Home Blog Page 57

২০৪১ সালের আগেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বিনিয়োগের উপযোগী জায়গা বাংলাদেশ। এদেশে বিনিয়োগ করলে সফল হবে। এটা বুঝেই বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সরকারের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা বিজনেস সামিটে এসেছেন। এর মাধ্যমে সামিট সফল হয়েছে। এসব উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত রয়েছে। এগুলোর কর্মযজ্ঞ চালু হলে ২০৪১ নয়, তার আগেই আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে যাবো।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের অর্থনীতি ৪৭০ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। এখনকার সরকার ব্যবসাবান্ধব। পদ্মা সেতু চালু করেছে। বিভিন্ন বড় বড় অবকাঠামোর কাজ চলছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞ বলে দেয় ২০৪১ সালে এক ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে নয়, সাড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি হবে, এমন পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন নবম ভোক্তার বাজার। এখানে ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে। যার ৬৮ শতাংশ জনশক্তি কর্মক্ষম। এখানে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। কারণ আমরা ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছি। এখানে ভোক্তা বাজার আছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত-ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। এটি বুঝেই দক্ষিণ করিয়া-জাপানসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগ শুরু করেছে। তারা বুঝেছে এখানে বিনিয়োগ করলে সফল হবেই।

জসিম বলেন, এই প্রথম বাংলাদেশ বিজনেস সামিট করেছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছু ভুল-ত্রুটি হলেও সফলতাই বেশি। সফল হওয়ার অন্যতম কারণ ৮৯৬ জন সামিটে অংশ নিতে রেজিস্ট্রশন করেছে। ৩০০ এর বেশি বিদেশি এসেছে। সামিটে প্রতিটি সেশন ছিল প্রাণবন্ত। বেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা আগ্রহ নিয়ে সেশনগুলোতে অংশ নিয়েছেন। এরইমধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে চারটি ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে। সৌদি আরব আরও বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। আরও কয়েকটি দেশের ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই সামিটের উদ্দেশ্য ছিল ব্র্যান্ডিং করা ও দেশের সক্ষমতা তুলে ধরা, এতে আমরা সফল হয়েছি।

এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিজনেস সামিটের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ১৭টি দেশের ৩০০ এর বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতা অংশ নেন।

কোরিয়া থেকে পাওয়া ঋণের ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে

আগামী পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা পাবে বাংলাদেশ। নমনীয় শর্তে পাওয়া এই ঋণের অর্থ দেশে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রোববার ঢাকায় দুই সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ-সংক্রান্ত দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং কোরিয়ার অর্থনীতি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী সিয়ং-উক কিম। অন্যটি স্বাক্ষর করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক তায়ে-সু কিম।

চলতি ২০২৩ থেকে শুরু করে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণের অর্থ খরচ করা হবে। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, সেগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় ঋণসহায়তা প্রদান করে আসছে।

কোরিয়া সরকারের সহায়তায় ৬১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ব্যয়ে এরই মধ্যে ১৬টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৬২ কোটি ডলার ব্যয়ে ৭টি প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রথমবারের মতো জোয়ারশক্তি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুর

জোয়ারশক্তি বা টাইডাল এনার্জি থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন ও সরবরাহ বাণিজ্যিকীকরণ করতে ‘টাইডাল এনাার্জি ডেমন্সট্রেসন প্রজেক্ট’ হাতে নিয়েছে এনওয়াইকে।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জোয়ারশক্তি ব্যবহার করে উৎপন্ন বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। ব্লু এনার্জি দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পটি সিঙ্গাপুরের সাতুমু দ্বীপে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জোয়ারশক্তির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা, উৎপাদন খরচ এবং সংরক্ষণের বিষয়গুলো মূল্যায়ন করবে এনওয়াইকে। পরবর্তীতে সেসব তথ্য সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তির বাণিজ্যিকীকরণের কাজে লাগানো হবে।

এনবিআরকে কর আদায়ব্যবস্থা সহজ করার নির্দেশনা সরকারের

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, কর আদায় সহজীকরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এ প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি।

রবিবার (১২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে এনবিআর আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস সব খাতে ই-পেমেন্ট করার নির্দেশনা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ভালোর জন্য বলে সবকিছু। সেসব আমরা দ্রুত করতে পারি না, তাই আইএমএফের একটা তাগিদ থাকে।

তিনি বলেন, খসড়া আয়কর আইনেও কর পরিশোধের প্রক্রিয়া সহজীকরণের অনেক বিষয় আনা হয়েছে। করজাল বৃদ্ধির প্রচেষ্টা হিসেবে রিটার্ন ফরম সহজ করা এবং অনলাইনে জমা দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছি আমরা।

