Home Blog Page 51

সমুদ্র পরিবহন খাতে নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগে সহায়তার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের

জাপানের সাপ্পোরো শহরে রোববার শেষ হয়েছে জি৭ দেশগুলোর জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী বৈঠক। এতে গভীর সমুদ্র বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিপিং খাতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের ফলাফল নিয়ে ৩৬ পৃষ্ঠার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে জি৭। এতে বলা হয়েছে সবুজ রূপান্তরের পালে হাওয়া দিতে জলবায়ু ও জ্বালানিবিষয়ক যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার, সেগুলো নিতে জোটটি প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মেরিটাইম এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন কমিটির (এমইপিসি) আসন্ন ৮০তম সেশনে ২০৩০ ও ২০৪০ সালের জন্য শিপিং খাতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। জি৭ মন্ত্রীরা সেই লক্ষ্যমাত্রার প্রতি সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

জি৭ দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৪০ শতাংশ, বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদার ৩০ শতাংশ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মোট কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণের ২৫ শতাংশে হিস্যা রয়েছে এই জোটের। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সমুদ্র পরিবহনের মতো কার্বন-নিবিড় শিল্পখাতগুলোয় নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হিসেবে দেখা হয় জি৭-কে।

১৫-১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পরিসর ও রূপান্তরের গতি বাড়ানোর গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এরই মধ্যে বড় অগ্রগতির পথে রয়েছে জি৭। ২০৩০ সাল নাগাদ সম্মিলিতভাবে ১৫০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ অফশোর খাত থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের।

বিনিয়োগ আকর্ষণে একসাথে কাজ করবে বিডা ও বিল্ড

বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিডা কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বিডা’র নির্বাহী সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন এবং বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে বিনিয়োগ সহজীকরণসহ পারস্পরিক প্রযুক্তিগত সহায়তা, আধুনিক বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি, বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করবে বিডা ও বিল্ড।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, গত ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৭৫০ ডলারের মতো, এখন তা ২ হাজার ৮৫০ ডলার। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের দরকার স্মার্ট বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি ফলো করা। ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ এখন আর বিশ বছর আগের মতো নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগে এখন রিসার্চ ও প্রযুক্তির প্রয়োগ আবশ্যক। সেই সঙ্গে বিনিয়োগ সেক্টরগুলোও আমাদের নির্ধারণ করতে হবে। এখন থেকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিল্ড নেপথ্যে আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও উন্নত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে বিডা ও বিল্ড।

বিল্ডের চেয়ারপারসন নিহাদ কবির বলেন, ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে, এখন আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর এবং দ্রুত। আমাদেরও সেই সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন সামনে রেখে কাজ করে যেতে হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধা, সেক্টরসমূহ বিদেশিদের কাছে তুলে ধরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে।

এ সময়ে বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ৯টি সেক্টর চিহ্নিত করেছি। যার ভিত্তিতে বিডা ও বিল্ড প্রতি তিন মাসে একবার অগ্রগতি এবং করণীয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে সভার আয়োজন করবে।

বিডার নির্বাহী সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন বলেন, এখন থেকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে, বিনিয়োগ সহজীকরণসহ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে আমরা একসাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

স্কটল্যান্ডে বিশ্বের গভীরতম অফশোর টার্বাইন ফাউন্ডেশন স্থাপন

স্কটল্যান্ডের সিগ্রিন উইন্ড ফার্মে সম্প্রতি ১৯২ ফুট গভীরতায় একটি অফশোর উইন্ড টার্বাইন ফাউন্ডেশন স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বে অফশোর প্রকল্পে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গভীরতায় স্থাপিত টার্বাইন ফাউন্ডেশন।

সিগ্রিন উইন্ড ফার্মটির অবস্থান নর্থ সি-তে, স্কটল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ১৭ মাইল দূরে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে এসএসই রিনিউয়েবলস, আর ওনারশিপ পার্টনার হিসেবে রয়েছে টোটালএনার্জিস। স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে বড় অফশোর উইন্ড ফার্ম হতে যাচ্ছে এটি।

