Home Blog Page 42

সুনীল অর্থনীতি অর্জনের লক্ষ্যে ইউএফএম এবং ডব্লিউওসি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

২০২১ সালে টেকসই সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করে ইউনিয়ন ফর দ্য মেডিটেরিয়ান (ইউএফএম)। এরই ধারাবাহিকতায় ভূমধ্যসাগরীয় সুনীল অর্থনীতি খাতে প্রাইভেট সেক্টরের অংশগ্রহণ এবং নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করতে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ওশান কাউন্সিলের (ডব্লিউওসি) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইউএফএম।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগরীয় পর্যায়ে সমুদ্র পরিবহন খাত এবং সামুদ্রিক খাতে ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা, সম্পৃক্ততা, করপোরেট রেসপন্সিবিলিটি, স্টুয়ার্ডশিপ বাড়াতে উভয়পক্ষ একত্রে কাজ করবে।

এছাড়া সুনীল ব্যবসার বিকাশ এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি, ব্লু স্কিল, ক্যারিয়ার, চাকরি, সুনীল অর্থনীতির বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্ষমতা সৃষ্টি, সুনীল অর্থনীতিতে টেকসই বিনিয়োগ এবং ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সুনীল অর্থায়ন প্রক্রিয়া শুরু করতে ইউএফএম এবং ডব্লিউওসি একে অন্যকে কৌশলগত সহযোগিতা করবে।

চার প্রতিষ্ঠান রপ্তানির ৩৮০ কোটি টাকা দেশে আনেনি

জাল নথি তৈরি করে রপ্তানির আড়ালে চার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক ফখরুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঢাকার দক্ষিণখানের সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৭৮০টি চালানে ৯৯৭ টন মেনস ট্রাউজার, টি-শার্ট, বেবি সেট, ব্যাগ, পোলো শার্ট, জ্যাকেট, প্যান্ট ও হুডি রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা (১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৭ ডলার)। কিন্তু এ অর্থ দেশে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর রমনা থানার এশিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১৩৮২টি চালানের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৮৫ টন টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ২৮২ কোটি টাকা (২ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৬ ডলার)। কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার ও যুক্তরাজ্যে এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

রাজধানীর দক্ষিণখান বাজারের ইমু ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২৭৩টি চালানের মাধ্যমে ২ হাজার ৫২৩ টন টি-শার্ট, ট্রাউজার ও টপস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ৬২ কোটি টাকা (৬৫ লাখ ৪ হাজার ৯৩২ ডলার)। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

ঢাকার উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের ইলহাম নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৩৯টি চালানের মাধ্যমে ৬৬০ টন টি-শার্ট, ট্যাংক টপ ও লেডিস ড্রেস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা (১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮৫ ডলার)। কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফখরুল আলম।

পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে এনবিআর

পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনের আওতায় আমদানি পণ্যের তালিকায় ডিজেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ডিজেল আমদানি করা হবে।

সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এনআরএল) শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে ফুলবাড়ী হয়ে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকার মহানন্দা নদীর তলদেশ দিয়ে পাইপলাইনে বাংলাদেশে ডিজেল আসবে। এই পাইপলাইন দিয়ে পার্বতীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ডিপোতে যাবে ডিজেল। ১০ ইঞ্চির এই পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।

চলতি মাসেই এ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। এ জন্য এনবিআরের একটি আনুষ্ঠানিক অনুমতির প্রয়োজন এবং প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ এ প্রক্রিয়ায় ডিজেল আমদানির অনুমতি দিল।

জানা গেছে, দুই দেশ মিলিয়ে ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পাইপলাইন নির্মিত হয়েছে। ভারতীয় অর্থায়নে দ্বিপক্ষীয় এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ গত ১২ ডিসেম্বর শেষ হয়। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পের আওতায় এই পাইপলাইন বসানো হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ কাজের উদ্বোধন হয়েছিল।

পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য বিপিসি ২০১৭ সালের এপ্রিলে এনআরএলের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করে। একই বছরের অক্টোবরে এনআরএল বাংলাদেশে গ্যাস ও তেল (ডিজেল) রপ্তানির জন্য বিপিসির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি আরেকটি চুক্তি সই করে।

এত দিন ভারত থেকে বাংলাদেশে রেলপথে ডিজেল আসত। তবে এখন পাইপলাইনে আসবে ডিজেল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এতে প্রতি ব্যারেল ডিজেল আমদানিতে খরচ ছয় ডলারের মতো কম হবে।

‘গ্রিন শিপিং’ উদ্যোগের জন্য ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস ও জাপানের চুক্তি স্বাক্ষর

পরিবেশবান্ধব সমুদ্র পরিবহন নিশ্চিত করতে সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য ও জাপান সরকার একটি চুক্তি এবং লস অ্যাঞ্জেলেস, টোকিও ও ইয়োকোহামা বন্দর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

গ্রিন শিপিং করিডোর তৈরি, উপকূলীয় বায়ুশক্তির বিকাশ, বন্দরে উষ্ণায়ন সৃষ্টিকারী দূষণহ্রাস, পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে একযোগে কাজ করবে দুই দেশ। এছাড়া ১.২ বিলিয়ন ডলারের বন্দর ও মালবাহী অবকাঠামো কর্মসূচির আওতায় গ্রিন শিপিং করিডোর, পোর্ট ডিকার্বনাইজেশন এবং কার্বন নিগর্মনমুক্ত পরিবহন কার্যকর করবে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ট্রান্সপোর্টেশন এজেন্সি।

৯০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষম চট্টগ্রাম বন্দর

১৮টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, অটোমেশন, ইয়ার্ড সম্প্রসারণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের এখন ৯০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।

সোমবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন আমাদের এ বন্দরকে রিজিওনাল হাবে পরিণত করবেন। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে। যা শুধু দেশের নয়, এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বে ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বন্দরে ২৩ হাজার টিইইউস কনটেইনারের জায়গা খালি আছে। আমাদের ইয়ার্ড স্পেস ও হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, বহরের সার্ভিস ভেসেল বেড়েছে। কোভিড পিরিয়ডে অনেক টাগ যুক্ত হয়েছে। এখন ৫৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার ধারণক্ষমতা আছে আমাদের। বন্দরে যন্ত্রপাতির স্বল্পতা নেই। আমাদের ফ্লিটে কিছু অতিরিক্ত ইক্যুইপমেন্ট রেখেছি, যাতে কোনোটি নষ্ট হলে দ্রুত রিপ্লেস করতে পারি। ২০১৫ সালে মোট ইক্যুইপমেন্ট ছিল ৭৭টি, চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন ছিল। এখন দুই শতাধিক ইক্যুইপমেন্ট, কি গ্যান্ট্রি ক্রেন আছে ১৮টি। আগে তিন-চার দিন জাহাজ রিলিজ করতে সময় লাগত, এখন ৩৬-৪৮ ঘণ্টায় জাহাজ রিলিজ করতে পারছি। আন্তর্জাতিক যেকোনো বন্দরের সঙ্গে এখন আমরা প্রতিযোগিতা করতে পারি।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০১০ সালের চট্টগ্রাম বন্দর এবং ২০২৩ সালের চট্টগ্রাম বন্দর এক নয়। এখন এটি আধুনিক ও সুশৃঙ্খল বন্দর। বিশ্ব যখন স্থবির ছিল কোভিডে আমরা তখন ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন কাজ করেছি। দশ বছরের হিসাবে দেখবেন ১০-১২ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি আমাদের। সময়ের সঙ্গে আমরা সক্ষমতা বাড়িয়েছি। পিসিটির কাজ শেষ। অ্যাডভাইজার নিয়োগ হয়েছে। বারবার তাগাদা দিচ্ছি।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, কার্যকরী সদস্য জসিম চৌধুরী সবুজ ও মোয়াজ্জেমুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম ও সচিব মো. ওমর ফারুকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

