Home Blog Page 6

বে টার্মিনাল প্রকল্প একনেকে উঠছে রবিবার

বে টার্মিনাল প্রকল্প এলাকা

চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্প আগামী ২০ এপ্রিল প্রকল্পটি একনেকে উঠছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির প্রি–একনেক সম্পন্ন হয়েছে। একনেকে ডিপিপি অনুমোদনের পর বিশ্বব্যাংকের সাথে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এরপরই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ পুরোদমে শুরু হবে। অবকাঠামোগত সম্ভাবনার বিশাল এই প্রকল্পটির নকশা, অর্থায়ন, ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রশাসনিক কাজ এগিয়েছে অনেক দূর।

প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা প্রকল্প করে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা চলছিল; কিন্তু কোনো কাজেই প্রত্যাশিত গতি তৈরি হয়নি।

প্রকল্পের তিনটি বড় কাজকে একই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ (বিটিএমআইডিপি) গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটিতে সমুদ্র চ্যানেল খনন, ব্রেকওয়াটার নির্মাণ, রেল ও সড়ক সংযোগ এবং নৌ চলাচল অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম রয়েছে। প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকি অংশ অর্থায়ন করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি প্রি–একনেকের অনুমোদন লাভ করেছে। আগামী ২০ এপ্রিল প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ওঠানো হবে।

প্রস্তাবিত বিটিএমআইডিপি প্রকল্পে ব্রেকওয়াটার নির্মাণে ৮ হাজার ২৬৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, নেভিগেশন অ্যাকসেস চ্যানেল নির্মাণে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, নেভিগেশনে সহায়ক যন্ত্র স্থাপনে ৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং রেল ও সড়ক সংযোগসহ অন্যান্য স্থাপনার সাথে সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

২০২৮ সালের মধ্যে ব্রেকওয়াটার ও চ্যানেল নির্মাণ শেষ হবে। ২০৩১ সালের মধ্যে বে টার্মিনালে জাহাজ নোঙর করার আশা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর পেলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পৌরকর বাবদ সর্বোচ্চ ১০০ কোটি টাকা পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের হাতে ১০০ কোটি টাকার চেক তুলে দেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মুনিরুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, সচিব মো. ওমর ফারুক এবং চসিকের পক্ষে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী।

মেয়র ও বন্দর চেয়ারম্যান বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। বন্দর চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়র বন্দরকেন্দ্রিক ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমানকে নির্দেশনা দেন। মেয়র জানান, বন্দরকে সচল রাখতে চসিক সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।

আগামী বাজেটের প্রধান লক্ষ্য অ-শুল্ক বাধা দূর করা : এনবিআর চেয়ারম্যান

আবদুর রহমান খান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান আজ বলেছেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) জাতীয় বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হবে ব্যবসায়ীদের জন্য অ-শুল্ক বাধা দূর করা।

তিনি বলেন, আমরা আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) জন্য অ-শুল্ক বাধাগুলো দূর করার চেষ্টা করবো, আপনাদের পথ থেকে সবধরনের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দেব এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মঙ্গলবার এক প্রাক-বাজেট সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগামী বাজেটের লক্ষ্য হবে উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে তাদের স্বস্তি প্রদান করাই আমাদের উদ্দেশ্য। সেজন্য সবধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমরা কাজ করছি।

আবদুর রহমান খান বলেন, যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা নেই, তাদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করছে এনবিআর, যাতে তারা সঠিকভাবে হিসাব রাখতে পারে। ওই অ্যাপের মাধ্যমে তারা সব ধরনের রেকর্ড সংরক্ষণ করতে পারবে, যা পরবর্তীতে ভ্যাটসহ অন্যান্য কর হিসাব করতে তাদের সাহায্য করবে।

তিনি আরও বলেন, শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা এ বছর (২০২৪-২৫ অর্থবছর) থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
শুল্ক মূল্যায়ন এবং এইচএস কোড সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো এনবিআর আলাদাভাবে সমাধানের চেষ্টা করবে।

আরও ১২ ধরণের পণ্য বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে খালাস করা যাবে

দেশের বেসরকারি আইসিডিগুলো দিয়ে আরো বার ধরনের আমদানি পণ্য খালাসের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ নিয়ে বেসরকারি আইসিডিগুলোর মাধ্যমে পঞ্চাশ ধরনের পণ্য খালাসের অনুমোদন দেওয়া হলো। গত মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস রপ্তানি ও বন্ড) মোহাম্মদ আল আমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগের আটত্রিশ ধরনের পণ্যের সাথে নতুন বার পণ্য আইসিডি থেকে খালাসের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রায় শতভাগ রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি পঞ্চাশ ধরনের আমদানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের অনুমোদন বেসরকারি আইসিডিগুলোর কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

নতুন করে অনুমোদন দেওয়া পণ্যগুলো হচ্ছে স্ট্যাপল ফাইবার, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, হুইট ব্রেন (গমের ভুসি), কুইক লাইম, পলিস্টাইরিন, ফ্লুটিং পেপার, ক্যালসিয়াম ফসফেট, এসবেসটস, মিথনাইন, গ্লিসারল, আনরাট অ্যালুমিনিয়াম ও সিনামন।

এনবিআরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপোর্টস এসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, আইসিডিগুলোর সক্ষমতা অনেক। আমরা আরো বেশি আমদানি পণ্য হ্যান্ডলিং করতে পারি। চট্টগ্রাম বন্দরের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইতোমধ্যে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছি। আমাদের এই সক্ষমতা কাজে লাগালে দেশ উপকৃত হবে। এনবিআরের নতুন এই সিদ্ধান্ত আমাদের সক্ষমতা কাজে লাগানোর উদ্যোগ বলে আমরা মনে করি।