করোনা মহামারি-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ও আয়করের হার করদাতার জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন।

এ ছাড়া মূলধনী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, সম্পদ ও মূলধন পাচার রোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ভবিষ্যতে অধিক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে অপ্রদর্শিত আয়কে সহজ শর্তে প্রদর্শনের সুযোগ দিয়ে ধারা-১৯ এ পুনর্বহাল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সব ক্ষেত্র ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন শিপিং এজেন্সি কমিশনের ওপর প্রদেয় উৎসে করের হার ৮ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।

আলোচনায় অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) ন্যূনতম কর ২ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া করপোরেট করের উচ্চহার কমানোর প্রস্তাব দিয়ে সংগঠনটি জানিয়েছে, দেশে সাধারণ করপোরেট ট্যাক্স হার অতালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২০ থেকে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ জরুরি সেবা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ মোবাইল খাতের জন্য উচ্চহারে করপোরেট কর দিতে হয়।

এ ছাড়া ন্যূনতম কর সমন্বয় করা এবং অসমন্বয় করা অঙ্ক জের হিসেবে টানা, ক্যাপিটাল অ্যালাউন্স বা অবচয় ভাতা সমন্বয়, দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি বাস্তবায়ন, ই-সিমসহ সব প্রকার সিম সরবরাহের ওপর ভ্যাট অপসারণ এবং সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভ্যাট অপসারণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। টেলিকম মেশিনারি, ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়্যারের জন্য পৃথক এইচএস কোডের প্রস্তাব দিয়েছে এমটব।

বাংলাদেশ বিড়ি মালিক সমিতি পৃথক প্রস্তাবে বিড়িতে শুল্ক ১৮ টাকা থেকে ন্যূনতম ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করার দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া বিড়ির ওপর অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাবও দিয়েছে।

গুদাম কার্যক্রমে নতুন স্ক্যানিং প্রযুক্তি এনেছে মায়েরস্ক

অর্ডার পিকিং, ব্যাচ প্যাকিং এবং মজুদ পুনঃসরবরাহের মতো গুদাম কার্যক্রমের পরিধি বাড়াতে নতুন একটি প্রযুক্তি তৈরি করেছে মায়েরস্ক।

সিলিকন ভ্যালিতে তৈরি ক্লাউড-বেসড সফটওয়্যার এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ক্যানিং টেকনোলজি একত্র করে নতুন প্রযুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে। গুদামে কর্মীদের পাশাপাশি কাজ করবে প্রযুক্তিটি। এটি গুদামে আনা পণ্য তাৎক্ষণিকভাবে স্ক্যানিং করবে এবং রিয়েল-টাইম ইনভেন্টরি ডেটার মাধ্যমে কোন করিডোর থেকে কোন অর্ডার বাছাই করতে হবে, সেই তথ্য দেবে। যার ফলে গুদামের থ্রোপুট বাড়বে এবং ই-কমার্স অর্ডার প্রসেসিং দ্রæততর হবে।

অ্যামাজন,প্যাটাগোনিয়া, চিবোকে সাথে নিয়ে ‘জেমবা’ গঠনের ঘোষণা অ্যাস্পেন ইনস্টিটিউটের

সমুদ্র পরিবহন খাতে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বন্ধে অ্যামাজন, প্যাটাগোনিয়া এবং চিবোর সাথে মিলে জিরো ইমিশন মেরিটাইম বায়ার্স অ্যালায়েন্স (জেমবা) গঠনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্পেন ইনস্টিটিউট।

শিপিং কোম্পানিগুলোর জন্য পরিবেশবান্ধব সমুদ্র পরিবহন সুবিধা সহজলভ্য করাই জেমবার লক্ষ্য। জেমবার মাধ্যমে মালবাহী জাহাজের ক্রেতারা বাণিজ্যিকভাবে জিরো-ইমিশন শিপিং ত্বরান্বিত ও সামুদ্রিক খাতে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে পারবে। জেমবার প্রচেষ্টা নবায়নযোগ্য জ¦ালানি ও জিরো-ইমিশন জ¦ালানি উৎপাদন, অবকাঠামো এবং পরিচ্ছন্ন সামুদ্রিক পরিষেবায় টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মডেল তৈরিতে সাহায্য করবে।

