Home Blog Page 41

তরুণ প্রজন্মের জন্য কেপিআই ওশান কানেক্টসের ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম ‘গেট ফুয়েলড’

পরবর্তী প্রজন্মকে সামুদ্রিক জ্বালানি ব্যবসায় আগ্রহী করে তুলতে দুই বছর মেয়াদি বৈশ্বিক প্রশিক্ষণ প্রোগাম ‘গেট ফুয়েলড’ শুরু করছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামুদ্রিক জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কেপিআই ওশান কানেক্টস।

প্রোগ্রামে প্রশিক্ষণার্থীদের সামুদ্রিক জ্বালানি বাণিজ্য, সাপ্লাই এবং লজিস্টিকের ওপর সামগ্রিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সামুদ্রিক জ্বালানি খাতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের ভ্রমণ এবং টিম বিল্ডিং অ্যাক্টিভিটির সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে তারা বিশ্বের নানা প্রান্তের সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। এছাড়া গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কেপিআইয়ের ১৬টি অফিসের যেকোনো একটিতে থেকে নানা সংস্কৃতি শেখার এবং নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ দেওয়া হবে।

সেপ্টেম্বর থেকে প্রোগ্রামটি ডেনিশ মেরিটাইম একাডেমির কোর্সগুলোর সাথে একত্র করে করানো হবে, যার ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা শিপিংয়ের ওপর একটি ফাউন্ডেশন ডিগ্রি লাভ করবে।

পরিচালন দক্ষতা বাড়ালে শিপিং খাতে সাশ্রয় হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার: জিএমএফ

২০৫০ সাল নাগাদ ডিকার্বনাইজেশন নিশ্চিত করতে সমুদ্র পরিবহন শিল্প একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গ্লোবাল মেরিটাইম ফোরামের (জিএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, চারটি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অপারেশনাল এফিসিয়েন্সি বা পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করলে কার্বন ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি সমুদ্র পরিবহন শিল্পে বার্ষিক ৫০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব।

সমুদ্র পরিবহন শিল্পে কার্বন নির্গমন সম্পূর্ণরূপে কমাতে হলে জিরো-ইমিশন ফুয়েল (জেডইএফ) বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। বর্তমানে এসব জ্বালানি এবং প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী নয়। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এবং প্রযুক্তি সাশ্রয়ী হওয়ার আগে বিকল্প হিসেবে স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

জিএমএফের গবেষণা অনুযায়ী পদক্ষেপগুলো হলো, সুষ্ঠুভাবে পারফরম্যান্স ডেটার স্বচ্ছতা এবং মান নির্ধারণ, কাজের গতি এবং পরিমাণ বাড়াতে প্রচলিত কর্মপদ্ধতির মানোন্নয়ন এবং নতুন নতুন কর্মপদ্ধতি উদ্ভাবন, চুক্তিতে ভার্চুয়াল অ্যারাইভাল ক্লজের অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করা (অর্থাৎ কোনো কারণে ডিসচার্জ পোর্টে দেরি হলে জাহাজের গতিতে সামঞ্জস্য এনে নির্ধারিত সময়ে ডিসচার্জ বা লোডিং পোর্টে প্রবেশের অনুমতি থাকতে হবে) এবং সবশেষে নতুন ধরনের ব্যবসা চালু করতে নিয়ম-নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে সমুদ্র পরিবহন শিল্পের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি।

এই চারটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করলে জাহাজের জ্বালানি, খরচ এবং সময় বাঁচনো যাবে। যার ফলে বছরে জাহাজ এবং নৌবহরের জ্বালানি খরচের ২০% পর্যন্ত অর্থাৎ বর্তমান বাজারমূল্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার কমানো সম্ভব। সেসঙ্গে জাহাজ শিল্পে বার্ষিক ২০০ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা চালু

পণ্য রপ্তানির প্রধান গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ২০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা চালু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে গত দুই মাসে দুটি জাহাজ ভেড়ানোর পর রোববার (১৯ মার্চ) বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা উম্মুক্ত করা হলো।

এখন আগের চেয়ে বেশি পণ্য বোঝাই করে বন্দরের জেটিতে বড় জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ যেমন কমবে, তেমনি জেটিও কম লাগবে। এ ছাড়া বন্দর থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশে কনটেইনারবাহী জাহাজসেবা চালুর সুযোগও বাড়বে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এইচআর ওয়েলিংফোর্ডের সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ করার পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ বড় জাহাজ ভিড়ানোর উদ্যোগ নেয়। গত ১৫ জানুয়ারি বন্দরের জেটিতে ভিড়ানো হয় ‘এমভি কমন অ্যাটলাস’ নামের ২০০ মিটার লম্বা একটি জাহাজ। আর ২৫ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে ভেড়ানো হয় এমভি মেঘনা ভিক্টরি নামের আরেকটি জাহাজ।

