Home Blog Page 53

পানামার প্রবেশমুখে কনটেইনার জাহাজে আগুন

পানামা খালের প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রবেশমুখের নিকটবর্তী স্থানে একটি কনটেইনার জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বল্প সময়ের জন্য খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। দুটি ফায়ারবোটের সাহায্যে জাহাজটিকে সরিয়ে নেওয়া হলে চ্যানেলটি পুনরায় সচল হয়।

কেপ কর্টিয়া নামের ১১ হাজার টিইইউ কনটেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজটি শিপিং কোম্পানি এমএসসির ভাড়া করা। প্যাসিফিক ওশান টার্মিনাসের নিকটবর্তী পানামার বালবোয়া টার্মিনালে প্রবেশের আগ মুহূর্তে এর ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে যায়।

এই ঘটনায় জাহাজটির ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ সময় আরেকটি বাল্ক ক্যারিয়ার আঘাতগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কেপ কর্টিয়ার অগ্নিদুর্ঘটনার সময় বাল্কারটির সঙ্গে এর হালকা ধাক্কা লেগে থাকতে পারে।

রিজার্ভের অর্থে আর তহবিল নয় : গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে আপাতত আর কোনো তহবিল গঠন করা হবে না। এ ছাড়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে দেওয়া অর্থ ‘সমন্বয়’ করে এর আকার ধীরে ধীরে কমানো হবে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুষ্ঠিত এক সভায় আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, ইতিমধ্যে ইডিএফের ১০০ কোটি ডলার সমন্বয় হয়েছে।

রপ্তানি খাতের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন করেছিল এবং এর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে অর্থ নেওয়া হয়েছিল। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এই তহবিল থেকে বিতরণ করা অর্থ সমন্বয় করা হবে, অর্থাৎ তহবিলের অর্থ ফেরত আসার পর নতুন করে আর সেই অর্থ বিতরণ করা হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ধরে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্‌-অর্থায়ন তহবিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিলে অংশগ্রহণকারী ৪৯টি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গভর্নর রিজার্ভের অর্থ নিয়ে কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রিজার্ভের অর্থে তহবিল গঠনের বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব করতে ইডিএফে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ বাদও দিতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। রিজার্ভ থেকে ৭০০ কোটি ডলার নিয়ে গঠন করা হয়েছে ইডিএফ।

অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি–পরবর্তী অর্থনৈতিক অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ অবস্থা বিরাজ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকে আরও সহনশীল করার পাশাপাশি এ খাতের উন্নয়ন ও প্রসারের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্‌-অর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থসামাজিক উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ১০ হাজার কোটি টাকার প্রাক্‌-অর্থায়ন তহবিলটি দেশের রপ্তানি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

এ অর্থায়ন কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে কাঁচামাল ক্রয় বা আমদানির বিপরীতে প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের দেশি মুদ্রায় ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকবে, যার মেয়াদ হবে ১৮০ দিন। ব্যাংক পর্যায়ে সুদহার হবে দেড় শতাংশ।

বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় মেক্সিকো

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশ মেক্সিকো। অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল, কেমিক্যাল এবং ফিনটেক খাতে বড় সম্ভাবনা দেখছে উভয় দেশ।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের নয়া দিল্লীতে অবস্থিত মেক্সিকো দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ফেডেরিকো সালাস লৎফে। এ সময় তিনি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর গুরুত্ব দেন।

মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত বলেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ-মেক্সিকো অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল, কেমিক্যাল, ফিনটেক প্রভৃতি খাতে বড় সম্ভাবনা দেখছে মেক্সিকো।

মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈশ্বিক অটোমোবাইল বাজারের অন্যতম জোগানদাতা হলো মেক্সিকো। অটোমোবাইল শিল্পে মেক্সিকোর অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি বাংলাদেশের সাথে বিনিময়ে আগ্রহী আমরা। আশা করি এটি হবে একটি ভালো উদ্যোগ।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদেরও মেক্সিকোতে ব্যবসা স্থাপনের আহ্বান জানান ফেডেরিকো সালাস লৎফে।

বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে মেক্সিকোর ব্যবসায়ীদের এফবিসিসিআই সব ধরণের সহযোগিতা করবে বলেও জানান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

