Home Blog Page 47

২০৭০ সাল নাগাদ জিরো-কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভারতের প্রয়োজন ‘গ্রিন শিপিং রোডম্যাপ’

২০৩০ সাল নাগাদ ডিকার্বোনাইজেশন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০৭০ সাল নাগাদ জিরো-কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ভারতের নৌপরিবহন খাতে ‘গ্রিন শিপিং রোডম্যাপ’ একান্ত প্রয়োজন।

ভারতের নৌপরিবহনমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, কার্বনের ব্যবহার হ্রাস করে সুপরিকল্পিত সবুজায়ন এবং সবুজ রূপান্তর নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা মাফিক আগোতে হবে। নৌপরিবহন খাতে দূষণের মাত্রা কমিয়ে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত পরিবতর্নের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

২০৭০ সাল নাগাদ পুরোপুরি নিঃসরণমুক্ত হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা থেকে তা আরও দুই দশক বেশি। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে সরকার বলছে, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তাদের স্বল্প খরচের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের সুবিধা আরও কয়েক বছর অব্যাহত রাখার সুযোগ দিতে হবে।

নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে টাইডাল পাওয়ার ব্যবহারে আগ্রহী চীন

কার্বনের ব্যবহার কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস ওশান এনার্জি তথা টাইডাল পাওয়ারের দিকে ঝুঁকছে চীন।

ওশান এনার্জির বিভিন্ন ধরন নিয়ে কাজ করছে চীন। যার ভেতর টাইডাল ব্যারেজের বাণিজ্যিক ব্যবহার ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। টাইডাল স্টিম জেনারেশেন বাণিজ্যিকীকরণের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং ওয়েভ পাওয়ার ইন্সটলেশনের সি ট্রায়াল চলছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে চীন।

২০১৮ সালের শেষে চীনের সমুদ্রভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৭.৪ মেগাওয়াট এবং সেখান থেকে এ পর্যন্ত ২৩৪ গিগাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। গত বছরের মে মাসে চীনের প্রথম সম্মিলিত টাইডাল এবং সোলার পাওয়ার স্টেশন গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ তিন হাজার বাড়িতে সরবরাহ করা যাবে।

টেকসই সরকারি ক্রয় নীতিমালার খসড়া প্রকাশ

সাসটেইনেবল পাবলিক প্রকিউরমেন্ট পলিসি বা টেকসই সরকারি ক্রয় নীতিমালার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) ওয়েবসাইটে নীতিমালাটির খসড়া প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি দপ্তরে অংশীজনের মতামত চেয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে সিপিটিইউ।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বদ্বীপ পরিকল্পনা, রূপকল্প-২০৪১, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দও। এতে সরকারি ক্রয়ে ব্যয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সরকারি ক্রয়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজির ১২.৭ নম্বর লক্ষ্য হচ্ছে সরকারি ক্রয়ে টেকসই পদ্ধতির প্রবর্তন। এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে টেকসই সরকারি ক্রয় নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই যেকোনো পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা

এখন থেকে ঘোষণা ছাড়াই সেবা খাতের আয় করা ২০ হাজার ইউএস ডলার বা সমতুল্য অন্য মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে এটি ছিল ১০ হাজার ইউএস ডলার বা সমতুল্য অন্য মুদ্রা। তবে, প্রবাসীরা যেকোনো পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনও ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখায় পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে সেবা খাতের আয় বাবদ প্রাপ্ত রেমিট্যান্স সম্পর্কে অনলাইনে ঘোষণার (সি-ফরম নামে পরিচিত) ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছে। সি-ফরমে ঘোষণা ছাড়াই এখন থেকে সেবা খাতের ২০ হাজার ইউএস ডলার বা সমতুল্য অন্য মুদ্রায় প্রাপ্ত আয় আনা যাবে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সি-ফরমে ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার ইউএস ডলার পর্যন্ত আয় প্রত্যাবাসনের সুবিধার ফলে সেবা রপ্তানিকারকরা অহেতুক সময়ক্ষেপণ ছাড়াই প্রাপ্ত আয় নগদায়ন করতে পারবেন।

ড্রাইডক এবং শিপ রিপেয়ার ইয়ার্ড চালু করছে জ্যামাইকা

চলতি বছরের শেষে কার্যক্রম শুরু করবে জ্যামাইকার ‘জার্মান শিপ রিপেয়ার জ্যামাইকা শিপইয়ার্ড’। জার্মান কোম্পানি হ্যারেন অ্যান্ড পার্টনার গ্রুপ এবং ক্লোস্কা গ্রুপের যৌথ অংশীদারিত্বে শিপইয়ার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

২০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রাইডকটি বিভিন্ন ধরনের মেইনটেন্যান্স পরিষেবা প্রদান করবে। এছ্ড়াা ইয়ার্ডে আনুমানিক ৭০৫ ফুট লম্বা জাহাজ হ্যান্ডল করার মতো বার্থ স্পেস থাকবে। প্রথম পর্যায়ে ইয়ার্ডের ভাসমান ড্রাইডক জেএএম-ডক ১ কার্যক্রম শুরু করবে। কার্যক্রম শুরুর পর প্রথম গ্রাহক হিসেবে শিপইয়ার্ড থেকে মেইনটেন্যান্স পরিষেবা গ্রহণ করবে মেক্সিকান জায়ান্ট (৬,৭০০ডিডব্লিউটি)।