গত ৯ এপ্রিল গভীরতম টার্বাইন ফাউন্ডেশনটি স্থাপন করা হয়। তবে সিগ্রিন উইন্ড ফার্মের জন্য এই রেকর্ড এবারই প্রথম নয়। প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের গভীরতম টার্বাইন ফাউন্ডেশন স্থাপনের নজির গড়ল। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ১৮৮ ফুট গভীরতায় একটি ফাউন্ডেশন বসায় এসএসই রিনিউয়েবলস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, উইন্ড ফার্মটির অবস্থান এমন জায়গায় যে, সেখানে ১৮০ ফুটের বেশি গভীরতায় আরও কয়েকটি টার্বাইন ফাউন্ডেশন স্থাপন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র উপকূলে জরুরি চিকিৎসার জন্য ট্যাংকারের ক্যাপ্টেনকে উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা উপকূল থেকে ২১৮ মাইল দূরে মেক্সিকো উপসাগরে জরুরি চিকিৎসার জন্য একটি ট্যাংকারের ক্যাপ্টেনকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। ওভারসিজ অ্যানাকোর্টেস নামের যুক্তরাষ্ট্রের পাতাকাবাহী ওই ট্যাংকারের ক্যাপ্টেনের হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ ছিল বলে বাহিনীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কোস্ট গার্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে তারা একটি জরুরি বার্তা পায় যে, ট্যাংকারটির ৬৯ বছর বয়সী ওই ক্যাপ্টেনের হার্ট অ্যাটাকের মতো অবস্থা হয়েছে। বার্তা পাওয়া মাত্রই কোস্ট গার্ডের নিউ অরলিনসের এয়ার স্টেশন থেকে এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টারে করে একটি মেডিভ্যাক টিম জাহাজটির উদ্দেশে রওনা দেয় এবং ক্যাপ্টেনকে উদ্ধার করে নিউ অরলিনস ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাপ্টেনের স্বাস্থ্যগত অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।

গিনি উপসাগরে জলদস্যুতার শিকার প্রডাক্ট ট্যাংকার, ক্রুরা নিরাপদে

আইভরি কোস্টের আবিদজান উপকূল থেকে আনুমানিক ৩০০ নাটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়া ট্যাংকার সাকসেস নাইনের সন্ধান পেয়েছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ। গত ১০ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী ট্যাংকারটিতে উঠে পড়ে জলদস্যুরা। সেখান থেকে তারা কার্গো ও ক্রুদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। অবশ্য ট্যাংকারটির ক্রুরা সবাই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের মেরিটাইম অ্যান্ড পোর্ট অথরিটি (এমপিএ) জানিয়েছে, আবিদজানের নিকটবর্তী গিনি উপসাগরের ওই এলাকায় থাকা অবস্থায় সাকসেস নাইনের কাছ থেকে একটি বার্তা পায় মনজাসা স্প্রিন্টার নামের আরেকটি বাণিজ্যিক ট্যাংকার, যেটিতে জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য চাওয়া হয়। পরে ট্যাংকারটির ক্রুরা এই বার্তা তাদের কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবার সেই বার্তা এমপিএ ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেন।

ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার (আইএফসি) ও মনরোভিয়া রিজিওনাল মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (এমআরসিসি) এই খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে আইভরি কোস্ট নৌবাহিনীর একটি প্যাট্রল ভেসেল সাকসেস নাইনের কাছাকাছি পৌঁছতে সক্ষম হয়। ভেসেলটির উদ্ধারকারী টিম ট্যাংকারটিতে উঠে দেখে জলদস্যুরা সেটি ফেলে চলে গেছে এবং যাওয়ার সময় ট্যাংকার থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তবে তারা ট্যাংকারের ক্রুদের কোনো ক্ষতি করেনি।

৬ হাজার ১৩৫ ডিডব্লিউটির প্রডাক্ট ট্যাংকার সাকসেস নাইন ২০০৩ সালে তৈরি। এর মালিক সিঙ্গাপুরের এইচএস ওশান। এর ক্রু সংখ্যা ২০ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে।

মারপোলের শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন আদালতে নরওয়েজিয়ান শিপিং লাইনের বিরুদ্ধে মামলা