সৌদি আরবকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাসাবির বৈঠক

বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি আরবকে জমি নেওয়া এবং আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আরও সৌদি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি। শুক্রবার গণভবনে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাসাবির সাথে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার স্থাপনের জন্য প্রস্তাব দেন, যেখানে অপরিশোধিতসহ সব ধরনের জ্বালানি তেল পরিশোধন করা যাবে। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থে উভয় দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তার দেশের বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে। এ প্রেক্ষাপটে তিনি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সমাধান করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।

প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিশাল বাজার থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সব দেশের সঙ্গে জলপথসহ সব পথে কানেক্টিভিটি জোরদার করার মাধ্যমে সরকার পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ ও মসৃণ করতে কাজ করছে। নদী খনন করে জলপথের নাব্যতা বাড়ানোর মাধ্যমে জলপথকে সচল করে তুলছে সরকার।

তিনি বলেন, সরকার সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বাংলাদেশী শ্রমিকদের আরবি ভাষা ভালোভাবে শেখার সুবিধার্থে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট তৈরি করতে চায়, যাতে তারা আরবি ভাষার লোকদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান উপস্থিত ছিলেন।

আদানি থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু

ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানির গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে বাংলাদেশ গ্রিডের সঙ্গে সিনক্রোনাইজ করে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০ মেগাওয়াটের কমবেশি বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে।

আদানি পাওয়ারের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট সক্ষমতা ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রথম ইউনিট ৭৫০ মেগাওয়াট উৎপাদনে এসেছে। গ্রিডে যতটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে সেটি পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে পূর্ণ সক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হবে।

২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির কথা থাকলেও তার আগেই শুরু হলো।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী মনাকষা থেকে রহনপুর পর্যন্ত এবং সেখান থেকে বগুড়া পর্যন্ত ১৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে। একই সঙ্গে বগুড়ায় ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ করেছে পিজিসিবি।

ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ভারতে ১০৮ ও বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের জুনে প্রথমবার বাংলাদেশ সফর করেন। তখন ভারতের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির ধারাবাহিকতায় আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে পিডিবি।

জাহাজের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘চার্ট’ চালু করছে ব্যুরো ভেরিটাস

সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করতে ‘সাইবার হেলথ অ্যানালিসিস রিপোর্ট টুল (চার্ট)’ চালু করেছে ব্যুরো ভেরিটাস।

চার্ট জাহাজের ডিজিটাল আর্কিটেকচার, দুর্বল দিক এবং সম্ভাব্য সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় জাহাজ কতটা প্রস্তুত সে বিষয়ে জাহাজ মালিকদের ধারণা প্রদান করবে। জাহাজের যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আন্তঃসংযোগগুলো আইএসিএস, ফ্ল্যাগস্টেটের সাম্প্রতিক নিয়মনীতি এবং সাইবার নিরাপত্তার আদর্শমান মেনে চলছে কিনা এবং জাহাজ মালিক এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবে চার্ট।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ কমেছে কৃষিপণ্যের রপ্তানি

চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) আট মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেশ থেকে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ। এ খাত থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬২ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলারের। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি কমেছে ২৬ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে কৃষিপণ্যের রপ্তানির অর্থমূল্য ছিল ৮৫ কোটি ৩২ লাখ ডলার। কৃষিপণ্যের মধ্যে শুকনো খাবার রপ্তানি হার গত দুই বছরই নিম্নমুখী রয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ শতাংশ কমে রপ্তানি হয়েছে ১৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের। চলতি বছর একই সময়ে তা ২৪ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এর মধ্যে চা রপ্তানি কমেছে ৮ শতাংশ, সবজিতে ৪৩, ফুলে ৫০ এবং অন্যান্য খাতে ৪৬ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।

বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের তো রপ্তানি আদেশ কমেনি। রপ্তানি আদেশ না কমার পরও আমাদের আয় কমেছে। কিছু মানুষের যোগসাজশ এবং প্রতারণার কারণে কৃষিপণ্য খাতের রপ্তানি আয় কমেছে।

তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে, যে কারণে আমাদের খরচও বেশি। ফলে আমরা মুম্বাই, কলকাতার দামে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশে আমাদের পণ্য সরবরাহ করতে পারছি না। কলকাতার বিমান ভাড়া কম, অন্যদিকে মুম্বাই থেকে শিপিংয়ে সবজি যেতে সময় লাগে মাত্র তিনদিন। আমাদের এখান থেকে তো লাগবে ১৫ দিন। এসব কারণে আমরা মার্কেট হারিয়ে ফেলছি। সুযোগ তৈরি হলে এ রপ্তানি হার আবারো আগের মতো করা সম্ভব।