Home Blog Page 56

চট্টগ্রাম বন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে বন্দর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান ও পর্ষদ সদস্যবৃন্দ। এ সময় বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বন্দর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বন্দরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বন্দর চেয়ারম্যান। বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় পুরস্কার বিতরণের পর।

বন্দরের মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে জাতির পিতার জন্মদিনে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে পরিবেশন করা হয় উন্নতমানের খাবার । বিকালে বন্দরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বন্দর স্টেডিয়ামে অভ্যন্তরীণ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন পর্ষদ সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান।

নিরাপদে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি পরিবহনের জন্য তৈরি হচ্ছে নির্দেশিকা

কার্বনের পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে মানুষ বর্তমানে ইলেকট্রনিকস পণ্যকে বেছে নিচ্ছে। যার ফলে সমুদ্রপথে তথা কনটেইনারে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি পরিবহনের পরিমাণ বেড়েছে। তবে এই ধরনের ব্যাটারি পরিবহনের ক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগসহ বেশকিছু ঝুঁকি থাকে।

সমুদ্র পরিবহনের প্রতিটি ধাপে নিরাপদে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি বহনের জন্য অংশীদারদের সাথে মিলিতভাবে ‘লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিজ ইন কনটেইনারস গাইডলাইনস (১০১.এ)’ তৈরি করছে কার্গো ইন্সিডেন্ট নোটিফিকেশন সিস্টেম নেটওয়ার্ক। এর পাশপাশি রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স চেকলিস্ট; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি রেসপন্স এবং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষামূলক সচেতনতা সংক্রান্ত আরও তিনটি নথি প্রকাশ করা হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে শিপিং কোম্পানিগুলো পরিবহনের সময় ব্যাটারির চার্জ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ৫০% বা তার চেয়ে (৩০% হলে সবচেয়ে ভালো হয়) কম চার্জের ব্যাটারি বহন করা হয় এবং বহনের সময় চার্জ দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।

মার্কিন ওশান শিপিং অ্যাক্টের প্রস্তাবিত সংশোধন ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি

যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত ফেডারেল অ্যান্টিট্রাস্ট আইন থেকে বিদেশি ক্যারিয়ার কোম্পানিগুলোর রেয়াত বাতিল করতে ওশান শিপিং অ্যাক্টের প্রথম সংশোধনী পেশ করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।

মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, উৎপাদনকারী এবং ভোক্তাদের প্রতি হয়ে আসা অন্যায্য আচরণ বন্ধ করতে ‘ওশান শিপিং অ্যান্টিট্রাস্ট এনফোর্সমেন্ট অ্যাক্ট’ সংশোধনীর পেশ করেন আইনপ্রণেতারা। তাদের মতে, সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে বিদেশি কোম্পানিগুলোর যোগসাজশ এবং একচেটিয়া ব্যবসা, অযৌক্তিক এবং একতরফা কনটেইনার রেট বৃদ্ধি এবং অত্যধিক ডিটেনশন এবং ড্যামারেজ ফি হ্রাস পাবে।

অন্যদিকে এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে ওয়ার্ল্ড শিপিং কাউন্সিল জানায়, সংশোধনীটি বাস্তবায়িত হলে ক্যারিয়ার কোম্পানিগুলোর মধ্যকার ভেসেল শেয়ারিং এগ্রিমেন্ট বাতিল হয়ে যাবে। যার ফলে প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং মার্কিন শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে অধিক সংখ্যক বন্দরে পণ্য পাঠানো দুষ্কর হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশ-মধ্যপ্রাচ্য রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করতে যাচ্ছে সিএমএ-সিজিএম

লরেন্ট ওলমেটা

লজিস্টিক সেবা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সিএমএ-সিজিএম বাংলাদেশ-মধ্যপ্রাচ্য রুটে জাহাজে পণ্য পরিবহন পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লরেন্ট ওলমেটা ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন সম্প্রতি। এ সময় প্রথম আলোর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।

লরেন্ট ওলমেটা বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা বেশ ভালো হওয়ার কারণে আমরা নতুন নতুন সেবা যোগ করছি। সম্ভাবনা দেখেই সেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির যে গতি এখানে আছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আরও ভালো ব্যবসা হবে। নতুন নতুন বিনিয়োগ আসবে। বিশেষ করে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। এটি চালু হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আলাদা গতি পাবে। এসব ভেবে আমরাও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী মাসে বাংলাদেশ-ভারত উপসাগরীয় সার্ভিসের (বিআইজিইএক্স) মাধ্যমে বাংলাদেশ-মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে নতুন একটি শিপিং (জাহাজে পণ্য পরিবহন) পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে উপসাগরীয় অঞ্চলের জেবেল আলী এবং খলিফা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করতে আমাদের এই প্রয়াস। এ পথে জাহাজ চলাচল করলে ভারতের নাভা শিভা ও মুন্দ্রা বন্দরও সংযুক্ত হবে। তাতে এটি একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সেবা হিসেবে পরিচিত পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় অংশ ইউরোপ–আমেরিকার সঙ্গে হলেও নতুন এ পথও ভবিষ্যতে ভালো করবে। এ পথের আরও একটি বৈশিষ্ট্য, জাহাজে পণ্য দুবাই গিয়ে সেখান থেকে সরাসরি ইউরোপ ও আমেরিকায় কার্গো বিমানে দ্রুত পণ্য পরিবহনের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

