ সময় দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে এ ধরনের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি জাপান-বাংলাদেশ পাবলিক-প্রাইভেট অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবরা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক আলোচনায় অংশ নেন। বেসরকারি খাত থেকে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও জেবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি, জাপানের পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এবং জাইকা বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধানরা এ সংলাপে অংশ নেন।

বিদেশি মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবে শিপিং ও বিমান পরিবহন সংস্থা

বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং কোম্পানি ও বিমান পরিবহন সংস্থার নামে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব শিপিং ও বিমান সংস্থাগুলো বিদেশে সেবা সম্প্রসারণ করছে, যার আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায়। এসব হিসাব থেকে প্রয়োজনীয় খরচ মেটানো যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইনসের বৈদেশিক কার্যক্রম প্রসার লাভ করছে। এ বিবেচনায় আয় বাবদ বিদেশ থেকে যে অর্থ আসবে, তার ৭৫ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে জমা করা যাবে। অবশিষ্ট অর্থ টাকায় নগদায়ন করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি দিয়ে জাহাজ ও বিমানের পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়, যেসব বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইনস বিদেশি সংস্থার কাছে জাহাজ, কনটেইনার বা এয়ারক্রাফট ভাড়া দিয়ে থাকে, সেসব কোম্পানিও বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার ৫০ শতাংশ ওই হিসাবে জমা রাখা যাবে, যা জাহাজ, কনটেইনার বা এয়ারক্রাফটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে ব্যবহার করা যাবে।

শিপইয়ার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে বড় বিনিয়োগ বিএইর

ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে নিজেদের একটি শিপ রিপেয়ারিং ইয়ার্ডের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিএই সিস্টেমস। এই উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে ড্রাইডকিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য পার্লসন শিপলিফট সংযোজন। এটি হবে আমেরিকায় এই ধরনের সবচেয়ে বড় লিফট।

বিএইর এই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি ডলার। ২০২৫ সাল নাগাদ প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ইয়ার্ডটির ড্রাইডকিং সক্ষমতা ৩০০ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন পার্লসন শিপলিফটের সক্ষমতা হবে ২৫ হাজার টন এবং এর দৈর্ঘ্য হবে ৪৯২ ফুট, যা সহজেই একটি আর্লে বার্কে ক্লাস ডেস্ট্রয়ার অথবা যেকোনো লিটোরাল কম্ব্যাট শিপ (এলসিএস) লিফট করতে পারবে।

বিএইর জ্যাকসনভিল ইয়ার্ডটির অবস্থান মার্কিন নৌবাহিনীর মেপোর্ট নেভাল স্টেশনের কাছে। এই ঘাঁটিটি ফ্রিডম-ক্লাস এলসিএসগুলোর প্রাইমারি হোম পোর্ট হিসেবে কাজ করে।

জাপানি শিপিং কোম্পানির কাছ থেকে ১১টি জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েছে সিএসএসসি

সম্প্রতি ফ্রান্সের সিএমএ সিজিএমের কাছ থেকে রেকর্ড সংখ্যক কনটেইনার জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েছে চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং করপোরেশন (সিএসএসসি)। এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি বড় কার্যাদেশ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার গ্রাহক জাপানের কুমিআই সেনপাকু কোম্পানি লিমিটেড।

মার্চ মাসে বিশ্বে মোট জাহাজনির্মাণ কার্যাদেশের প্রায় ৪০ শতাংশ পেয়েছে চীনের শিপইয়ার্ডগুলো। এর মাধ্যমে গত মাসে আবার জাহাজনির্মাণ কার্যাদেশ প্রাপ্তিতে শীর্ষস্থানে ফিরে এসেছে দেশটি।

গত ৭ এপ্রিল কুমিআই ও সিএসএসসির মধ্যে ১০টি মাল্টি-পরপাস জাহাজ নির্মাণের বিষয়ে চুক্তিটি হয়। এগুলোর ধারণক্ষমতা হবে ৮৪ হাজার ৫০০ ডিডব্লিউটি করে। এছাড়া ১৭ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি অ্যাসফল্ট ক্যারিয়ারেরও অর্ডার দিয়েছে কুমিআই।

সিএসএসসির সঙ্গে সিএমএ সিজিএমের চুক্তিটি ছিল ১২টি কনটেইনার জাহাজ নির্মাণের, যেটি একক চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জাহাজনির্মাণ কার্যাদেশের রেকর্ড। সে হিসাবে কুমিআইয়ের সঙ্গে সিএসএসসির চুক্তিটি কোম্পানিটির পাওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্যাদেশ।