জাহাজ পরিচালনা ও দুর্ঘটনার কারণে সৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রচলিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রিভেনশন অব পলিউশন ফ্রম শিপস (মারপোল) লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের আদালতে নরওয়ের একটি শিপিং লাইনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নরওয়ের শীর্ষস্থানীয় এলপিজি ও পেট্রোকেমিক্যাল গ্যাস পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান সোলভ্যাংয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ক্লিপার শিপিংকে প্রথম দফার শুনানির জন্য ১৮ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মারপোল চুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে প্রতি বছর আরও অনেক মামলা হলেও বিশেষ কারণে এই মামলাটি উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বন্দরে ঘটেনি। দ্বিতীয়ত, যেভাবে ঘটনাটি সামনে এসেছে, সেটিও অভূতপূর্ব।

গত ৬ এপ্রিল ক্লিপার শিপিং ও এর জাহাজ ক্লিপার স্যাটার্নের বিরুদ্ধে হিউস্টন ডিভিশনের সাউদার্ন ডিসট্রিক্ট অব টেক্সাসের আদালতে ফৌজদারি অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে মারপোল চুক্তির ব্যত্যয়ের জন্য জাহাজের প্রধান প্রকৌশলীকে সর্বোতভাবে দায়ী করা হয়েছে। অবশ্য সেই প্রকৌশলীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ক্লিপার স্যাটার্নের অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে মার্কিন কোস্ট গার্ডের রুটিন তদন্তের সময়। ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবরের সেই তদন্ত চলাকালে ক্লিপার স্যাটার্ন হিউস্টন বন্দরে অবস্থান করছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়, মারপোল অনুযায়ী একটি জাহাজকে সর্বদা অয়েল রেকর্ড বুক সংরক্ষণ করতে হবে, যেটিতে জাহাজের ওয়েস্ট অয়েল অপারেশন ও ডিসচার্জের বিষয়ে তথ্য থাকতে হবে। এই রেকর্ড বুক যেন নির্ভুল হয়, সেই দায়িত্ব ইঞ্জিন রুমের সিনিয়র অফিসার হিসেবে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের ওপরই অর্পিত থাকে।

মার্কিন কোস্ট গার্ডের তদন্তে দেখা যায়, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগোর লোম উপকূলে নোঙ্গর করা অবস্থায় ক্লিপার স্যাটার্ন অবৈধভাবে তৈলাক্ত বর্জ্য ডিসচার্জ করেছে। কিন্তু তাদের অয়েল রেকর্ড বুকে কিছু তথ্য সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি। অভিযোগপত্রে এটি উল্লেখ করা হয়নি যে, অবৈধ ডিসচার্জের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ধরতে পেরেছে কিনা অথবা এ বিষয়ে কোনো তদন্ত চলমান রয়েছে কিনা। শুধু এটি জানানো হয়েছে যে, হিউস্টন বন্দরে মার্কিন কোস্ট গার্ডের রুটিন চেকআপের সময় অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়েছে।

শিল্প খাতে সিআইপি হলেন ৪৪ ব্যবসায়ী

বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪৪ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি নির্বাচিত করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১ সালের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে তাঁদের সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক গেজেটে শিল্প খাতের সিআইপিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, সিআইপি নির্বাচিত ব্যক্তিদের শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা আগামী এক বছরের জন্য জাতীয় ও সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

এনসিআইডি ক্যাটাগরি: ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট বা এনসিআইডি মনোনীত সিআইপি হয়েছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এবং বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী।

বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন): এ ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার এরিক এস চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলের চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, প্রাণ ডেইরির চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস মৃধা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক আলী, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এসিআইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফে দৌলা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মাঈনউদ্দিন মোনেম, ফারিহা নিট টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, হ্যামস গার্মেন্টেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলের উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মীর সিরামিকের পরিচালক মাহরীন নাসির, ডিউরেবল প্লাস্টিকের পরিচালক উজমা চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উইনার স্টেইনলেস স্টিল মিলসের চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, তাসনিয়া ফেব্রিক্সের উদ্যোক্তা পরিচালক আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, সোহাগপুর টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এনভয় টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।

বৃহৎ শিল্প (সেবা): এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন এসটিএস হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এসএম কামাল উদ্দিন এবং ইস্টার্ন হাউজিংয়ের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।

