Home Blog Page 55

চাগোস দ্বীপপুঞ্জের বড় সমস্যা অবৈধ মাছ শিকার

ভারত মহাসাগরে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ চাগোস দ্বীপপুঞ্জ অবৈধ মৎস্য শিকারিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। অতিমাত্রায় মাছ শিকারের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপপুঞ্জের মৎস্যসম্পদ।

চাগোস দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে মরিশাসের সঙ্গে ব্রিটেনের দ্বন্দ্ব চললেও প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ সরকারই এর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে। ভাড়া করা উপকূলীয় জাহাজ ‘গ্র্যাম্পিয়ান এন্ডুরেন্স’ দিয়ে টেক্সাসের সমান বিশাল এলাকা টহল দেয় স্থানীয় ব্রিটিশ প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, বিগত দুই বছরে অবৈধ মাছ শিকারিদের আনাগোনা অনেক বেড়েছে। যার ফলে হাঙ্গরসহ আরও বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

অবৈধ মাছ ধরা ঠেকাতে স্থানীয় ব্রিটিশ প্রশাসনকে সাহায্য করছে রয়েল নেভি। সম্প্রতি গ্র্যাম্পিয়ান এন্ডুরেন্সের কাজে সহযোগিতা করতে এই এলাকায় টহলদারি করে রয়েল নেভির টহল জাহাজ এইচএমএস টামার।

কোরিয়ান বন্দরে স্থাপিত হবে প্রথম স্বয়ংক্রিয় হাই-বে স্টোরেজ সিস্টেম

বুসান বন্দরে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম স্বয়ংক্রিয় হাই-বে স্টোরেজ সিস্টেম প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।

বন্দরের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে স্টোরেজ সিস্টেমটি তৈরি করা হয়েছে। সিস্টেমটিকে বর্তমানে প্রচলিত ট্রাকগুলোর সাথে রেট্রোফিট হিসেবে একত্র করা হবে, যা বন্দরের স্টোরেজের খালি জায়গায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সিস্টেমটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং যেকোনো সময় চাইলেই যেকোনো কনটেইনারে সরাসরি এক্সেস দিতে পারে।

২০২১ সালে দুবাইয়ের জেবেল আলি টার্মিনালে এই সিস্টেমটি প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়। তখন সিস্টেমটির ধারণক্ষমতা ছিল ৮০০ টিইইউ। সিস্টেমটি কনটেইনার বহনের নিরাপত্তা এবং উৎপাদনশীলতা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। বাণিজ্যিকভাবে সিস্টেমটি কাজ শুরু করলে ট্রাকের পরিষেবা প্রদানের সময় ২০% বৃদ্ধি পাবে।

ইউক্রেনে বিধ্বস্ত ‌’বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ পেয়েছে ২৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। ছবি সংগৃহিত

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ২৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন এ জাহাজটির ক্ষতিপূরণ বাবদ বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ২ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১০৬ টাকা ধরে হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৩৭ কোটি টাকা।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ওই বছরের ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রাশিয়ার মিসাইল হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। এ হামলায় নিহত হন জাহাজটিতে দায়িত্বরত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান। পরে জাহাজটিতে আটকে পড়া ২৮ নাগরিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই হামলার পর থেকে জাহাজটি ইউক্রেনের বন্দরেই পড়েছিল।

হামলার পর জাহাজটির মালিক বিএসসি ক্ষতিপূরণ পেতে বিমা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ক্ষতিপূরণ বাবদ বিদেশি বিমা কোম্পানির কাছ থেকে বাংলার সমৃদ্ধির জন্য ২ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। ক্ষতিপূরণের সেই অর্থ সম্প্রতি হাতে পেয়েছে বিএসসি।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মো. জিয়াউল হক বলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটির বিমা দাবির ২ কোটি ২৪ লাখ ডলার দেশে এসেছে। সরকারি বিমা কোম্পানি সাধারণ বীমা কর্পোরেশন হয়ে এ অর্থ বিএসসির হিসাবে জমা হচ্ছে।

২০১৮ সালে জাহাজটি ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি ডলারে সংগ্রহ করেছিল বিএসসি। যুদ্ধে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এ জাহাজটি বিশ্বের বিভিন্ন বন্দর থেকে পণ্য আনা–নেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল। জাহাজটির ক্ষতিপূরণের বাইরে ওই জাহাজে থাকা নাবিকেরাও বিমা বাবদ প্রায় আট কোটি টাকার বেশি পেয়েছেন।

প্রথমবারের মতো সিসিএস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাগরপৃষ্ঠে কার্বন ডাইঅক্সাইড সংরক্ষণ

কার্বন ক্যাপচার অ্যান্ড স্টোরেজ (সিসিএস) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সাগরের তলদেশে কার্বন ডাইঅক্সাইড সংরক্ষণ করেছে গ্রিনস্যান্ড প্রকল্প।