১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৮৬ মিটার লম্বা ও ৯ দশমিক ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ানো যেত। ২০১৫ সাল থেকে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভেড়ানো শুরু হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর জোয়ার-ভাটা নির্ভর একটি প্রাকৃতিক বন্দর। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বাড়লে জাহাজগুলো বন্দরের নিজস্ব পাইলটের মাধ্যমে সাগর থেকে কর্ণফুলী নদী দিয়ে মূল জেটিতে আনা-নেওয়া করা হয়। অন্যদিকে গুপ্ত বাঁকে প্রশস্ততার সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে জাহাজের দৈর্ঘ্য বাড়াতে বড় বাধা ছিল। কারণ, গুপ্ত বাঁক দিয়ে প্রায় ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে জাহাজ জেটিতে আনা–নেওয়া করতে হয়।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে কনটেইনার ভাড়া ২৪% কমেছে

২০২২ সালের আগস্টে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে কনটেইনার ভাড়া সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সেই সময়ের পর থেকে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে মালবাহী কনটেইনারের ভাড়া ২৪% হ্রাস পেয়েছে।

টানা সাত মাস ভাড়ায় এই দরপতন পরিলক্ষিত হচ্ছে। জেনেটার মাসিক শিপিং ইনডেক্স অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১৩.৩%, ফেব্রুয়ারিতে ১% এবং মার্চ মাসে সর্বনিম্ন ০.৫% দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে মার্চে দরপতনের হার কমায় আশাবাদী নন বলে জানান জেনেটার সিইও প্যাট্রিক বেরগ্লুন্ড। তার মতে, নতুন কোনো বৈধ চুক্তি না হওয়ায় দরপতনের হারে এই পরিবর্তন এসেছে।

এদিকে ইউরোপে দরপত্রের মৌসুম ইতিমধ্যে অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় শিগগির কনটেইনার ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। এছাড়া বর্তমানের অনিশ্চিত বাজার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক দোলাচল এবং চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় আগামী দিনগুলোতেও দরপতন অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জেনেটা।

শিপিং খাতে ডিজিটাইজেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের ব্যবধান কমাতে হবে: ওশান টেকনোলজিস সিইও

বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হলে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে হলে সমুদ্র পরিবহন খাতে ডিজিটাইজেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের ব্যবধান কমানো উচিত বলে মনে করেন ওশান টেকনোলজিস গ্রুপের (ওটিজি) সিইও থমাস জানজিঙ্গার।

জানজিঙ্গারের মতে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের অ্যানালগ তথ্য ডিজিটাইজ করতে হবে। যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেসেস (এপিআই) এর বিস্তারের কারণে পূর্বের বৈসাদৃশ্যপূর্ণ তথ্যের মধ্যে বর্তমানে সহজেই সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে। তাই কেউ যদি নিজের তথ্য ডিজিটালি হালনাগাদ না করে তবে অন্যরা সে সুযোগ লুফে নেবে এবং সেই ব্যক্তির ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সম্মানহানি ঘটবে।

এছাড়া বর্তমানে ভোক্তা এবং বিনিয়োগকারীরা ডিকার্বনাইজেশনসহ এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল এবং গভর্ন্যান্সের (ইএসজি) ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের অবশ্যই তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে নিজেদের ইতিবাচক কার্যক্রম এবং ব্যবসার পজিটিভ ইমেজ তুলে ধরা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

চট্টগ্রাম বন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে বন্দর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান ও পর্ষদ সদস্যবৃন্দ। এ সময় বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বন্দর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বন্দরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বন্দর চেয়ারম্যান। বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় পুরস্কার বিতরণের পর।

বন্দরের মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে জাতির পিতার জন্মদিনে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে পরিবেশন করা হয় উন্নতমানের খাবার । বিকালে বন্দরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বন্দর স্টেডিয়ামে অভ্যন্তরীণ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন পর্ষদ সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান।

নিরাপদে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি পরিবহনের জন্য তৈরি হচ্ছে নির্দেশিকা

কার্বনের পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে মানুষ বর্তমানে ইলেকট্রনিকস পণ্যকে বেছে নিচ্ছে। যার ফলে সমুদ্রপথে তথা কনটেইনারে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি পরিবহনের পরিমাণ বেড়েছে। তবে এই ধরনের ব্যাটারি পরিবহনের ক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগসহ বেশকিছু ঝুঁকি থাকে।

সমুদ্র পরিবহনের প্রতিটি ধাপে নিরাপদে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি বহনের জন্য অংশীদারদের সাথে মিলিতভাবে ‘লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিজ ইন কনটেইনারস গাইডলাইনস (১০১.এ)’ তৈরি করছে কার্গো ইন্সিডেন্ট নোটিফিকেশন সিস্টেম নেটওয়ার্ক। এর পাশপাশি রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স চেকলিস্ট; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি রেসপন্স এবং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষামূলক সচেতনতা সংক্রান্ত আরও তিনটি নথি প্রকাশ করা হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে শিপিং কোম্পানিগুলো পরিবহনের সময় ব্যাটারির চার্জ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ৫০% বা তার চেয়ে (৩০% হলে সবচেয়ে ভালো হয়) কম চার্জের ব্যাটারি বহন করা হয় এবং বহনের সময় চার্জ দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।