লরেন্ট ওলমেটা বলেন, নতুন এ সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কা উপসাগর একটি সমুদ্রপথ হিসেবে চিহ্নিত হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমুদ্রপথকে মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতের পশ্চিম উপকূলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করল। এ পরিষেবা দ্রুত ট্রানজিট সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে উপসাগরীয় জেবেল আলী বন্দর হয়ে আবুধাবিতে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ থেকে ৮ দিনে ভারতের নাভা শিভা বন্দরে ও ১০ দিনের মধ্যে মুন্দ্রা বন্দরে পৌঁছাবে।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের প্রস্তাব অনুমোদন

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করার জন্য চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ কাজ করবে।

বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বৈঠকে পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবের ৪৪৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার পুরোটাই সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হবে।

বৈঠকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন ছাড়াও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’-এর বহিঃসীমা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ ১৯ হাজার ৮৩ টাকা কমিয়ে সংশোধিত চুক্তিমূল্য ১১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের বরাদ্দ হওয়া গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সেবা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। চলতি মাসেই সরাসরি কিংবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ণ প্রকল্প দুইয়ের তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও চতুর্থ পর্যায়সহ শিগগির ৫৭ হাজার ৭৩৭টি গৃহ হস্তান্তর করা হবে।

সুনীল অর্থনীতি অর্জনের লক্ষ্যে ইউএফএম এবং ডব্লিউওসি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

২০২১ সালে টেকসই সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করে ইউনিয়ন ফর দ্য মেডিটেরিয়ান (ইউএফএম)। এরই ধারাবাহিকতায় ভূমধ্যসাগরীয় সুনীল অর্থনীতি খাতে প্রাইভেট সেক্টরের অংশগ্রহণ এবং নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করতে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ওশান কাউন্সিলের (ডব্লিউওসি) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইউএফএম।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগরীয় পর্যায়ে সমুদ্র পরিবহন খাত এবং সামুদ্রিক খাতে ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা, সম্পৃক্ততা, করপোরেট রেসপন্সিবিলিটি, স্টুয়ার্ডশিপ বাড়াতে উভয়পক্ষ একত্রে কাজ করবে।

এছাড়া সুনীল ব্যবসার বিকাশ এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি, ব্লু স্কিল, ক্যারিয়ার, চাকরি, সুনীল অর্থনীতির বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্ষমতা সৃষ্টি, সুনীল অর্থনীতিতে টেকসই বিনিয়োগ এবং ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সুনীল অর্থায়ন প্রক্রিয়া শুরু করতে ইউএফএম এবং ডব্লিউওসি একে অন্যকে কৌশলগত সহযোগিতা করবে।

চার প্রতিষ্ঠান রপ্তানির ৩৮০ কোটি টাকা দেশে আনেনি

জাল নথি তৈরি করে রপ্তানির আড়ালে চার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক ফখরুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঢাকার দক্ষিণখানের সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৭৮০টি চালানে ৯৯৭ টন মেনস ট্রাউজার, টি-শার্ট, বেবি সেট, ব্যাগ, পোলো শার্ট, জ্যাকেট, প্যান্ট ও হুডি রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা (১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৭ ডলার)। কিন্তু এ অর্থ দেশে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর রমনা থানার এশিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১৩৮২টি চালানের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৮৫ টন টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ২৮২ কোটি টাকা (২ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৬ ডলার)। কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার ও যুক্তরাজ্যে এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

রাজধানীর দক্ষিণখান বাজারের ইমু ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২৭৩টি চালানের মাধ্যমে ২ হাজার ৫২৩ টন টি-শার্ট, ট্রাউজার ও টপস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ৬২ কোটি টাকা (৬৫ লাখ ৪ হাজার ৯৩২ ডলার)। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

ঢাকার উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের ইলহাম নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৩৯টি চালানের মাধ্যমে ৬৬০ টন টি-শার্ট, ট্যাংক টপ ও লেডিস ড্রেস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা (১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮৫ ডলার)। কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফখরুল আলম।

পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে এনবিআর

পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনের আওতায় আমদানি পণ্যের তালিকায় ডিজেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ডিজেল আমদানি করা হবে।

সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এনআরএল) শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে ফুলবাড়ী হয়ে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকার মহানন্দা নদীর তলদেশ দিয়ে পাইপলাইনে বাংলাদেশে ডিজেল আসবে। এই পাইপলাইন দিয়ে পার্বতীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ডিপোতে যাবে ডিজেল। ১০ ইঞ্চির এই পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।

চলতি মাসেই এ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। এ জন্য এনবিআরের একটি আনুষ্ঠানিক অনুমতির প্রয়োজন এবং প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ এ প্রক্রিয়ায় ডিজেল আমদানির অনুমতি দিল।

জানা গেছে, দুই দেশ মিলিয়ে ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পাইপলাইন নির্মিত হয়েছে। ভারতীয় অর্থায়নে দ্বিপক্ষীয় এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ গত ১২ ডিসেম্বর শেষ হয়। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পের আওতায় এই পাইপলাইন বসানো হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ কাজের উদ্বোধন হয়েছিল।

পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য বিপিসি ২০১৭ সালের এপ্রিলে এনআরএলের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করে। একই বছরের অক্টোবরে এনআরএল বাংলাদেশে গ্যাস ও তেল (ডিজেল) রপ্তানির জন্য বিপিসির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি আরেকটি চুক্তি সই করে।

এত দিন ভারত থেকে বাংলাদেশে রেলপথে ডিজেল আসত। তবে এখন পাইপলাইনে আসবে ডিজেল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এতে প্রতি ব্যারেল ডিজেল আমদানিতে খরচ ছয় ডলারের মতো কম হবে।

‘গ্রিন শিপিং’ উদ্যোগের জন্য ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস ও জাপানের চুক্তি স্বাক্ষর

পরিবেশবান্ধব সমুদ্র পরিবহন নিশ্চিত করতে সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য ও জাপান সরকার একটি চুক্তি এবং লস অ্যাঞ্জেলেস, টোকিও ও ইয়োকোহামা বন্দর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

গ্রিন শিপিং করিডোর তৈরি, উপকূলীয় বায়ুশক্তির বিকাশ, বন্দরে উষ্ণায়ন সৃষ্টিকারী দূষণহ্রাস, পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে একযোগে কাজ করবে দুই দেশ। এছাড়া ১.২ বিলিয়ন ডলারের বন্দর ও মালবাহী অবকাঠামো কর্মসূচির আওতায় গ্রিন শিপিং করিডোর, পোর্ট ডিকার্বনাইজেশন এবং কার্বন নিগর্মনমুক্ত পরিবহন কার্যকর করবে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ট্রান্সপোর্টেশন এজেন্সি।

৯০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষম চট্টগ্রাম বন্দর

১৮টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, অটোমেশন, ইয়ার্ড সম্প্রসারণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের এখন ৯০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।

সোমবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন আমাদের এ বন্দরকে রিজিওনাল হাবে পরিণত করবেন। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে। যা শুধু দেশের নয়, এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বে ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বন্দরে ২৩ হাজার টিইইউস কনটেইনারের জায়গা খালি আছে। আমাদের ইয়ার্ড স্পেস ও হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, বহরের সার্ভিস ভেসেল বেড়েছে। কোভিড পিরিয়ডে অনেক টাগ যুক্ত হয়েছে। এখন ৫৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার ধারণক্ষমতা আছে আমাদের। বন্দরে যন্ত্রপাতির স্বল্পতা নেই। আমাদের ফ্লিটে কিছু অতিরিক্ত ইক্যুইপমেন্ট রেখেছি, যাতে কোনোটি নষ্ট হলে দ্রুত রিপ্লেস করতে পারি। ২০১৫ সালে মোট ইক্যুইপমেন্ট ছিল ৭৭টি, চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন ছিল। এখন দুই শতাধিক ইক্যুইপমেন্ট, কি গ্যান্ট্রি ক্রেন আছে ১৮টি। আগে তিন-চার দিন জাহাজ রিলিজ করতে সময় লাগত, এখন ৩৬-৪৮ ঘণ্টায় জাহাজ রিলিজ করতে পারছি। আন্তর্জাতিক যেকোনো বন্দরের সঙ্গে এখন আমরা প্রতিযোগিতা করতে পারি।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০১০ সালের চট্টগ্রাম বন্দর এবং ২০২৩ সালের চট্টগ্রাম বন্দর এক নয়। এখন এটি আধুনিক ও সুশৃঙ্খল বন্দর। বিশ্ব যখন স্থবির ছিল কোভিডে আমরা তখন ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন কাজ করেছি। দশ বছরের হিসাবে দেখবেন ১০-১২ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি আমাদের। সময়ের সঙ্গে আমরা সক্ষমতা বাড়িয়েছি। পিসিটির কাজ শেষ। অ্যাডভাইজার নিয়োগ হয়েছে। বারবার তাগাদা দিচ্ছি।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, কার্যকরী সদস্য জসিম চৌধুরী সবুজ ও মোয়াজ্জেমুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম ও সচিব মো. ওমর ফারুকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।