সিসিএ প্রয়োগের লাইসেন্স পাওয়ার পর ২৩টি সংস্থার কনসোর্টিয়াম নিয়ে গঠিত প্রকল্পটি বেলজিয়ামের একটি শিল্পকারখানা থেকে সফলভাবে কার্বন ডাইঅক্সাইড সংগ্রহ করে। সংগৃহীত তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড ক্যানিস্টারে ঢুকিয়ে বিশেষভাবে সজ্জিত উপকূলীয় জাহাজ অরোরা স্টর্মে করে ডেনিশ উত্তর সাগরের নিনি ওয়েস্ট তেলক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশেষ পাম্পিং সিস্টেমের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড সাগরতলের ১৮০০ মিটার গভীরে সংরক্ষণ করা হয়।

আশা করা যাচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ গ্রিনস্যান্ড প্রকল্প বছরে ৮ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড সংরক্ষণ করতে পারবে, যা ডেনমার্কের মোট কার্বন নির্গমনের ১৩%।

শিপিং খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের পরিকল্পনা সংশোধন করছে আইএমও

সমুদ্র পরিবহন খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে ‘২০২৩ আইএমও স্ট্র্যাটেজির’ খসড়া তৈরি করেছে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)। বিগত ২০-২৪ মার্চ খসড়া পরিকল্পনা সংশোধন করতে আইএমও এর ৮০টি সদস্য দেশের প্রায় ৭৫০ জন নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারী একত্র হন।

অংশগ্রহণকারীরা আইএমওঢ় জাহাজের জ্বালানি তেল খরচ সংক্রান্ত ‘ডেটা কালেকশন সিস্টেম (ডিসিএস)’-এর সম্ভাব্য সংশোধন বিষয়ক প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। সেসঙ্গে পরিবহন সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং ডিসিএসতে উল্লেখিত তথ্যের যথার্থতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনের ক্ষেত্রে বায়ুদূষণ এবং জ্বালানি সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দেন।

চলতি বছর ৩-৭ জুলাই অনুষ্ঠেয় ৮০তম অধিবেশনে সংশোধিত স্ট্র্যাটেজিটি আইএমওর সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা মেরিন ইনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন কমিটি দ্বারা গৃহীত হবে।

তরুণ প্রজন্মের জন্য কেপিআই ওশান কানেক্টসের ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম ‘গেট ফুয়েলড’

পরবর্তী প্রজন্মকে সামুদ্রিক জ্বালানি ব্যবসায় আগ্রহী করে তুলতে দুই বছর মেয়াদি বৈশ্বিক প্রশিক্ষণ প্রোগাম ‘গেট ফুয়েলড’ শুরু করছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামুদ্রিক জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কেপিআই ওশান কানেক্টস।

প্রোগ্রামে প্রশিক্ষণার্থীদের সামুদ্রিক জ্বালানি বাণিজ্য, সাপ্লাই এবং লজিস্টিকের ওপর সামগ্রিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সামুদ্রিক জ্বালানি খাতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের ভ্রমণ এবং টিম বিল্ডিং অ্যাক্টিভিটির সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে তারা বিশ্বের নানা প্রান্তের সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। এছাড়া গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কেপিআইয়ের ১৬টি অফিসের যেকোনো একটিতে থেকে নানা সংস্কৃতি শেখার এবং নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ দেওয়া হবে।

সেপ্টেম্বর থেকে প্রোগ্রামটি ডেনিশ মেরিটাইম একাডেমির কোর্সগুলোর সাথে একত্র করে করানো হবে, যার ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা শিপিংয়ের ওপর একটি ফাউন্ডেশন ডিগ্রি লাভ করবে।

পরিচালন দক্ষতা বাড়ালে শিপিং খাতে সাশ্রয় হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার: জিএমএফ

২০৫০ সাল নাগাদ ডিকার্বনাইজেশন নিশ্চিত করতে সমুদ্র পরিবহন শিল্প একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গ্লোবাল মেরিটাইম ফোরামের (জিএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, চারটি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অপারেশনাল এফিসিয়েন্সি বা পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করলে কার্বন ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি সমুদ্র পরিবহন শিল্পে বার্ষিক ৫০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব।

সমুদ্র পরিবহন শিল্পে কার্বন নির্গমন সম্পূর্ণরূপে কমাতে হলে জিরো-ইমিশন ফুয়েল (জেডইএফ) বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। বর্তমানে এসব জ্বালানি এবং প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী নয়। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এবং প্রযুক্তি সাশ্রয়ী হওয়ার আগে বিকল্প হিসেবে স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

জিএমএফের গবেষণা অনুযায়ী পদক্ষেপগুলো হলো, সুষ্ঠুভাবে পারফরম্যান্স ডেটার স্বচ্ছতা এবং মান নির্ধারণ, কাজের গতি এবং পরিমাণ বাড়াতে প্রচলিত কর্মপদ্ধতির মানোন্নয়ন এবং নতুন নতুন কর্মপদ্ধতি উদ্ভাবন, চুক্তিতে ভার্চুয়াল অ্যারাইভাল ক্লজের অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করা (অর্থাৎ কোনো কারণে ডিসচার্জ পোর্টে দেরি হলে জাহাজের গতিতে সামঞ্জস্য এনে নির্ধারিত সময়ে ডিসচার্জ বা লোডিং পোর্টে প্রবেশের অনুমতি থাকতে হবে) এবং সবশেষে নতুন ধরনের ব্যবসা চালু করতে নিয়ম-নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে সমুদ্র পরিবহন শিল্পের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি।