মার্কিন ওশান শিপিং অ্যাক্টের প্রস্তাবিত সংশোধন ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি

যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত ফেডারেল অ্যান্টিট্রাস্ট আইন থেকে বিদেশি ক্যারিয়ার কোম্পানিগুলোর রেয়াত বাতিল করতে ওশান শিপিং অ্যাক্টের প্রথম সংশোধনী পেশ করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।

মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, উৎপাদনকারী এবং ভোক্তাদের প্রতি হয়ে আসা অন্যায্য আচরণ বন্ধ করতে ‘ওশান শিপিং অ্যান্টিট্রাস্ট এনফোর্সমেন্ট অ্যাক্ট’ সংশোধনীর পেশ করেন আইনপ্রণেতারা। তাদের মতে, সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে বিদেশি কোম্পানিগুলোর যোগসাজশ এবং একচেটিয়া ব্যবসা, অযৌক্তিক এবং একতরফা কনটেইনার রেট বৃদ্ধি এবং অত্যধিক ডিটেনশন এবং ড্যামারেজ ফি হ্রাস পাবে।

অন্যদিকে এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে ওয়ার্ল্ড শিপিং কাউন্সিল জানায়, সংশোধনীটি বাস্তবায়িত হলে ক্যারিয়ার কোম্পানিগুলোর মধ্যকার ভেসেল শেয়ারিং এগ্রিমেন্ট বাতিল হয়ে যাবে। যার ফলে প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং মার্কিন শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে অধিক সংখ্যক বন্দরে পণ্য পাঠানো দুষ্কর হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশ-মধ্যপ্রাচ্য রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করতে যাচ্ছে সিএমএ-সিজিএম

লরেন্ট ওলমেটা

লজিস্টিক সেবা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সিএমএ-সিজিএম বাংলাদেশ-মধ্যপ্রাচ্য রুটে জাহাজে পণ্য পরিবহন পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লরেন্ট ওলমেটা ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন সম্প্রতি। এ সময় প্রথম আলোর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।

লরেন্ট ওলমেটা বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা বেশ ভালো হওয়ার কারণে আমরা নতুন নতুন সেবা যোগ করছি। সম্ভাবনা দেখেই সেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির যে গতি এখানে আছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আরও ভালো ব্যবসা হবে। নতুন নতুন বিনিয়োগ আসবে। বিশেষ করে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। এটি চালু হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আলাদা গতি পাবে। এসব ভেবে আমরাও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী মাসে বাংলাদেশ-ভারত উপসাগরীয় সার্ভিসের (বিআইজিইএক্স) মাধ্যমে বাংলাদেশ-মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে নতুন একটি শিপিং (জাহাজে পণ্য পরিবহন) পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে উপসাগরীয় অঞ্চলের জেবেল আলী এবং খলিফা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করতে আমাদের এই প্রয়াস। এ পথে জাহাজ চলাচল করলে ভারতের নাভা শিভা ও মুন্দ্রা বন্দরও সংযুক্ত হবে। তাতে এটি একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সেবা হিসেবে পরিচিত পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় অংশ ইউরোপ–আমেরিকার সঙ্গে হলেও নতুন এ পথও ভবিষ্যতে ভালো করবে। এ পথের আরও একটি বৈশিষ্ট্য, জাহাজে পণ্য দুবাই গিয়ে সেখান থেকে সরাসরি ইউরোপ ও আমেরিকায় কার্গো বিমানে দ্রুত পণ্য পরিবহনের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

লরেন্ট ওলমেটা বলেন, নতুন এ সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কা উপসাগর একটি সমুদ্রপথ হিসেবে চিহ্নিত হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমুদ্রপথকে মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতের পশ্চিম উপকূলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করল। এ পরিষেবা দ্রুত ট্রানজিট সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে উপসাগরীয় জেবেল আলী বন্দর হয়ে আবুধাবিতে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ থেকে ৮ দিনে ভারতের নাভা শিভা বন্দরে ও ১০ দিনের মধ্যে মুন্দ্রা বন্দরে পৌঁছাবে।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের প্রস্তাব অনুমোদন

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করার জন্য চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ কাজ করবে।

বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বৈঠকে পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবের ৪৪৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার পুরোটাই সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হবে।

বৈঠকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন ছাড়াও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’-এর বহিঃসীমা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ ১৯ হাজার ৮৩ টাকা কমিয়ে সংশোধিত চুক্তিমূল্য ১১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের বরাদ্দ হওয়া গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সেবা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। চলতি মাসেই সরাসরি কিংবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ণ প্রকল্প দুইয়ের তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও চতুর্থ পর্যায়সহ শিগগির ৫৭ হাজার ৭৩৭টি গৃহ হস্তান্তর করা হবে।