মাঝারি শিল্প (উৎপাদন): এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বাস পোলট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডসের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিনের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার জাহান হাসমিন, অকো-টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, জিন্নাত নিটওয়্যারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার, রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবুল, প্রমি এগ্রো ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনামুল হাসান খান, মাসকো পিকাসোর পরিচালক ফাহিমা আক্তার, টর্ক ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মূহাম্মদ কামাল উদ্দিন, জিন্নাত অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ ও সিটাডেল অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম।

ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন): এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন রংপুর ফাউন্ড্রির পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান ও এরফান এগ্রো ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম। এ ছাড়া মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন মাসকো ডেউরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এমএ সবুর।

যুক্তরাষ্ট্রে আলাস্কা এলএনজি প্রকল্পে অনুমোদন দিল জ্বালানি মন্ত্রণালয়

উচ্চাভিলাষী আলাস্কা এলএনজি প্রকল্পের বিষয়ে সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের এই মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন হলো।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে আলাস্কার নর্থ স্লোপ অঞ্চল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে আলাস্কা উপসাগরের একটি লিকুইফিকেশন প্লান্টে গ্যাস পাঠানো হবে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাইপলাইনের মাধ্যমে নর্থ স্লোপের শীতলতম অঞ্চল ও সেন্ট্রাল আলাস্কার পার্বত্য অঞ্চল ভেদ করে কুক ইনলেটে প্রতিদিন ৩৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালন করা সম্ভব হবে।

তুলনামূলক হিসাবে এই দূরত্ব যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত দূরত্বের সমান। পার্থক্য কেবল এক জায়গায় যে, আলাস্কার এই পাইপলাইন তীব্র শীতল ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে গেছে।

অবশ্য প্রকল্পটির উদ্যোগ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের নয়। বরং ২০২০ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পাইপলাইনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়ােগ পেয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এর আগে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলির কথা জানানো হয়। ঈদুল ফিতরের পর তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১৯৮৮ সালে কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি নৌবাহিনীর জাহাজ, ঘাঁটি ও সদর দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে নৌবাহিনীর এনইউপি পদক লাভ করেন। তিনি সততার সঙ্গে অসামান্য সেবা ও অবদান রাখায় রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পদক ও নৌ প্রধানের প্রশংসা পদক অর্জন করেন। মোহাম্মদ সোহায়েল ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজের ফ্যাকালটি (ডাইরেক্টিং স্টাফ ও সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর) হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল এলিট ফোর্স র‌্যাবের সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন। তিনি ডিজিএফআই সদর দপ্তরে কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরোতে (আইএবি) কর্নেল জিএস হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। নৌ সদর দপ্তরে পরিচালক সাবমেরিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ সোহায়েল।

পানিতে ভাসল বিশ্বের প্রথম মিথেনচালিত কনটেইনার জাহাজ

বিশ্বের প্রথম মিথানলচালিত কনটেইনার জাহাজ বহরে যোগ করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল শিপিং জায়ান্ট মায়েরস্ক। সম্প্রতি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই মিপো ডকইয়ার্ডে পানিতে ভাসানো হয়েছে জাহাজটিকে।

২০২১ সালের জুলাইয়ে জাহাজটি নির্মাণের কার্যাদেশ দিয়েছিল মায়েরস্ক। এটি তুলনামূলক ছোট আকারের একটি ফিডার জাহাজ। সেই কার্যাদেশের পর ১৬ হাজার ও ১৭ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার বড় আকারের মিথানলচালিত আরও কয়েকটি কনটেইনার জাহাজের কার্যাদেশ দিয়েছে মায়েরস্ক। এরই মধ্যে গত বছরের নভেম্বরে বৃহদাকার একটি জাহাজ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। মায়েরস্ক জানিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে মিথেনচালিত প্রথম বৃহদাকার কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করা হতে পারে।

ফিডার জাহাজটি চলতি বছরেই বুঝে পাবে মায়েরস্ক। এটি ৫৬৪ ফুট দীর্ঘ আর প্রস্থ ১০৫ ফুট। এর ধারণক্ষমতা ২ হাজার ১০০ টিইইউ। মায়েরস্ক জানিয়েছে, তাদের বাল্টিক সার্ভিসে যুক্ত হবে ফিডার জাহাজটি।