Home Blog Page 48

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরবে এফবিসিসিআই

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। এ সামিটের মূল লক্ষ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, যা আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সামিটের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১১-১৩ মার্চ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩, বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩ এবং বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩।’ এতে দেশী-বিদেশী ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ বিশ্বের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে তিনদিনের এ সামিট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামিটের উদ্বোধন করবেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরো ত্বরান্বিত করতে এ সামিট বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সামিটের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বাজার বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা এবং উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং নীতিনির্ধারকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনা, বিটুবি মিটিং, নেটওয়ার্কিং সেশন ইত্যাদি।’ এ সামিটে সহযোগিতা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

মো. জসিম উদ্দিন আরো বলেন, ‘এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ১২ থেকে ১৫টি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নেবেন বলে আমরা আশা করছি। পাশাপাশি কয়েকটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এবং ইইউর ট্রেড কমিশনারকেও আনার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৃহৎ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কেননা, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সুতরাং এখনই সময় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার। এখনই সময় আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে যাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।’

ভ্যাঙ্কুবার বন্দরে নতুন টার্মিনাল নির্মাণের কাজে অগ্রগতি

ভ্যাঙ্কুবার বন্দরের রবার্টস ব্যাংক টার্মিনাল ২ প্রকল্পটি অনুমোদিত করেছেন কানাডার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী স্টিভেন গিলবু।

প্রকল্পটি মৎস্যসম্পদ, মাছের আবাসস্থল, লবণাক্ততা এবং স্থানীয় আদিবাসী গোষ্ঠীদের ওপর কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রকল্প পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই সরকারি অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কানাডার ওয়েস্ট কোস্ট কনটেইনার টার্মিনালের ধারণক্ষমতা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশটির ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ-ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের তাগিদ

বাংলাদেশ ও ভারতের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক সাদৃশ্য ও সম্পর্ককে কাজে লাগাতে পারলে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে। এক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ভারতীয় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুবির চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে।

চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুদেশের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে, যা আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। সে জন্য আমাদের সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) পলিসি অত্যন্ত লাভজনক। ত্রিপুরাকে ঘিরে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরো এগিয়ে নিতে পারলে উভয় দেশই লাভবান হবে।’ দুদেশের মধ্যে অনেক বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে এ বৈষম্য দূর করা সম্ভব। তিনি ভারতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পাঞ্চল মিরসরাই শিল্পনগরে বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান।

বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুবির চক্রবর্তী বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের কালচার একই রকম, যা যৌথ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে কালচার মিল না থাকলে যৌথ বিনিয়োগ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের গেটওয়ে না, এটা গেটওয়ে অব ইস্ট। তার সঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টারসসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে যুক্ত করে ইস্টার্ন রিজিওন কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে’

চিটাগাং চেম্বার এবং বেঙ্গল চেম্বার যৌথভাবে একটা ইস্টার্ন রিজিয়ন নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করতে পারে উল্লেখ করে সুবির চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোতে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশ এবং ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নদীর ধারে এবং সাগর তীরকেন্দ্রিক। তাই রিভার ক্রুজ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, লেদার প্রসেসিং, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।’

বিশ্বের প্রথম লিকুইড হাইড্রোজেনচালিত স্বয়ংক্রিয় জাহাজ নির্মাণে ৩.৮ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করবে যুক্তরাজ্য

বিশ্বের প্রথম লিকুইড হাইড্রোজেনচালিত স্বয়ংক্রিয় জাহাজ নির্মাণে একটি কনসোর্টিয়ামকে ৩.৮ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

পোর্ট অব অ্যাবারডিন, জিরো ইমিশনস মেরিটাইম টেকনোলজিস, ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন, ন্যাশ মেরিটাইম, ট্রিডেন্ট মেরিন ইলেকট্র্রনিক্যাল, অ্যান্ড কম্পোজিট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড ডিজাইন ‘হাইড্রোজেন ইনোভেশন-ফিউচার ইনোভেশন অ্যান্ড ভেসেল ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড ডেমনস্ট্রেশন’ (হাই-ফাইভড) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। কনসোর্টিয়ামের সদস্যরা মিলিতভাবে লিকুইড হাইড্রোজেনচালিত এমন একটি স্বয়ংক্রিয় জাহাজ এবং বাঙ্কারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণ করতে যাচ্ছে, যেটা সামুদ্রিক শিল্পে কার্বন ব্যবহার বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

