Home Blog Page 52

বিদেশি জাহাজের অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণে হুমকির মুখে দক্ষিণ আটলান্টিক হাই সি

সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যে ভরপুর দক্ষিণ আটলান্টিকের হাই সিতে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মৎস্য আহরণ করছে একাধিক দেশের শত শত জাহাজ। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং আঞ্চলিক জেলেদের জীবন ও জীবিকা।

আর্জেন্টিনার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) বাইরে ‘মাইল ২০১’ এলাকায় অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, স্পেনসহ অনেক দেশের জাহাজ এ এলাকা থেকে ব্যাপক পরিমাণে মাছ শিকার করছে।

২০১৮-২১ সাল পর্যন্ত আটশর বেশি মাছ ধরা জাহাজ আর্জেন্টিনার ইইজেডের বাইরের হাই সিতে প্রায় নয় লাখ ঘণ্টা মাছ শিকার করেছে। অনিয়ন্ত্রিত মাছ শিকার বন্ধ না হলে অচিরের এ অঞ্চলের অনেক মাছ বিশেষ করে স্কুইড এবং হেকের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাবে।

জাহাজের অর্থায়ন এবং অধিগ্রহণ আইন জোরদার করবে ভারত

ভারতের জাহাজ অর্থায়ন, অধিগ্রহণ এবং লিজিং জোরদারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সেন্টারস অথরিটি (আইএফএসসিএ)। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে আইএফএসসিএ।

আইএফএসসিএ এর মতে, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি রেগুলেটরি এবং লিগ্যাল প্রভিশন পরস্পরবিরোধী। একই সঙ্গে এসব রেগুলেটরি এবং লিগ্যাল প্রভিশন জাহাজ লিজিং, অর্থায়ন এবং অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত ভিন্ন ভিন্ন শিপ ফিন্যান্সিং মেথডের সাথেও সাংঘর্ষিক। যার ফলে নতুন একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হলে শিপ ফিন্যান্সিংও এভিয়েশন ফিন্যান্সিং এর মতো চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে মনে করে আইএফএসসিএ।

আইএফএসসিএ কমিটি শিপ অ্যাকুইজিশন ফিন্যান্সিং অ্যান্ড লিজিং বা এসএএফএএল শিরোনামে একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে। ইতিমধ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে রিপোর্টটি বাস্তবায়ন করছে ভারত সরকার।

জানুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৬ শতাংশ

পণ্য রপ্তানির প্রধান গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৫১৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই মাসের চেয়ে এই পরিমাণ প্রায় ৬ শতাংশ বেশি। পরিমাণে যা ২৯ কোটি ডলার। ১ ডলারের বিনিময় হার ১০৭ টাকা হিসেবে রপ্তানি বেশি হয়েছে তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮৫ কোটি ডলার।

বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে অর্থবছরের হিসেবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত গত সাত মাসে সার্বিক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। মোট তিন হাজার ২৪৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে এ সময়। এই আয় সরকার নির্ধারিত গত সাত মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি।

জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন-সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লজিস্টিকস সাপোর্ট সহজীকরণ এবং উন্নয়নের করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশে এটিই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সভা।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন, বিদ্যমান নীতি কাঠামো সহজীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে এই কমিটি কাজ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি এবং লজিস্টিকস খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন করণীয় বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।

বাংলাদেশে বর্তমানে লজিস্টিকস পরিষেবার ব্যয় খাতভেদে ৪.৫ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা হ্রাস করা গেলে সার্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রপ্তানি বহুমুখিকরণ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ ছাড়া ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হতে উত্তরণের ফলে একদিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রাপ্ত বিভিন্ন শুল্ক সহায়তা, ট্রেড রিলেটেড সাপোর্ট মেজারস, স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্ট এবং অনেকগুলো রিডাকশন কমিটমেন্টের আওতা সংকুচিত হবে। এই নেতিবাচক প্রভাব নিরসনে একটি উন্নত ও দক্ষ লজিস্টিকস ব্যবস্থা স্থাপন করার বিষয়ে সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে সভাপতি করে গত ২২ জানুয়ারি এই কমিটি গঠন করা হয়। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট এই জাতীয় কমিটি সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে নিয়ে কাজ করে থাকে।

জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ পণ্য পরিবহন ও সেবা নিশ্চিতকল্পে লজিস্টিকস খাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে কমিটি। এর সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব।

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৫ বিলিয়ন ডলার

জানুয়ারিতে দেশে গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা রেমিট্যান্সের এ উচ্চ প্রবাহকে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে মনে করছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উদ্বেগজনকভাবে কমে যাওয়ায়, ব্যবসার ক্ষেত্রে আমদানি বিল পরিশোধে অসুবিধা হচ্ছে

রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম আরেক দফা বাড়লো

ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে। ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৩ টাকা। নতুন এ সিদ্ধান্ত বুধবার কার্যকর হয়েছে।

জানা গেছে, এবিবি ও বাফেদার নেতারা গত মঙ্গলবার ডলারের দাম নির্ধারণে এক বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে রপ্তানির আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১ টাকা বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু প্রবাসী আয় ও আমদানির দায় শোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখেন। বাফেদা ও এবিবি সব ব্যাংককে চিঠি দিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