জ্যামাইকা ক্যারিবিয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং পানামা খালের মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোর কাছাকাছি অবস্থান করছে। যার ফলে এসব রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলো সহজেই এই শিপইয়ার্ড থেকে পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবে।

দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

দিনব্যাপী নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনের শুরুতে বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান ও পর্ষদ সদস্যবৃন্দ। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিবিএ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও বন্দর পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত রচনা ও সুন্দর হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

বন্দর চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের রয়েছে। একমাত্র বাঙালি জাতি ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন জাতি ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষার সুরক্ষা দিয়েছে এবং তারই সূত্র ধরে ক্রমান্বয়ে এসেছে স্বাধীনতা।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-ভাবনার সামঞ্জস্যতা তুলে ধরেন এবং উপস্থিত সকলকে ২১ এর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে কলেজ, বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সবশেষে দিবসটি উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান দপ্তর, ওয়ার্কশপ, আবাসিক ভবন, বিদ্যালয় ও বন্দরে অবস্থানরত সকল জাহাজ ও জলযানসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল। দোয়া মাহফিলে বন্দর চেয়ারম্যান, পর্ষদ সদস্যবৃন্দ ও বিভাগীয় প্রধানগণ অংশ নেন।

রিজিওনাল হাব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে গুরুত্ব দিতে হবে

মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের অবস্থান আরও উজ্জ্বলতর করতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো, রিজিওনাল হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সজাগ থাকতে হবে দুর্নীতি, অনিয়মের ক্ষেত্রেও।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান মিলনায়তনে ‘ডেভেলপমেন্ট ইমপারেটিভস অ্যান্ড ইন্টিগ্রিটি চ্যালেঞ্জেস ইন পোর্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দর, মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) ও গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এ সেমিনার আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটিতে জাহাজ আসা যাওয়া জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে শুরু হয়েছে সরাসরি জাহাজ চলাচল। সম্প্রতি বন্দরে ১০ মিটার ড্রাফট এবং ২০০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়ানো শুরু হয়েছে। গ্যান্ট্রি ক্রেন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আরও ইকুইপমেন্ট কেনার পরিকল্পনা আছে।

তিনি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে টার্মিনাল ইত্যাদি প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষে মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল হাব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জানিয়ে বলেন, তখন মোংলা, পায়রাসহ প্রতিবেশী অনেক দেশের বন্দরে ফিডার সার্ভিস চালু হবে।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফারওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল, বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, এমএসিএনের প্রতিনিধি কমডোর (অব.) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, গ্লোবাল কমপেক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাহমিন এস জামান।

বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে ৬৬২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে এমএআরএডি

পোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে (পিআইডিপি) ৬৬২ মিলিয়ন ডলার তহবিল বরাদ্দ করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশন’স মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমএআরএডি)। এ লক্ষ্যে একটি নোটিস অব ফান্ডিং অপরচুনিটি (এনওএফও) ঘোষণা করে এমএআরএডি।

পিআইডিপি প্রোগ্রাম বন্দর আধুনিকীকরণ, নিরাপদ, কার্যকর এবং নির্ভরযোগ্য বন্দর নির্মাণ, সাপ্লাই চেইন জোরদার, শিপিং সময় ও ব্যয় হ্রাস এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্টের ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্যাকেজ পিআইডিপি প্রোগ্রামে বার্ষিক ৪৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সরবরাহ করে।

২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হবে

dig

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে। আগামী জুলাই নাগাদ জেটি ও কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।

রবিবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশের (এসআরএফবি) একটি প্রতিনিধিদল এবং চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের একটি দল পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ্যিক হাব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন, মাতারবাড়ী বন্দরও প্যারালাল লাইফ লাইন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ এখনকার স্মার্ট দেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা দেশে এসেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭শ ৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও এপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, পর্ষদ সদস্যবৃন্দ ও প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরবে এফবিসিসিআই

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। এ সামিটের মূল লক্ষ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, যা আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সামিটের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১১-১৩ মার্চ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩, বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩ এবং বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩।’ এতে দেশী-বিদেশী ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ বিশ্বের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে তিনদিনের এ সামিট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামিটের উদ্বোধন করবেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরো ত্বরান্বিত করতে এ সামিট বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সামিটের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বাজার বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা এবং উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং নীতিনির্ধারকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনা, বিটুবি মিটিং, নেটওয়ার্কিং সেশন ইত্যাদি।’ এ সামিটে সহযোগিতা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

মো. জসিম উদ্দিন আরো বলেন, ‘এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ১২ থেকে ১৫টি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নেবেন বলে আমরা আশা করছি। পাশাপাশি কয়েকটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এবং ইইউর ট্রেড কমিশনারকেও আনার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৃহৎ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কেননা, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সুতরাং এখনই সময় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার। এখনই সময় আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে যাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।’