Home Blog Page 54

বাংলাদেশ-ইইউ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত ও জোরদার করার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস সফরের দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে নিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর ট্রেড এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর এমপ্লয়মেন্ট, সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স ও ইনক্লুশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ইইউর ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এ আগ্রহের কথা জানান।

এ সময় ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর এমপ্লয়মেন্ট জুস্ট কোর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে।’ বৈঠককালে বাংলাদেশের শ্রম খাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অবস্থা উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় কারখানার নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সবুজ কারখানায় টেকসই উৎপাদন কৌশল, কারখানা পরিদর্শন, প্রযুক্তির ব্যবহার, আধুনিক মেশিনারির ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতির বিষয়গুলো সম্পর্কে জুস্ট কোর্তেকে অবহিত করে।

ডিরেক্টরেট জেনারেল ট্রেডের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে খসড়া জিএসপি লেজিসলেশনের ওপর ইইউর চলমান আলোচনা এবং ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ বাণিজ্য সুবিধা থেকে জিএসপি প্লাস-এ বাংলাদেশের উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ফর ট্রেড মারিয়া মার্টিন প্র্যাটের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে বিভিন্ন সংস্কার অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে।

বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চলমান বাহ্যিক অস্থিরতা, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর আরো ছয় বছরের জন্য ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজারস (আইএসএম) অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর একই সময়ের জন্য আইএসএম অব্যাহত রাখার জন্য এলডিসি গ্রুপের সাবমিশনের ক্ষেত্রে ডব্লিউটিওর নেগোসিয়েশনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোরালো সমর্থনের জন্যও অনুরোধ করেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আলোচনাধীন নতুন জিএসপিতে বাংলাদেশের বাণিজ্য স্বার্থ, বিশেষ করে পোশাক খাতের সুরক্ষা প্রদানেরও অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। তারা কোম্পানি এবং ব্র্যান্ডগুলোর পক্ষ থেকে ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ এবং দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রাসঙ্গিক কোম্পানিগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিতকল্পে করপোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্সের আওতায় একটি মেকানিজম তৈরিরও অনুরোধ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেলজিয়াম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) সভাপতি নিহাদ কবির, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ ও ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা স্মরণকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে

সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বর্তমানে স্মরণকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা সূচকে সম্প্রতি এ তথ্য উঠে আসে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জেরে বিগত কয়েক দশক ধরেই গোটা পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত তাপমাত্রার সিংহভাগ শোষণ করছে সাগর-মহাসাগরগুলো। যার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা। বছরের এই সময়ে সাধারণত যেই গড় তাপমাত্রা বিরাজ করে বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরিভাগের তাপমাত্রা তার চেয়ে অন্তত এক ডিগ্রি ফারেনহাইট বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলে দীর্ঘ তিন বছর ধরে ‘লা নিনা’ বিরাজ করছে। লা নিনার মতো শীতল আবহাওয়া বিরাজ করা সত্ত্বেও তাপমাত্রার বৃদ্ধি উষ্ণায়ন পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে আরও প্রকট করে তুলেছে। আশঙ্কা করা যাচ্ছে যে, চলতি বছরের শেষে প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো আবহাওয়া বিরাজ করলে গড় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

চার দশকের উষ্ণতা বৃদ্ধির ধরন পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে ২০২২ সালে একটি গবেষণা প্রকাশ করে অ্যাডভান্সেস ইন অ্যাটমোস্ফরিক সায়েন্সেস। গবেষণায় দেখা যায়, সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরের ২ হাজার মিটারে তাপমাত্রা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০২২ সালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে এনওএএ এর সাম্প্রতিক তথ্য এটাই প্রমাণ করে যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরিভাগে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন দ্রুত এবং ব্যাপক আকারে কমাতে না পারলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে শিপিং খাত অনেক বেশি কার্বননির্ভর। সেসঙ্গে পরিবেশবান্ধব বিকল্প জ্বালানি ও প্রযুক্তি অপ্রতুল এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় দ্রুত অধিক মাত্রায় কার্বন ব্যবহার কমানো প্রায় অসম্ভব।

ফেব্রুয়ারিতে শক্তিশালী অবস্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাণ শিল্প

ফেব্রুয়ারিতে ৫৮টি নতুন জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। আলোচ্য সময়ে মোট কার্যাদেশের তুলনায় তা প্রায় ৭৪ শতাংশ।

চলতি বছর বিশ্বজুড়ে নতুন জাহাজ কার্যাদেশের পরিমাণ কিছুটা কমলেও দক্ষিণ কোরিয়ায় এর প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। বরং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান জাহাজ নির্মাতারা প্রতিষ্ঠান হুন্দাই, স্যামসাং এবং দাইয়ু জানুয়ারি মাসে কিছুটা মন্দাভাব দেখলেও ফেব্রুয়ারিতে তাদের কার্যক্রম পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৭০ কোটি ডলারের কার্যাদেশ পেয়েছে। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে হুন্দাই ৬০০ কোটি ডলারের কার্যাদেশ পেয়েছে, যা তাদের বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪০ শতাংশ। একইভাবে স্যামসাং ২০০ কোটি ডলারের কার্যাদেশ পেয়েছে, যা এর বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রার ২০শতাংশ। তবে গত বছর ব্যাপক লোকসান করায় অন্যদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে দাইয়ু।

