Home Blog Page 61

সমুদ্রগামী জাহাজের বহরে যোগ হলো চারটি ব্র্যান্ড নিউ আল্ট্রাম্যাক্স ড্রাই বাল্ক ক্যারিয়ার

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) মালিকানায় দেশের সমুদ্রগামী জাহাজের বহরে যোগ হয়েছে চারটি নতুন আল্ট্রাম্যাক্স ড্রাই বাল্ক ক্যারিয়ার। এগুলো হলো, এমভি মেঘনা ভিক্টোরি, এমভি মেঘনা প্রেস্টিজ, এমভি মেঘনা হোপ এবং এমভি মেঘনা প্রগ্রেস।

রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের নবনির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজ চারটির উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে তিনবছরের শাসনামলে মেরিটাইম সেক্টরে যে উন্নয়ন করেছেন, সে ধারায় যদি আমরা থাকতাম তাহলে আমাদের রিজার্ভ ২০০ বিলিয়ন থাকতো, শুধু মেরিটাইম সেক্টরে। এরপর যে দুর্যোগ শুরু হয়েছে, তা ২১ বছর ছিল। মেরিটাইম সেক্টরে আর কোনো কাজ হয়নি। শুধু রুটিন ওয়ার্ক হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টর আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মেঘনা গ্রুপ ২০১১ সালে জাহাজের ব্যবসা শুরু করেছেন। এগারো বছরে ২২টি জাহাজের গর্বিত অংশীদার হয়েছে মেঘনা গ্রুপ। এটা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের কারণে। আমরা এ পথ আরও সুগম করে দিতে চাই, ব্যবসা বান্ধব করে দিতে চাই।

জুন থেকে ভারতের এলএনজি টার্মিনালে কার্যক্রম শুরু করবে আদানি টোটাল

চলতি বছর এপ্রিলে ভারতের পূর্ব উপকূলের ধামরা টার্মিনালে আদানি টোটোলের প্রথম লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাসের (এলএনজি) কার্গো এসে পৌঁছবে। শিপমেন্ট পাওয়ার এক থেকে দেড় মাসের ভেতর বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে আদানি।

ভারতে জ্বালানি খাতে ন্যাচারাল গ্যাসের ব্যবহার ৬ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে বার্ষিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানির এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আদানি গ্রুপের প্রথম এলএনজি ইম্পোর্ট টার্মিনাল ভারতের পূর্বাবাঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। আদানি টোটালের ৫০ শতাংশ স্টেকহোল্ডার ফরাসি কোম্পানি টোটালএনার্জিস এসই জানায়, ইতোমধ্যে তারা টার্মিনালে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছেন।

আশা করা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের মার্চ নাগাদ ২.২ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করবে আদানি টোটাল।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ

২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির গড় হার হতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট–এ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এ সমীক্ষা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির কী পরিস্থিতি হতে পারে, তা নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব করা হয় অর্থবছরের সাপেক্ষে, পঞ্জিকা বছরের সাপেক্ষে নয়। কিন্তু প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি, এই হিসাব পঞ্জিকা বছরের, নাকি অর্থবছরের।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালেও মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষ ভুগবে। সেই সঙ্গে জ্বালানি ও সারের স্বল্পতার কারণে প্রবৃদ্ধি হোঁচট খাবে। কিন্তু অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগের কারণে তা কিছুটা প্রশমিত হবে।

চলতি বছর রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের একটি ইউনিট কার্যক্রম শুরু করবে। ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, এতে দেশের জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তারা সেদিকে নজর রাখবে বলে জানিয়েছে।

এ ছাড়া উন্নত ও বড় অর্থনীতির দেশগুলো সম্পর্কেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, এ বছর বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে সবচেয়ে বেশি—৫ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া চীনের ৪ দশমিক ৭ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। যুক্তরাজ্যের শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ সংকোচন হতে পারে।