ভারত থেকে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে

প্রতিকী ছবি

ভারত থেকে আরও ৩৬ হাজার ১ শ’ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ফ্রসো নামের একটি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-৭) ভারত থেকে ৩৬ হাজার ১ শ’ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ফ্রসো কে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে নয়টি প্যাকেজে মোট চার লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি মোতাবেক তিন লাখ ১৭ হাজার ছয় শ’ ১৯ টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

শেখ বশিরউদ্দীন

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভারত দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘হঠাৎ করেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। বুধবার অংশীজনদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যা বোধ করছি না। নিজস্ব সক্ষমতা ও রপ্তানির ক্ষেত্রে যোগাযোগের যেন কোনো ঘাটতি না পড়ে, সেজন্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি, এ সমস্যা কাটিয়ে উঠব।

তিনি বলেন, কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটি এই মুহূর্তে শেয়ার করব না। যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু আবার খরচের দিক থেকে, এসব বিষয়গুলো সমন্বয় করে সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

এ বিষয়ে ভারতকে কোনো চিঠি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সরকার আপাতত এমন কিছু ভাবছে না।

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয় জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৪০-৫০ হাজার টনের মতো পণ্য সড়কপথে ভারতের বিভিন্ন বন্দর, বিশেষ করে দিল্লি ও কলকাতার মাধ্যমে রপ্তানি হতো। এই পণ্যগুলো পরিবহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে খুব তাড়াতাড়িই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, এটি ভালো খবর। এর ফলে দেশের বাণিজ্যে স্থিরতা আসবে।

উপদেষ্টা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে অনলাইনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় শিগগিরই বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাবে বলে জানান তিনি। বলেন, সেখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হবে।

মাতারবাড়িতে হবে ফ্রি ট্রেড জোন

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ঘিরে একটি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলার কথা বলেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহৎ কোম্পানি ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’, যেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবেল আলি বন্দরকে ঘিরে একটি ‘ফ্রি ট্রেড জোন’ পরিচালনা করে। বাংলাদেশেও সেরকম অঞ্চল তৈরিতে কোম্পানিটি সহায়তা করতে আগ্রহী।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিন বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেন বিডা চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে একটা সেশন হয়েছে। ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম মধ্যপ্রাচ্যের খুব গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোক্তা। ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে আমাদের একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা মহেশখালীকে ঘিরে ফ্রি টেড জোনের দিকে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। জেবেল আলি বন্দর সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে ২৫ শতাংশ অবদান রাখছে। ওইরকমভাবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কাছাকাছি কোনো একটা জায়গায় আমরা ফ্রি ট্রেড জোন করার চিন্তা করছি। ডিপি ওয়ার্ল্ড থেকে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে আমরা কাজটা করব। ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যানের আগমনের এটাই মূল উদ্দেশ্য। অচিরেই বাংলাদেশ থেকে একটি টিম সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে এবং সেখানে ফ্রি ট্রেড জোন কীভাবে অপারেট করে সেটা দেখবে।

বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত

সংগৃহীত

ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। এর ফলে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে স্থলপথে বাংলাদেশের পণ্য নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার সুযোগ বাতিল হলো।

গতকাল মঙ্গলবার ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এই সুবিধা বাতিল করে আদেশ জারি করেছে। এর পাশাপাশি ২০২০ সালের ২৯ জুন দেওয়া এ–সংক্রান্ত আদেশও বাতিল করা হয়। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ভারতের ওই আদেশে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ওই আদেশ অনুসারে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এখন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এই সুবিধা বাতিল করল।

এ আদেশে আরও বলা হয়েছে, যেসব পণ্যবোঝাই যানবাহন ইতিমধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে আছে, সেগুলো দ্রুত ভারতের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে পারবে।

ভিয়েতনাম থেকে এসেছে ১২ হাজার ৭০০ টন আতপ চাল

১২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে ভিয়েতনাম থেকে আসা একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিটুজি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে মোট এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমনানি করা কথা। চুক্তি মোতাবেক ইতোমধ্যে ৬০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সরকারি মজুত বাড়াতে গত জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ টন আতপ চাল কেনার এ প্রস্তাবে সায় দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

ভিয়েতনাম সাউদার্ন ফুড করপোরেশনের কাছ থেকে প্রতি টন ৪৭৪ দশমিক ২৫ ডলারে এই চাল আমদানি করা হচ্ছে। এতে মোট খরচ হচ্ছে ৫৭৮ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রগামী গার্মেন্টস পণ্য ৯ এপ্রিলের মধ্যে জাহাজীকরণের অনুরোধ বিজিএমইএ’র

যুক্তরাষ্ট্রগামী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি পণ্য ৯ এপ্রিলের মধ্যে জাহাজীকরণের (শিপমেন্ট) ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। রবিবার বিজিএমইএ’র প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন এ অনুরোধ জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার আন্তজাতিক বাণিজ্য ঘাটতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী পাল্টা আমদানি শুল্প আরোপ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা আগামী ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের অনেক রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর ও আইসিডিগুলোতে অনেক প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রগামী পণ্যবোঝাই কনটেইনার রপ্তানির অপেক্ষাই রয়েছে। এগুলো আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা ও প্রাইভেট আইসিডিগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রগামী রপ্তানি পণ্যবোঝাই কন্টেইনারসমূহ জরুরিভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে জাহাজীকরণের ব্যবস্থা করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

এদিকে, একই অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানকেও চিঠি দিয়েছে বিজিএমইএ। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রগামী রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারগুলো জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে জাহাজীকরণের জন্য শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।