আটলান্টিকে গবাদি পশুবাহী জাহাজ থেকে বিপুল কোকেন জব্দ

আটলান্টিক মহাসাগরে গবাদি পশু পরিবহনকারী একটি জাহাজ থেকে সাড়ে ৪ টন কোকেন জব্দ করেছে স্প্যানিশ পুলিশ। দেশটির ক্যানারি আইল্যান্ডস উপকূলে জব্দকৃত এই কোকেন দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইউরোপে পাচার করা হচ্ছিল।

মধ্য আটলান্টিকের যে জায়গাটিতে ওরিয়ন ফাইভ নামের জাহাজে অভিযান পরিচালনা করা হয়, সেটি স্পেনের মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণাধীন এলাকা। সেখানে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে মাদক জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। এমনই এক অভিযানে স্পেনের ন্যাশনাল পুলিশ ও কাস্টমস সার্ভেইল্যান্স সার্ভিস ওরিয়ন ফাইভে তল্লাশি চালায় ও কোকেন জব্দ করে।

টোগোর পতাকাবাহী জাহাজটি প্রায় ১ হাজার ৭৫০ গবাদি পশু নিয়ে কলম্বিয়ার কার্তাজেনা থেকে লেবাননের বৈরুতে যাচ্ছিল। এসব পশুর খাদ্য রাখার সাইলোতে লুকানো অবস্থায় কোকেনের সন্ধান পাওয়া যায়। অভিযানের পর অধিক তল্লাশির জন্য জাহাজটিকে নিকটস্থ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।

জাহাজটির ২৮ জন ক্রুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবশ্য তাদের জাহাজেই রাখা হয়েছে, যেন তারা গবাদি পশুগুলোর দেখভাল করতে পারে। এসব পশুর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বিনিয়োগ বাড়াতে চায় জাপান

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর এফটিএ বা পিটিএ-এর মতো বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি করে জাপানের সঙ্গে দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হবে। জাপান ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সেই মোতাবেক কাজ চলছে। আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে, তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার কাজ করছে।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তার অফিস রুমে ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

জাপান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। জাপানও এখানে বিনিয়োগ করেছে, তাদের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করে বাংলাদেশ।

জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অধিক গুরত্ব দিয়ে থাকে। আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ আছেন এখানে, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী জাপান। জাপান বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য করণীয় ঠিক করতে সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষদের নিয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করছে জাপান। বাংলাদেশও একই ধরনের দক্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করলে কাজ অনেক সহজ হবে। এতে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিনিধি থাকবে। যাতে করে সঠিকভাবে এবিষয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সঠিক সময়েই এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশী পোশাকের বড় ক্রেতা হওয়া গর্বের : ইইউ রাষ্ট্রদূত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হতে পেরে গর্বিত। গত বছর ১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বাংলাদেশ থেকে ইইউ আমদানি করেছে। বাংলাদেশের পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত অনেক কারখানা রয়েছে এখানে।

শনিবার নারায়ণগঞ্জে মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের (এমটিআইএল) কারখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

হোয়াইটলি বলেন, আমি এর আগে পোশাক খাতে এত সুন্দর ব্যবস্থাপনা দেখিনি। বিশেষ করে পরিবেশ, শ্রমিকদের যত্ন ও কাজের পরিবেশ প্রশংসনীয়। এটা সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক।

এ সময় তিনি কারখানাটির ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউজিবিসি), লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেট অর্জনের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) কারখানা পরিদর্শনের এ আয়োজন করে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের উন্নতি, বর্তমান অবস্থান এবং পণ্যের গুণগত মানের বিষয়ে অবগত করতে এ আয়োজন করা হয়। এতে করে বাংলাদেশের পোশাকের ব্র্যান্ডিংয়েরও সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮৪টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত পোশাক কারখানা রয়েছে। একক দেশ হিসেবে যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। আেরা পাঁচশর বেশি কারখানা সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

ইইউ প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন সম্পর্কে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের পোশাক খাত এবং কারখানার পরিবেশের উন্নয়ন সম্পর্কে অবগত করতেই এ আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ করে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর দেশের পোশাক খাতের বর্তমান চিত্র তুলে ধরাই ছিল উদ্দেশ্য।