দ্য ইকোনমিস্ট–এর শেষ সংখ্যায় ২০২৩ সালের বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তারা বলছে, মূল্যস্ফীতির চাপ এবারও থাকবে। সে জন্য এ বছর খুচরা বিক্রি তেমন একটা বাড়বে না। এমনকি ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধিও কমবে। একই কারণে সারা বিশ্বের গাড়ি বিক্রির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১ শতাংশ। তবে চীন বৈদ্যুতিক গাড়ির করসুবিধা অব্যাহত রাখায় এই গাড়ির বিক্রি ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

মন্ট্রিয়ল বন্দরে গ্রিন শিপিং করিডোর সক্ষমতা তৈরি করবে জিএসটিএস

গ্রিন শিপিং করিডোর সক্ষমতা তৈরিতে মন্ট্রিয়ল বন্দর কর্তৃপক্ষকে (এমপিএ) সহযোগিতা করবে মেরিটাইম ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি গ্লোবাল স্পেশিয়াল সলিউশনস (জিএসটিএস)।

জিএসটিএসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্ল্যাটফর্ম ওশিয়ানা ব্যবহার করে গ্রিন শিপিং করিডোর সক্ষমতা তৈরি করা হবে। বন্দরের গ্রিন শিপিং করিডোর জাহাজগুলোর কার্বন নির্গমন কমাতে সাহায্য করবে। এতে রুট দিয়ে বন্দরে প্রবেশ ও নোঙর করে রাখার সময় জাহাজগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে কম এবং একসময় জিরো-কার্বন নির্গমন করে।

ইতালীয় বন্দরে এফএসআরইউ নির্মাণ ঠেকাতে মামলা করেছে গ্রিনপিস

ইতালির পিওম্বিনো বন্দরে ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) স্থাপন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানি স্নাম। সামুদ্রিক পরিবেশ এবং স্থানীয় অ্যাকুয়াকালচারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এফএসআরইউ স্থাপনে বাধা দিয়ে মিলিতভাবে মামলা করেছে গ্রিনপিস এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফেডারেশন।

প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে রুশনির্ভরশীলতা কমাতে বিকল্প উৎস খুঁজছে ইতালি। শীত আসার আগেই যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং আফ্রিকার মতো উৎস থেকে প্রাথমিকভাবে আট বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে চায় ইতালি। সেই উদ্দেশ্যে পিওম্বিনো বন্দরে নতুন এফএসআরইউ স্থাপন করছে স্নাম।

তবে যথাযথভাবে পরিবেশগত ঝুঁকি বিশেষ করে কার্বন নির্গমন এবং দূষণের মাত্রা পরিমাপ না করায় এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তা উপেক্ষা করায় এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমেছে পিওম্বিনোর মেয়র, গ্রিনপিস, ডব্লিউডব্লিউএফ এবং ইতালিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন।

পদ্মা সেতুর কারণে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, পদ্মা সেতুর সাথে বেনাপোল স্থলবন্দর যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। ভারতের বিশেষ করে কলকাতার সাথে যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পদ্মা সেতুর সাথে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি প্রশস্ত হওয়া জরুরি। পাশাপাশি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবেই বন্দরের সুফল পাবে দুদেশের ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীরা।

বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে বন্দর অডিটোরিয়ামে প্রশাসন ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার বেনাপোল বন্দরের চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন এবং বন্দর এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় ভারতগামী ও ভারত থেকে আসা যাত্রীদের খোঁজখবরও নেন তিনি। পরে সাংবাদিকসহ অন্যরা পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে বিএসএফ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ দ্বারা যাত্রী হয়রানি, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

পরিদর্শনকালে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সরোয়ার হোসেন, হাইকমিশনারের স্ত্রী মনু ভার্মা, উপ-হাইকমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল, বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়াত হোসেন, উপকমিশনার তানভীর আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল এবং ভারত বাংলাদেশ চেম্বারের বন্দর সাবকমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।

২০৭০ সাল নাগাদ জিরো-কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভারতের প্রয়োজন ‘গ্রিন শিপিং রোডম্যাপ’