২০৪১ সালের আগেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বিনিয়োগের উপযোগী জায়গা বাংলাদেশ। এদেশে বিনিয়োগ করলে সফল হবে। এটা বুঝেই বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সরকারের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা বিজনেস সামিটে এসেছেন। এর মাধ্যমে সামিট সফল হয়েছে। এসব উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত রয়েছে। এগুলোর কর্মযজ্ঞ চালু হলে ২০৪১ নয়, তার আগেই আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে যাবো।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের অর্থনীতি ৪৭০ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। এখনকার সরকার ব্যবসাবান্ধব। পদ্মা সেতু চালু করেছে। বিভিন্ন বড় বড় অবকাঠামোর কাজ চলছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞ বলে দেয় ২০৪১ সালে এক ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে নয়, সাড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি হবে, এমন পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন নবম ভোক্তার বাজার। এখানে ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে। যার ৬৮ শতাংশ জনশক্তি কর্মক্ষম। এখানে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। কারণ আমরা ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছি। এখানে ভোক্তা বাজার আছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত-ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। এটি বুঝেই দক্ষিণ করিয়া-জাপানসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগ শুরু করেছে। তারা বুঝেছে এখানে বিনিয়োগ করলে সফল হবেই।

জসিম বলেন, এই প্রথম বাংলাদেশ বিজনেস সামিট করেছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছু ভুল-ত্রুটি হলেও সফলতাই বেশি। সফল হওয়ার অন্যতম কারণ ৮৯৬ জন সামিটে অংশ নিতে রেজিস্ট্রশন করেছে। ৩০০ এর বেশি বিদেশি এসেছে। সামিটে প্রতিটি সেশন ছিল প্রাণবন্ত। বেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা আগ্রহ নিয়ে সেশনগুলোতে অংশ নিয়েছেন। এরইমধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে চারটি ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে। সৌদি আরব আরও বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। আরও কয়েকটি দেশের ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই সামিটের উদ্দেশ্য ছিল ব্র্যান্ডিং করা ও দেশের সক্ষমতা তুলে ধরা, এতে আমরা সফল হয়েছি।

এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিজনেস সামিটের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ১৭টি দেশের ৩০০ এর বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতা অংশ নেন।

কোরিয়া থেকে পাওয়া ঋণের ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে

আগামী পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা পাবে বাংলাদেশ। নমনীয় শর্তে পাওয়া এই ঋণের অর্থ দেশে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রোববার ঢাকায় দুই সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ-সংক্রান্ত দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং কোরিয়ার অর্থনীতি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী সিয়ং-উক কিম। অন্যটি স্বাক্ষর করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক তায়ে-সু কিম।

চলতি ২০২৩ থেকে শুরু করে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণের অর্থ খরচ করা হবে। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, সেগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় ঋণসহায়তা প্রদান করে আসছে।

কোরিয়া সরকারের সহায়তায় ৬১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ব্যয়ে এরই মধ্যে ১৬টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৬২ কোটি ডলার ব্যয়ে ৭টি প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রথমবারের মতো জোয়ারশক্তি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুর

জোয়ারশক্তি বা টাইডাল এনার্জি থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন ও সরবরাহ বাণিজ্যিকীকরণ করতে ‘টাইডাল এনাার্জি ডেমন্সট্রেসন প্রজেক্ট’ হাতে নিয়েছে এনওয়াইকে।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জোয়ারশক্তি ব্যবহার করে উৎপন্ন বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। ব্লু এনার্জি দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পটি সিঙ্গাপুরের সাতুমু দ্বীপে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জোয়ারশক্তির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা, উৎপাদন খরচ এবং সংরক্ষণের বিষয়গুলো মূল্যায়ন করবে এনওয়াইকে। পরবর্তীতে সেসব তথ্য সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তির বাণিজ্যিকীকরণের কাজে লাগানো হবে।