শিপার্স কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে শনিবার শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিলের সভাপতি মো. রেজাউল করিম এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এশিয়ান শিপার্স অ্যালায়েন্স (এএসএ) এবং গ্লোবাল শিপার্স অ্যালায়েন্সের (জিএসএ) সঙ্গে কাউন্সিলের কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ততা ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুল আহ্সান, ভাইস চেয়ারম্যান একেএম আমিনুল মান্নান (খোকন) ও অন্য পরিচালকরা।

টুএম অ্যালায়েন্স নিয়ে আর এগুবে না এমএসসি-মায়েরস্ক

দশ বছরের পুরনো টুএম অ্যালায়েন্স চুক্তি আর নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই কনটেইনার শিপিং জায়ান্ট মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি) ও মায়েরস্ক।

এশিয়া-ইউরোপ, ট্রান্সআটলান্টিক ও ট্রান্সপ্যাসিফিক রুটে ব্যয়সাশ্রয়ী পরিচালন কার্যক্রম ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা নিশ্চিত করতে একটি ভেসেল শেয়ারিং এগ্রিমেন্ট (ভিএসএ) স্বাক্ষর করেছিল এমএসসি ও মায়েরস্ক, যা ২০১৫ সালে কার্যকর হয়। চুক্তিটি নবায়ন না করার অর্থ হলো, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এর কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাওয়া।

সম্প্রতি এক যৌথ বিবৃতিতে এমএসসি ও মায়েরস্ক জানিয়েছে, ১০ বছরের ভিএসএ চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন হয়েছে। টুএম অ্যালায়েন্স থেকে সরে আসার মাধ্যমে দুটি কোম্পানিই তাদের নিজ নিজ ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ পাবে।

তারা আরও জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ ততদিন বাকি রয়েছে, ততদিন এমএসসি ও মায়েরস্কের গ্রাহকরা পূর্ণাঙ্গভাবে টুএম অ্যালায়েন্স সেবা পুরোপুরি পাবেন।

পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহন সহজীকরণে জাতীয় কমিটি গঠন

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানো এবং লজিস্টিকস খাত তথা পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহন-সংক্রান্ত সেবা সহজীকরণে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে প্রধান করে ২৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

লজিস্টিকস খাতে আছে পরিবহন, পণ্য সংরক্ষণাগার, বেসরকারি কনটেইনার ডিপো এবং বন্দর সেবা। উদীয়মান অর্থনীতির ৫০ দেশের এসব খাত নিয়ে গত জুলাইয়ে বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহ পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাজিলিটি লজিস্টিকস রেটিং করেছে। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯তম। তালিকার শীর্ষ পাঁচটি দেশ হচ্ছে, চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। পাকিস্তান (২৭) ও শ্রীলঙ্কার (৩৩) চেয়েও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ সূচকে অবস্থান এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে এ কমিটি।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন, লজিস্টিকস খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে নীতিগত সহায়তা প্রদান ও বিদ্যমান নীতি কাঠামো সহজীকরণ, লজিস্টিকস উপখাতভিত্তিক নীতি ও উন্নয়ন কৌশল প্রণয়নে সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান এবং সামগ্রিক লজিস্টিকস উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিবীক্ষণ, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে এ কমিটি।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ছাড়াও কমিটির অন্য সদস্য হবেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থ, বাণিজ্য, জননিরাপত্তা, নৌপরিবহন, শিল্প, সেতু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রেলপথ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক এবং স্থানীয় সরকার সচিব, এফবিসিসিআই সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা।

বৈরুত বিস্ফোরণের ঘটনায় লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফের অভিযুক্ত

২০২০ সালের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনার বিচারিত তদন্ত প্রক্রিয়া নতুন করে গতি পেল। সম্প্রতি বিচারক তারেক বিতার নতুন করে ঘটনাটির বিচারিক তদন্ত শুরু হরেছেন। এই তদন্তের অংশ হিসেবে লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়েছে। দিয়াবসহ আরও ১৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফেব্রুয়ারিতে শুনানির জন্য তলব করা হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যেও বৈরুত বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হাসান দিয়াবকে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হলো। এর আগে তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হলেও শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিচারক তারেক বিতারও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় কতখানি সফল হবেন, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।