বাফেদার চিঠিতে বলা হয়, এখন থেকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের জন্য প্রতি ডলারের দাম হবে ১০৩ টাকা। গত জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ডলারের দাম ১০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগের মাসে রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০১ টাকা। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকেরা আগের তুলনায় বেশি অর্থ পাবেন।

প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আগের মতো ১০৭ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য হবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের জন্য ঠিক করা দামের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।

বন্দর উন্নয়নে ১৩২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে শ্রীলংকা

বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে ১৩২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে শ্রীলংকা সরকার। বন্দর কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল গঠন করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, প্রকল্পগুলো এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও গতিশীল করে তুলবে। প্রকল্পের আওতায় শ্রীলংকা বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ইস্টার্ন কনটেইনার টার্মিনাল ১০০ মিলিয়ন এবং জয়া কনটেইনার টার্মিনাল ৩২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ পাবে। এছাড়া বাল্ক কার্গো কার্যক্রম চালানোর জন্য ত্রিনকোমালে হারবার এবং পর্যটনের উদ্দেশ্যে গল হারবার উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে সরকার। গল হারবারে ইয়ট পরিষেবা এবং বড় জাহাজ রাখার সুবিধা চালু করা হবে।

অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারত সাগরের লজিস্টিক এবং ট্রান্সপোর্ট হাব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় শ্রীলংকা।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে আইএসপিএস প্রতিনিধিদলের সন্তোষ প্রকাশ

ইউএস কোস্ট গার্ড আইএসপিএস দলের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ব্রিয়ারলি ওস্ট রান্ডে, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরভিং সিনট্রন ও চার্লস মার্সিরুইয়ো চট্টগ্রাম বন্দর ও পোর্ট ফ্যাসিলিটিজ এবং পোর্ট রিলেটেড এরিয়া পরিদর্শন করেছেন।

প্রতিনিধি দল সোমবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের আইএসপিএস কোড সংক্রান্ত সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার বিকেলে প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট ইনকনট্রেড লিমিটেড ও সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড পরিদর্শন করে আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সদস্য এবং সব পোর্ট ফ্যাসিলিটিজ ও পোর্ট রিলেটেড এরিয়ার পিএফএসও /সিকিউরিটি ম্যানেজারসহ ৫০ জনের উপস্থিতিতে টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স বিষয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে আলোচিত বিষয়গুলো চট্টগ্রাম বন্দর এবং সংশ্লিষ্ট পোর্ট ফ্যাসিলিটিজ এবং পোর্ট রিলেটেড এরিয়াগুলোতে আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে। প্রতিনিধিদল তাদের ইতিপূর্বে প্রদত্ত অবজারভেশনগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালিত হওয়ায় এবং অফডকগুলোর নিরাপত্তা কার্য্ক্রমে উন্নতি হওয়ায় ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধিদল পরিদর্শন শেষে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের সঙ্গে বন্দর ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা নিরাপত্তা কার্যক্রমের উন্নতির ব্যাপারে চেয়ারম্যানের ভূমিকা প্রশংসা করেন।

বাণিজ্য মেলায় ৩০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার স্পট রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মঙ্গলবার পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৭তম বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান।

টিপু মুনশি বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। অংশগ্রহণকারী বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। মেলায় প্রায় ৩০-৩৫ লাখ দর্শনার্থী এসেছে, বেচাকেনা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার। স্পট রপ্তানি আদেশ মিলেছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার।’

বাণিজ্য মেলা রপ্তানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর ৫১ বিলিয়ন (৫ হাজার ১০০ কোটি) মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে প্রকৃত রপ্তানি হয়েছিল ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) মার্কিন ডলার।

প্রথম বছরে ২২ কোটি ডলার সহায়তা দেবে সিএমএ সিজিএম

কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগকে সহায়তার লক্ষ্যে ১৫০ কোটি ডলারের বিশেষ তহবিল গঠনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল ফরাসি কনটেইনার শিপিং জায়ান্ট সিএমএ সিজিএম। সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় তারা জানিয়েছে, পাঁচ বছর মেয়াদি এই সহায়তা প্রকল্পের প্রথম বছরের জন্য ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এই সহায়তা প্রাপ্তির জন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

নিঃসরণ কমানোর বিভিন্ন প্রকল্প অথবা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি রূপান্তর নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অথবা স্টার্ট-আপ উভয়েই এই তহবিল সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ‘স্পেশাল ফান্ড ফর এনার্জিস’ নামের তহবিলটি গঠনের ঘোষণা দেয় সিএমএ সিজিএম। এই অর্থ দুটি উদ্দেশ্য পূরণে কাজে লাগানো হবে। প্রথমত, ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে গ্রæপের সব কার্যক্রমে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, নিঃসরণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও গবেষকদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করা। তহবিলটি পরিচালনার জন্য পৃথক একটি ব্যবস্থাপনা টিম গঠন করেছে সিএমএ সিজিএম।