Home Blog Page 50

পণ্য রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয় মালয়েশিয়া, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয়। এসব পণ্যের রপ্তানি মূল্য ২১ লাখ ডলার। পণ্য গেলেও এসব দেশ থেকে রপ্তানির এক ডলারও দেশে আসেনি। কারণ রপ্তানির কাজে জাল দলিল ব্যবহার করা হয়েছে। বৈধপথে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থ পাচারের এমন অভিনব এক ঘটনা উদ্‌ঘাটন করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

নতুন এ পন্হা শনাক্ত করার আগে ৮৫টি চালানে ২১ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়ে গেছে। রপ্তানির চালান প্রস্তুতের সময় একেবারে শেষ মুহূর্তে ২ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের ৯টি চালান জব্দ করেছেন কর্মকর্তারা।

চালানটি রপ্তানি হয়েছে ঢাকার সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের নামে। গত ৩১ জানুয়ারি প্রথম জালিয়াতি শনাক্ত করার পরপরই সাবিহা সাইকি ফ্যাশন ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এই চালানটি রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে কাস্টমস এজেন্ট ছিল লিমাক্স শিপার্স লিমিটেড।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, ৩১ জানুয়ারি পতেঙ্গার একটি বেসরকারি ডিপোতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের একটি দল। জালিয়াতির অভিযোগে সেখানে ২ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের ৯টি চালানের রপ্তানি স্থগিত করা হয়। রপ্তানিকারকের ব্যাংক হিসেবে নাম ছিল অগ্রণী ব্যাংক। সে অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংকের কাছে তথ্য চাইলে তারা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানায়, নথিগুলো অন্য রপ্তানিকারকের নামে ইস্যু করা হয়েছে। অর্থাৎ অন্য রপ্তানিকারকের বিক্রয় চুক্তি কিংবা ঋণপত্রের মাধ্যমে এসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

জানতে চাইলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, এসব চালান জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি হয়েছে। এতে রপ্তানির বিপরীতে বিদেশি মুদ্রা বৈধভাবে দেশে আসার সুযোগ নেই। রপ্তানির টাকা মূলত পাচার হয়ে গেছে।

জালিয়াতির এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অধিদপ্তর।

ব্যয়সাশ্রয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় পরিবর্তন

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা বদলে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ব্যয়সাশ্রয়ী নীতির কারণে কয়েক মাস আগে এডিপির প্রকল্পগুলোর অগ্রাধিকার তালিকা করেছে সরকার।

এখন এডিপি সংশোধন করার সময় সেই তালিকাটিও সংশোধন করা হচ্ছে। নতুন উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাই ঠিক করবে কোন কোন প্রকল্প অগ্রাধিকার তালিকায় রাখবে। ইতিমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। চলতি মাসেই তা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী মাসে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি পাস করা হবে বলে।

বর্তমানে এডিপিতে ১ হাজার ৩৬৩টি প্রকল্প আছে। অর্থনীতির এই চাপের কারণে কয়েক মাস আগে এই প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ শ্রেণিতে ভাগ করেছে সরকার। ‘এ’ শ্রেণির প্রকল্পকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মানে, এসব প্রকল্পে চলতি এডিপিতে যা বরাদ্দ আছে, তা পুরোটাই খরচ করা হবে। ‘বি’ শ্রেণির প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ (দেশজ উৎসের অর্থ) ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। ‘সি’ শ্রেণির প্রকল্পগুলোকে নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হবে।

বর্তমানে ৬৪৬টি প্রকল্প ‘এ’ শ্রেণিতে; ৬৩৬টি প্রকল্প ‘বি’ শ্রেণিতে এবং ৮১টি প্রকল্প ‘সি’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। এর বাইরে এডিপিতে আরও নয়টি প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোকে কোনো শ্রেণিতে রাখা হয়নি।

গত জানুয়ারি মাসের মধ্যভাগে এসে এডিপি সংশোধনের সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় যে অগ্রাধিকারের এই তালিকা সংশোধন করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সংশোধিত এডিপিতে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক যে বরাদ্দ দেবে, সেই বরাদ্দ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো অগ্রাধিকার প্রকল্প ঠিক করবে। যেমন কোনো মন্ত্রণালয়ের ২০ শতাংশ বরাদ্দ কমিয়ে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিল অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই মন্ত্রণালয়ের যদি ১০টি প্রকল্প থাকে, তাহলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ঠিক করবেন কোন প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণিতে রাখবেন।