চলতি মাসে বার্থিং শুরু করতে যাচ্ছে ভারতের গভীরতম বন্দর ভিরেন্নম

চলতি মাস থেকে বার্থিং কার্যক্রম শুরু করবে ভারতের সবচেয়ে গভীর বন্দর ভিরেন্নম।

আদানি পোর্ট কেরালার এই ভিরেন্নম বন্দরের নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে। রাজ্যটির বন্দরমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভিরেন্নম বন্দরের বার্থিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সেটা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ভেতর বন্দরের প্রথম ধাপের কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখ্য, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের ৮০ শতাংশ ভিরেন্নম বন্দরে ট্রানজিট করবে।

আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেন্টারে রূপান্তরিত হতে ২.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে হংকং

আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে মেরিটাইম খাতে ২.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে হংকং। প্রস্তাবিত বাজেট হংকংকে একটি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেন্টারে রূপান্তরিত করবে।

ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড লজিস্টিক ব্যুরোর অধীনে হংকং মেরিটাইম অ্যান্ড পোর্ট বোর্ডের সদস্য এবং সামুদ্রিক পরিষেবা প্রদানকারীদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে জাহাজ ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক বীমা, মেরিটাইম আরবিট্রেশন, জাহাজ অর্থায়নের মতো কৌশলগত বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো, কৌশলগত বিষয়গুলোর ভিত্তিতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা। পাশাপাশি সামুদ্রিক খাতে ডিজিটালাইজেশন এবং কার্বন-নির্গমন রোধের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হবে। কৌশলগত পরিকল্পনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো গ্রেটার বে এরিয়ায় (জিবিএ) প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিত্রতা জোরদার করা। জিবিএ এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ২০ মিলিয়ন হংকং ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।

৬৯০ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে আমদানি হচ্ছে এক কার্গো এলএনজি

পেট্রোবাংলার জন্য জাপানের জেরা নামক কোম্পানির কাছ থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। এ জন্য ব্যয় হবে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তটির কথা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি আমদানিতে খরচ হবে ১৬ দশমিক ৫০ ডলার। এমএমবিটিইউ হচ্ছে তাপের একক।

১ ফেব্রুয়ারি ক্রয় কমিটির বৈঠকেও স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পেট্রোবাংলা খোলাবাজার থেকে এর আগে এলএনজি কিনেছিল ২০২২ সালের মে মাসে। তখন প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম পড়েছিল ২৬ দশমিক শূন্য ৪ ডলার করে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই ফাঁকে দাম কমেছে। এদিকে ইউরোপে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম কমতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সামনে বিদ্যুৎ খাতে দিনে ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। বর্তমানে সরবরাহ হচ্ছে ৯০ কোটি ঘনফুটের কম। তাই গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হলে এলএনজি আমদানি বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ গত বছরের জুনে ২৪ দশমিক ২৫ ডলার করে একটি এলএনজি কার্গো আমদানি করে সরকার। এরপর বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বাড়তে থাকে। সর্বোচ্চ ৭০ ডলার পর্যন্ত উঠে যায় এলএনজির দাম। সে জন্য ডলার সাশ্রয় করতে গত জুলাই থেকে খোলাবাজার থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ রাখে সরকার। এতে দেশে গ্যাসের সরবরাহ-সংকট বাড়ে এবং ব্যাহত হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন।

এদিকে চট্টগ্রামভিত্তিক সরকারি প্রতিষ্ঠান ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি ও টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের জন্য ৪৫ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড ও রক ফসফেট কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। এতে ব্যয় হবে ২০৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