২০২৩ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে সাপ্লাই চেইনের স্বাভাবিকীকরণ অব্যাহত থাকবে:

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সাপ্লাই চেইনের স্বাভাবিকীকরণ অব্যাহত থাকবে।

এসঅ্যান্ডপি এর সাপ্লাই চেইন রিসার্চের প্রধান ক্রিস রজার্স জানান, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের জন্য চলতি বছরটা দুই ভাগে বিভক্ত। ২০২২ সালের শেষ দিকে সাপ্লাই চেইনের অবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। স্বাভাবিকীকরণের এই প্রক্রিয়া চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও অব্যাহত থাকবে। ২০২৩ এর শেষ দিকে মহামারি-পরবর্তী করপোরেট কৌশলগুলো সুস্পষ্ট হবে এবং বৈশ্বিক নীতিমালা ঘিরে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তার সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এসঅ্যান্ডপির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সাপ্লায়ারের ‘ডেলিভারি টাইম’ ২০১৯ এর জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোত্তম পর্যায়ে আছে এবং মৌসুমি সমুদ্র পরিবহনের ধরনেও স্বাভাবিকীকরণের লক্ষণ দেখা গেছে।

জাপানের ড্রাই বাল্ক আমদানি ৪% কমেছে

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে জাপানের বাল্ক আমদানির পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৪% হ্রাস পেয়েছে।

জাপানের ইস্পাত শিল্প লৌহ আকরিক এবং কোক কয়লা আমদানির ওপর নির্ভরশীল, যা দেশটির মোট ড্রাই বাল্ক আমদানির ৪১%। জাপান তার উৎপাদিত ইস্পাতের এক-তৃতীয়াংশ রপ্তানি করে এবং এক-চতুর্থাংশ অভ্যন্তরীণ নির্মাণ কাজে ব্যবহার করে। বিশ্বজুড়ে বিরাজমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জাপানে ইস্পাতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং রপ্তানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ইস্পাতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর লৌহ আকরিকের আমদানি ৬% এবং কোক কয়লা আমদানি ৯% কমেছে।

বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হলে জাপানের বাল্ক আমদানি বাড়বে। তবে জাপানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। চীনের অর্থনীতি চাঙ্গা হলে জাপানসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের অর্থনীতি সচল হবে এবং আমদানি-রপ্তানির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদারে নতুন নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইইউ

ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা, প্রযুক্তি এবং পরিবেশগত হুমকি থেকে সমুদ্রসীমাকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন নীতি এবং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

২০১৪ সালে ‘ইইউ মেরিটাইম সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি’ প্রণয়নের পর থেকে সামুদ্রিক নিরাপত্তার হুমকি এবং প্রতিবন্ধকতা কয়েক গুণ বেড়েছে। জলদস্যুতা, সশস্ত্র ডাকাতি, মানব পাচার, অভিবাসী, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান এবং সন্ত্রাসবাদের মতো অবৈধ কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের জেরে সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাবিত হচ্ছে আঞ্চলিক নিরাপত্তা। এসব কিছু মোকবিলায় ইইউ মেরিটাইম সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি হালনাগাদ করতেই নতুন নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইইউ কমিশনার ভিরগিনিয়ুস সিনক্যাভিচুস জানান, সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব মোকবিলা করতে নতুন নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করা হবে। এছাড়া সামুদ্রিক নজরদারি জোরদার করতে আধুনিক এবং শক্তিশালী যন্ত্রপাতির ব্যবহার, সাইবার ও হাইব্রিড হুমকি মোকবিলায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অবকাঠামোর সুরক্ষা আরও শক্তিশালী করা হবে।

নতুন স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, ইইউ পর্যায়ে নৌ মহড়ার আয়োজন, ইউরোপজুড়ে কোস্ট গার্ডের কার্যক্রম বৃদ্ধি, ইইউ বন্দরগুলোতে সিকিউরিটি ইন্সপেকশন জোরদার করা হবে। সেসঙ্গে উপকূল এবং সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় টহল জাহাজের নজরদারি জোরদার, পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান বৃদ্ধি এবং ইইউ-ন্যাটো সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এছাড়া সাইবার এবং অন্যান্য হামলা থেকে জাহাজ ও গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক স্থাপনাগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত নৌ মহড়া আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নতুন স্ট্র্যাটেজিটি বর্তমানে ইইউ কাউন্সিলের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নতুন কর্মকৌশল অনুমোদন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছে ইইউ কমিশন।