এই চারটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করলে জাহাজের জ্বালানি, খরচ এবং সময় বাঁচনো যাবে। যার ফলে বছরে জাহাজ এবং নৌবহরের জ্বালানি খরচের ২০% পর্যন্ত অর্থাৎ বর্তমান বাজারমূল্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার কমানো সম্ভব। সেসঙ্গে জাহাজ শিল্পে বার্ষিক ২০০ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা চালু

পণ্য রপ্তানির প্রধান গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ২০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা চালু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে গত দুই মাসে দুটি জাহাজ ভেড়ানোর পর রোববার (১৯ মার্চ) বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা উম্মুক্ত করা হলো।

এখন আগের চেয়ে বেশি পণ্য বোঝাই করে বন্দরের জেটিতে বড় জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ যেমন কমবে, তেমনি জেটিও কম লাগবে। এ ছাড়া বন্দর থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশে কনটেইনারবাহী জাহাজসেবা চালুর সুযোগও বাড়বে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এইচআর ওয়েলিংফোর্ডের সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ করার পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ বড় জাহাজ ভিড়ানোর উদ্যোগ নেয়। গত ১৫ জানুয়ারি বন্দরের জেটিতে ভিড়ানো হয় ‘এমভি কমন অ্যাটলাস’ নামের ২০০ মিটার লম্বা একটি জাহাজ। আর ২৫ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে ভেড়ানো হয় এমভি মেঘনা ভিক্টরি নামের আরেকটি জাহাজ।

১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৮৬ মিটার লম্বা ও ৯ দশমিক ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ানো যেত। ২০১৫ সাল থেকে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভেড়ানো শুরু হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর জোয়ার-ভাটা নির্ভর একটি প্রাকৃতিক বন্দর। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বাড়লে জাহাজগুলো বন্দরের নিজস্ব পাইলটের মাধ্যমে সাগর থেকে কর্ণফুলী নদী দিয়ে মূল জেটিতে আনা-নেওয়া করা হয়। অন্যদিকে গুপ্ত বাঁকে প্রশস্ততার সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে জাহাজের দৈর্ঘ্য বাড়াতে বড় বাধা ছিল। কারণ, গুপ্ত বাঁক দিয়ে প্রায় ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে জাহাজ জেটিতে আনা–নেওয়া করতে হয়।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে কনটেইনার ভাড়া ২৪% কমেছে

২০২২ সালের আগস্টে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে কনটেইনার ভাড়া সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সেই সময়ের পর থেকে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে মালবাহী কনটেইনারের ভাড়া ২৪% হ্রাস পেয়েছে।

টানা সাত মাস ভাড়ায় এই দরপতন পরিলক্ষিত হচ্ছে। জেনেটার মাসিক শিপিং ইনডেক্স অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১৩.৩%, ফেব্রুয়ারিতে ১% এবং মার্চ মাসে সর্বনিম্ন ০.৫% দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে মার্চে দরপতনের হার কমায় আশাবাদী নন বলে জানান জেনেটার সিইও প্যাট্রিক বেরগ্লুন্ড। তার মতে, নতুন কোনো বৈধ চুক্তি না হওয়ায় দরপতনের হারে এই পরিবর্তন এসেছে।

এদিকে ইউরোপে দরপত্রের মৌসুম ইতিমধ্যে অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় শিগগির কনটেইনার ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। এছাড়া বর্তমানের অনিশ্চিত বাজার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক দোলাচল এবং চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় আগামী দিনগুলোতেও দরপতন অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জেনেটা।

শিপিং খাতে ডিজিটাইজেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের ব্যবধান কমাতে হবে: ওশান টেকনোলজিস সিইও

বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হলে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে হলে সমুদ্র পরিবহন খাতে ডিজিটাইজেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের ব্যবধান কমানো উচিত বলে মনে করেন ওশান টেকনোলজিস গ্রুপের (ওটিজি) সিইও থমাস জানজিঙ্গার।

জানজিঙ্গারের মতে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের অ্যানালগ তথ্য ডিজিটাইজ করতে হবে। যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেসেস (এপিআই) এর বিস্তারের কারণে পূর্বের বৈসাদৃশ্যপূর্ণ তথ্যের মধ্যে বর্তমানে সহজেই সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে। তাই কেউ যদি নিজের তথ্য ডিজিটালি হালনাগাদ না করে তবে অন্যরা সে সুযোগ লুফে নেবে এবং সেই ব্যক্তির ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সম্মানহানি ঘটবে।

এছাড়া বর্তমানে ভোক্তা এবং বিনিয়োগকারীরা ডিকার্বনাইজেশনসহ এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল এবং গভর্ন্যান্সের (ইএসজি) ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের অবশ্যই তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে নিজেদের ইতিবাচক কার্যক্রম এবং ব্যবসার পজিটিভ ইমেজ তুলে ধরা উচিত বলে মনে করেন তিনি।