২০২২ সালে সামুদ্রিক দুর্ঘটনার অর্ধেক ঘটেছে বন্দর এবং টার্মিনালে

বিগত বছরের মোট সামুদ্রিক দুর্ঘটনার অর্ধেক সংঘটিত হয়েছে বন্দর এবং টার্মিনালে। যার অধিকাংশ বন্দরের বিভিন্ন পরিষেবা গ্রহণের সময় ঘটেছে।

সমুদ্রপথে চলাচলকারী জাহাজের দুর্ঘটনার ধরন বোঝার জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন, পোর্ট স্টেট কন্ট্রোল (পিএসসি), একাধিক সমিতি, জাহাজ মালিক, ম্যানেজার এবং ফ্ল্যাগশিপ স্টেটগুলোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে রাইটশিপ। রাইটশিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ২৪০০টি সামুদ্রিক দুর্ঘটনার সময় জাহাজের অবস্থান লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার অর্ধেক বন্দর এবং টার্মিনালে সংঘটিত হয়েছে। যার ভেতর ৮১৩টি দুর্ঘটনা জাহাজ বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় ঘটেছে। রাইটশিপের পোর্ট এবং টার্মিনাল ম্যানেজার ইউসেল ইলদিজ জানান, বড় বড় বন্দরগুলো প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের জাহাজ পরিচালনা এবং আদর্শ মান অনুযায়ী নিরাপত্তা প্রদান করতে সক্ষম। তারপরও বন্দরের সীমানায় প্রবেশের পর জাহাজগুলোকে বেশকিছু ঝুকির সম্মুখীন হতে হয়। আমরা যা ধারণা করেছিলাম এসব ঝুঁকির পরিমাণ তার চেয়েও বেশি। যার ফলে বন্দরগুলোকে সবসময় ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সেসঙ্গে দুর্ঘটনা মোকাবিলার সময় বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম যেন সচল থাকে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

রাইটশিপ জানায়, দুর্ঘটনার কারণে জাহাজ চলাচলে বিলম্ব, মালামালের ক্ষয়ক্ষতি এবং দূষণের সৃষ্টি হতে পারে। এতে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। জাহাজ বন্দরে নোঙর করার আগে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো পর্যালোচনা করলে এবং জাহাজ আসা-যাওয়ার তথ্য নথিভুক্ত রাখলে ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর পরিকল্পনা করা সম্ভব।

ভারতীয় এলওসি প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ

ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত আলোচনা করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অনুষ্ঠিত ভারতীয় এলওসির অধীনে প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চ-পর্যায়ের প্রকল্প পর্যবেক্ষণ কমিটির তৃতীয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার যৌথ সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) বিশেষ সচিব (ইআর এবং ডিপিএ) প্রভাত কুমার।

এলওসি অংশীদারিত্বের অধীনে ভারত মোট ৭ দশমিক ৩৬২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৩৪৪ বিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আজ ইআরডি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারতীয় এলওসি চুক্তির অধীনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

দেশের অর্থনীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে। দেশের অর্থনীতি দিন দিন চাঙ্গা হচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতি ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। আমাদের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম আব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবি সভাপতি হামিদ-উদ-জামান।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন উপকরণ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে গত কয়েক মাসে ধীরে ধীরে কমে আসছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে মজুরির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মজুরির হার বেড়ে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে শামসুল আলম বলেন, গত এক মাসে রেমিট্যান্সের ভালো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর জানুয়ারি মাসের হিসাব যোগ দিলে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ গঠনে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি ভূমিকা রাখে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির সঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের কিছু কিছু জায়গায় দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো। দেশের মোট জিডিপির তুলনায় যে ঋণ সংস্থাটি দিয়েছে, তার পরিমাণ খুবই কম। আইএমএফের শর্তের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি। আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের ভর্তুকি কমাতে হতো। সুতরাং আইএমএফ এর ঋণের সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে আইএমএফ আস্থাশীল বলে ঋণ প্রদান করেছে। দেশে ক্রমান্বয়ে সামাজিক বৈষম্য কমছে।