এনবিআরকে কর আদায়ব্যবস্থা সহজ করার নির্দেশনা সরকারের

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, কর আদায় সহজীকরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এ প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি।

রবিবার (১২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে এনবিআর আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস সব খাতে ই-পেমেন্ট করার নির্দেশনা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ভালোর জন্য বলে সবকিছু। সেসব আমরা দ্রুত করতে পারি না, তাই আইএমএফের একটা তাগিদ থাকে।

তিনি বলেন, খসড়া আয়কর আইনেও কর পরিশোধের প্রক্রিয়া সহজীকরণের অনেক বিষয় আনা হয়েছে। করজাল বৃদ্ধির প্রচেষ্টা হিসেবে রিটার্ন ফরম সহজ করা এবং অনলাইনে জমা দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছি আমরা।

করোনা মহামারি-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ও আয়করের হার করদাতার জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন।

এ ছাড়া মূলধনী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, সম্পদ ও মূলধন পাচার রোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ভবিষ্যতে অধিক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে অপ্রদর্শিত আয়কে সহজ শর্তে প্রদর্শনের সুযোগ দিয়ে ধারা-১৯ এ পুনর্বহাল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সব ক্ষেত্র ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন শিপিং এজেন্সি কমিশনের ওপর প্রদেয় উৎসে করের হার ৮ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।

আলোচনায় অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) ন্যূনতম কর ২ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া করপোরেট করের উচ্চহার কমানোর প্রস্তাব দিয়ে সংগঠনটি জানিয়েছে, দেশে সাধারণ করপোরেট ট্যাক্স হার অতালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২০ থেকে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ জরুরি সেবা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ মোবাইল খাতের জন্য উচ্চহারে করপোরেট কর দিতে হয়।

এ ছাড়া ন্যূনতম কর সমন্বয় করা এবং অসমন্বয় করা অঙ্ক জের হিসেবে টানা, ক্যাপিটাল অ্যালাউন্স বা অবচয় ভাতা সমন্বয়, দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি বাস্তবায়ন, ই-সিমসহ সব প্রকার সিম সরবরাহের ওপর ভ্যাট অপসারণ এবং সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভ্যাট অপসারণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। টেলিকম মেশিনারি, ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়্যারের জন্য পৃথক এইচএস কোডের প্রস্তাব দিয়েছে এমটব।

বাংলাদেশ বিড়ি মালিক সমিতি পৃথক প্রস্তাবে বিড়িতে শুল্ক ১৮ টাকা থেকে ন্যূনতম ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করার দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া বিড়ির ওপর অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাবও দিয়েছে।

গুদাম কার্যক্রমে নতুন স্ক্যানিং প্রযুক্তি এনেছে মায়েরস্ক

অর্ডার পিকিং, ব্যাচ প্যাকিং এবং মজুদ পুনঃসরবরাহের মতো গুদাম কার্যক্রমের পরিধি বাড়াতে নতুন একটি প্রযুক্তি তৈরি করেছে মায়েরস্ক।

সিলিকন ভ্যালিতে তৈরি ক্লাউড-বেসড সফটওয়্যার এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ক্যানিং টেকনোলজি একত্র করে নতুন প্রযুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে। গুদামে কর্মীদের পাশাপাশি কাজ করবে প্রযুক্তিটি। এটি গুদামে আনা পণ্য তাৎক্ষণিকভাবে স্ক্যানিং করবে এবং রিয়েল-টাইম ইনভেন্টরি ডেটার মাধ্যমে কোন করিডোর থেকে কোন অর্ডার বাছাই করতে হবে, সেই তথ্য দেবে। যার ফলে গুদামের থ্রোপুট বাড়বে এবং ই-কমার্স অর্ডার প্রসেসিং দ্রæততর হবে।