২০৩০ সাল নাগাদ ডিকার্বোনাইজেশন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০৭০ সাল নাগাদ জিরো-কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ভারতের নৌপরিবহন খাতে ‘গ্রিন শিপিং রোডম্যাপ’ একান্ত প্রয়োজন।

ভারতের নৌপরিবহনমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, কার্বনের ব্যবহার হ্রাস করে সুপরিকল্পিত সবুজায়ন এবং সবুজ রূপান্তর নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা মাফিক আগোতে হবে। নৌপরিবহন খাতে দূষণের মাত্রা কমিয়ে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত পরিবতর্নের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

২০৭০ সাল নাগাদ পুরোপুরি নিঃসরণমুক্ত হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা থেকে তা আরও দুই দশক বেশি। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে সরকার বলছে, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তাদের স্বল্প খরচের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের সুবিধা আরও কয়েক বছর অব্যাহত রাখার সুযোগ দিতে হবে।

নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে টাইডাল পাওয়ার ব্যবহারে আগ্রহী চীন

কার্বনের ব্যবহার কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস ওশান এনার্জি তথা টাইডাল পাওয়ারের দিকে ঝুঁকছে চীন।

ওশান এনার্জির বিভিন্ন ধরন নিয়ে কাজ করছে চীন। যার ভেতর টাইডাল ব্যারেজের বাণিজ্যিক ব্যবহার ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। টাইডাল স্টিম জেনারেশেন বাণিজ্যিকীকরণের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং ওয়েভ পাওয়ার ইন্সটলেশনের সি ট্রায়াল চলছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে চীন।

২০১৮ সালের শেষে চীনের সমুদ্রভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৭.৪ মেগাওয়াট এবং সেখান থেকে এ পর্যন্ত ২৩৪ গিগাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। গত বছরের মে মাসে চীনের প্রথম সম্মিলিত টাইডাল এবং সোলার পাওয়ার স্টেশন গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ তিন হাজার বাড়িতে সরবরাহ করা যাবে।

টেকসই সরকারি ক্রয় নীতিমালার খসড়া প্রকাশ

সাসটেইনেবল পাবলিক প্রকিউরমেন্ট পলিসি বা টেকসই সরকারি ক্রয় নীতিমালার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) ওয়েবসাইটে নীতিমালাটির খসড়া প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি দপ্তরে অংশীজনের মতামত চেয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে সিপিটিইউ।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বদ্বীপ পরিকল্পনা, রূপকল্প-২০৪১, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দও। এতে সরকারি ক্রয়ে ব্যয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সরকারি ক্রয়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজির ১২.৭ নম্বর লক্ষ্য হচ্ছে সরকারি ক্রয়ে টেকসই পদ্ধতির প্রবর্তন। এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে টেকসই সরকারি ক্রয় নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই যেকোনো পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা

এখন থেকে ঘোষণা ছাড়াই সেবা খাতের আয় করা ২০ হাজার ইউএস ডলার বা সমতুল্য অন্য মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে এটি ছিল ১০ হাজার ইউএস ডলার বা সমতুল্য অন্য মুদ্রা। তবে, প্রবাসীরা যেকোনো পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনও ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখায় পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে সেবা খাতের আয় বাবদ প্রাপ্ত রেমিট্যান্স সম্পর্কে অনলাইনে ঘোষণার (সি-ফরম নামে পরিচিত) ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছে। সি-ফরমে ঘোষণা ছাড়াই এখন থেকে সেবা খাতের ২০ হাজার ইউএস ডলার বা সমতুল্য অন্য মুদ্রায় প্রাপ্ত আয় আনা যাবে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সি-ফরমে ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার ইউএস ডলার পর্যন্ত আয় প্রত্যাবাসনের সুবিধার ফলে সেবা রপ্তানিকারকরা অহেতুক সময়ক্ষেপণ ছাড়াই প্রাপ্ত আয় নগদায়ন করতে পারবেন।