চলতি অর্থবছরে সব মিলিয়ে এডিপির আকার ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশজ উৎস থেকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৪৯ হাজার ১৬ কোটি টাকা। আর বিদেশি সহায়তা হিসেবে রাখা আছে ৯২ হাজার ২০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা নিজেরা জোগান দেবে।

পনের বছরে সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে ভেনিসের পানি

প্রতিনিয়ত জোয়ারের কারণে সৃষ্ট বন্যার সাথে যুঝতে থাকা ভেনিস নগরী সম্প্রতি এক বিপরীতমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়। ভাটার সময় পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় ভেনিসজুড়ে ব্যাহত হয় যান চলাচল।

ভূমধ্যসাগরের ওপর বিদ্যমান অ্যান্টিসাইক্লোন বায়ুপ্রবাহ, ভাটা এবং স্রোতের সম্মিলিত প্রভাবে ভেনিসের খালগুলোর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২৬ ইঞ্চি নিচে নেমে যায়। পনের বছরের মধ্যে এই প্রথম পানির স্তর এতটা নিচে নেমে যাওয়ায় এবং দীর্ঘ সময় এই অবস্থা বিরাজ করায় জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। যাত্রীবাহী নৌকা, ওয়াটার এম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি নানা লজিস্টিক সমস্যা দেখা দেয়।

আবহাওয়াবিদদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আসায় বিশেষত উচ্চমাত্রার বায়ুচাপের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

মহাসড়কে রপ্তানি পোশাক চুরি ঠেকাতে বিজিএমইএর পাঁচ প্রস্তাব

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পোশাক শিল্পের শত শত কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহনের সময় চুরি হয়েছে। এ অভিযোগ তুলে চুরি ঠেকাতে চালক ও হেলপারদের ডাটাবেজ তৈরিসহ পাঁচটি প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব দেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

ফারুক হাসান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনকালে পোশাক শিল্পের শত কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য পণ্য কাভার্ড ভ্যান থেকে চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আমরা দফায় দফায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি, যা জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে।

বিজিএমইএর পাঁচটি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, ক) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চলমান কাজ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করা। খ) এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা। গ) কতিপয় নামসর্বস্ব কোম্পানি এসব চুরির মালামাল ক্রয় করে স্টকলট হিসেবে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। স্টকলট রপ্তানির ক্ষেত্রে মালের উৎস নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ থেকে সনদপত্র গ্রহণের মাধ্যমে রপ্তানির অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। ঘ) তাদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দাদেরও কাজে লাগাতে হবে। ঙ) কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি, কাভার্ড ভ্যান চালক এবং হেলপারদের ডাটাবেজ প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ফারুক হাসান আরো বলেন, প্রায় দেড় যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই হাজারেরও বেশি কাভার্ড ভ্যান থেকে শত শত কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য তৈরি পোশাক চুরি করেছে একটি চক্র। গত ২০২২ সালেই প্রায় ২০-২২টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

রমজানে নিত্যপণ্যের কোন সংকট হবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোন সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, টিসিবির জন্য নিত্যপণ্য আমাদের কিনতেই হয়, রমজান মাসের জন্য একটু বেশি কিনতে হচ্ছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে তেল ও ডাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব পণ্য দেওয়া হবে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারকে। এর বাইরে যেটা রয়েছে, সেটার জন্য এলসি (আমদানি ঋণপত্র) খোলা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এলসি খোলায় কিছু সমস্যা ছিল, এখন তারা খুলতে পারছে। আমরা আশাবাদী, রমজান মাসে সমস্যা হবে না। যা দরকার সেই পরিমাণ পণ্য পাওয়া যাবে।

বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকারি ক্রয় কমিটির সভায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, টিসিবির জন্য আজ যেসব নিত্যপণ্য কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে রমজান মাসের চাহিদা মেটানো হবে। তাই আশা করি রমজানে নিত্যপণ্যের কোন সংকট হবে না।

ফল আমদানির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ফল তো আমাদের দেশে প্রচুর হচ্ছে। এই সময় বৈদেশিক মুদ্রার ওপর যাতে চাপ না পড়ে এবং ফল আমাদের দেশে যেটা উৎপাদন হচ্ছে সেটারও দাম পাওয়া দরকার।

টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে সাশ্রয়ী দামে বিক্রির জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের দুটি প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪৮৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ১৬৩ টাকা।

সামুদ্রিক খাতে কার্বন ব্যবহার রোধে ৯২.৮৭ মিলিয়ন ডলার প্রণোদনা দেবে যুক্তরাজ্য

সামুদ্রিক খাতে কার্বন ব্যবহার বন্ধে ‘জিরো ইমিশন ভেসেলস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ (জেডইভিআই) প্রতিযোগিতা শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রতিষ্ঠানে ৯২.৮৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে দেশটির সরকার।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোকে সমুদ্রতীরে অবস্থিত অবকাঠামো এবং সমুদ্রপথে চলমান নৌযান; উভয় ক্ষেত্রেই ডিকার্বনাইজেশন প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে। সেসঙ্গে কার্বন-নির্গমন হ্রাসে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তার এবং যুক্তরাজ্যের প্রধান বন্দরগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০২৫ সাল নাগাদ একটি জিরো-ইমিশন ভেসেল চালু করার সক্ষমতা থাকতে হবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী নির্ধারণে যুক্তরাজ্যের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে মিলিতভাবে কাজ করবে ইনোভেট ইউকে। দূষণমুক্ত পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা, পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প এবং কার্বনমুক্ত সামুদ্রিক খাত সৃষ্টিতে যে প্রকল্প সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারবে সেটাকে পুরস্কৃত করা হবে।

জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৫৭ শতাংশ দাঁড়িয়েছে

বেশিরভাগ খাদ্যদ্রব্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় টানা পঞ্চম মাসে মূল্যস্ফীতি কমে জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।

গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছেছিল, যা ছিল গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বাজেটে বৈদেশিক সহায়তা কমেছে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের অর্থবছর তুলনায় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্ব আদায় করেছে ৩ লাখ ১ হাজার ৬৩৩ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৯ দশমিক ২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ পূর্ববর্তী অর্থবছরের (২০২০-২১) তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৯৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে বৈদেশিক সহায়তা কমেছে। গত অর্থবছর বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সরকার ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পেয়েছে। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুটি পৃথক রুটে কার্যক্রম বাড়াচ্ছে জিম

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-অস্ট্রেলিয়া রুট এবং এশিয়া-ইউএস ইস্ট কোস্ট রুটে কার্যক্রম বাড়াচ্ছে জিম ইন্টিগ্রেটেড শিপিং সার্ভিসেস (জিম)।

সম্প্রতি এশিয়া মহাদেশ-ইউএস ইস্ট কোস্ট রুটে সেবা প্রদানকারী জেডএক্সবি সার্ভিসে বড় ধরনের পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছে জিম। দ্রুততম সময়ে সংযোগ স্থাপন করতে এই রুটে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-অস্ট্রেলিয়া রুটের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে থাইল্যান্ড ফ্রিম্যান্টল এক্সপ্রেস (টিএফএক্স) চালু করেছে জিম। অস্ট্রেলিয়ায় জিমের কার্যক্রম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে টিএফএক্স।

হামবুর্গ বন্দরে হাইড্রোজেন ফিলিং স্টেশন তৈরি করবে লিন্ডে ইঞ্জিনিয়ারিং

লিন্ডে ইঞ্জিনিয়ারিংকে হামবুর্গ বন্দরে হাইড্রোজেন ফিলিং স্টেশন তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে হামবুর্গার হাফেন উন্ড লগিস্টিক এজি (এইচএইচএলএ)।

কার্বন ব্যবহার কমাতে এবং হাইড্রোজেনচালিত পোর্ট লজিস্টিক সরঞ্জাম পরীক্ষার জন্য ক্লিন পোর্ট অ্যান্ড লজিস্টিক (সিপিএল) নামক ইনোভেশন ক্লাস্টার শুরু করেছে এইচএইচএলএ। এর অংশ হিসেবে বন্দরের টলারর্ট কনটেইনার টার্মিনালে ফিলিং স্টেশনটি তৈরি করা হবে। চলতি বছর কার্যক্রম শুরু পর স্টেশনে স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার, এম্পটি কনটেইনার স্ট্যাকার, টার্মিনাল ট্রাক্টর এবং ট্রাকের মতো ভারী যন্ত্রগুলোতে হাইড্রোজেন রিফুয়েলিং করা হবে।