মে মাসে খুলছে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল

মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েলসহ সংস্থা প্রধানরা সরাসরি ও অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আজিজুর রহমান জানান, বন্দরের প্রথম টার্মিনালে পণ্যবাহী জাহাজ ভেড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। রাবনাবাদ চ্যানেলের চারিপাড়ায় নির্মিত এ টার্মিনালে একইসঙ্গে ২০০ মিটারের ৩টি মাদার ভেসেল ভেড়ানোর সক্ষমতা থাকছে। ৬৫০ মিটার দীর্ঘ মূল টার্মিনাল এবং ৩ লাখ ২৫ হাজার বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ড, ১০ হাজার বর্গমিটার সিএফএস সুবিধা থাকছে। এ বন্দরে আরও ২টি টার্মিনাল নির্মাণাধীন।

আজিজুর রহমান আরও জানান, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে ১ হাজার একর জমি ভরাট করা হয়েছে। ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়া বাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম চলবে। সড়কপথে পণ্য পরিবহনের জন্য টার্মিনালের সঙ্গে ৬ লেনের ৬ দশমিক ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। এ ছাড়া আন্ধারমানিক নদীতে ১ দশমিক ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেন সেতুর নির্মাণ কাজও শুরু হচ্ছে। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ৬ লেন সড়ক ও ৪ লেন সেতুর নির্মাণসহ এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা সমুদ্র বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর

পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান ও পর্ষদ সদস্যবৃন্দ

বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। রবিবার দিনের শুরুতে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বন্দর রিপাবলিক ক্লাব প্রাঙ্গণে স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অভিবাধন গ্রহণ করেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বন্দরের সকল পর্ষদ সদস্য, বিভগীয় প্রধান, সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বন্দর ভবন, ওয়ার্কশপ, আবাসিক ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব এবং বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ ও অন্যান্য জলযানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

স্বাধীনতা দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয় শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে যার যার অবস্থান থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা করতে হবে।

বক্তব্য শেষে তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে বন্দরের আওতাধীন সকল মসজিদ, এবাদতখানা, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বন্দর হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ রোগীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত জাহাজের ক্যাপ্টেনদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ফ্রুট বাস্কেট ও ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে ২৫ মার্চ রাত ১২ টায় বন্দরে অবস্থানরত সকল জাহাজে এক মিনিট ভেঁপু বাজানো হয় এবং রাত ৯টা থেকে ৯ টা ১ মিনিট পর্যন্ত ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে বন্দর সংরক্ষিত এলাকার বাইরে ব্ল্যাক আউট করা হয়।

সহজে আমদানি-রপ্তানি সেবা দিতে সফটওয়্যার কিনছে এনবিআর

আমদানি-রপ্তানিকারকদের সহজে সেবা দিতে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প গ্রহণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আওতায় দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়েব ফন্টেইন গ্রুপের কাছ থেকে ২১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় সফটওয়্যার কেনা হচ্ছে। এ ছাড়া স্পট মার্কেট থেকে আরও এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ মোট সাতটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

গত সপ্তাহের শেষদিনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, এনবিআরের মাধ্যমে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন, কাস্টমস আধুনিকায়ন ও জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় সফটওয়্যার কার্যক্রম এবং অটোমেটেড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাস্তায়নে সফটওয়্যার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুবাইভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়েব ফন্টেইন গ্রুপের কাছ থেকে ২১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় এ সফটওয়্যার কেনা হবে।

আমদানি-রপ্তানি আবেদন গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিকারকদের সহজে সেবা দিতে ২০১৭ সালে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে খরচ ও সময় সাশ্রয় এবং পণ্য খালাসে দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস পাবে বলে আশা করা হয়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকারি একাধিক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৫৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে ৫২৯ কোটি টাকা এবং সরকার দেবে ৫৫ কোটি টাকা।

শিপইয়ার্ড চ্যাটবট চালু করেছে স্যামসাং

শিপইয়ার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে জাহাজের ডিজাইনারদের জন্য এসবিওটি নামক চ্যাটবট চালু করেছে স্যামসাং হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ (এসএইচআই)।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন চ্যাটবটটি কোম্পানির বিভিন্ন সিস্টেমে থাকা নিয়মনীতি, চুক্তি, ডিজাইন সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে। এসবিওটি ব্যবহার করে নতুন কর্মীরা দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে তাদের কাজ সম্পাদন করতে পারবে। এসওবিটিতে থাকা অটোমেশন ফাংশন রোবোটিক প্রক্রিয়া এবং সিম্পল কমান্ডের সমন্বয়ে কাজ করে।

অটোমেশন ফাংশন ব্যবহার করে ড্রয়িং অনুসন্ধান, সময়সূচি ব্যবস্থাপনা এবং ইস্যুকরণের মতো পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ করা সম্ভব। এতে করে ডিজাইনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি কম সময়ে গুণগত মানসম্পন্ন ডিজাইন তৈরি করতে পারবে।

উল্লেখ্য, একটা পরিকল্পিত ইন্টারফেসের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটির সাথে সংযুক্ত করে এসবিওটির দক্ষতা আরও বাড়ানো যাবে।