Home Blog Page 62

ড্রাইডক এবং শিপ রিপেয়ার ইয়ার্ড চালু করছে জ্যামাইকা

চলতি বছরের শেষে কার্যক্রম শুরু করবে জ্যামাইকার ‘জার্মান শিপ রিপেয়ার জ্যামাইকা শিপইয়ার্ড’। জার্মান কোম্পানি হ্যারেন অ্যান্ড পার্টনার গ্রুপ এবং ক্লোস্কা গ্রুপের যৌথ অংশীদারিত্বে শিপইয়ার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

২০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রাইডকটি বিভিন্ন ধরনের মেইনটেন্যান্স পরিষেবা প্রদান করবে। এছ্ড়াা ইয়ার্ডে আনুমানিক ৭০৫ ফুট লম্বা জাহাজ হ্যান্ডল করার মতো বার্থ স্পেস থাকবে। প্রথম পর্যায়ে ইয়ার্ডের ভাসমান ড্রাইডক জেএএম-ডক ১ কার্যক্রম শুরু করবে। কার্যক্রম শুরুর পর প্রথম গ্রাহক হিসেবে শিপইয়ার্ড থেকে মেইনটেন্যান্স পরিষেবা গ্রহণ করবে মেক্সিকান জায়ান্ট (৬,৭০০ডিডব্লিউটি)।

জ্যামাইকা ক্যারিবিয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং পানামা খালের মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোর কাছাকাছি অবস্থান করছে। যার ফলে এসব রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলো সহজেই এই শিপইয়ার্ড থেকে পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবে।

দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

দিনব্যাপী নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনের শুরুতে বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান ও পর্ষদ সদস্যবৃন্দ। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিবিএ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও বন্দর পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত রচনা ও সুন্দর হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

বন্দর চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের রয়েছে। একমাত্র বাঙালি জাতি ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন জাতি ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষার সুরক্ষা দিয়েছে এবং তারই সূত্র ধরে ক্রমান্বয়ে এসেছে স্বাধীনতা।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-ভাবনার সামঞ্জস্যতা তুলে ধরেন এবং উপস্থিত সকলকে ২১ এর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে কলেজ, বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সবশেষে দিবসটি উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান দপ্তর, ওয়ার্কশপ, আবাসিক ভবন, বিদ্যালয় ও বন্দরে অবস্থানরত সকল জাহাজ ও জলযানসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল। দোয়া মাহফিলে বন্দর চেয়ারম্যান, পর্ষদ সদস্যবৃন্দ ও বিভাগীয় প্রধানগণ অংশ নেন।

রিজিওনাল হাব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে গুরুত্ব দিতে হবে

মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের অবস্থান আরও উজ্জ্বলতর করতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো, রিজিওনাল হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সজাগ থাকতে হবে দুর্নীতি, অনিয়মের ক্ষেত্রেও।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান মিলনায়তনে ‘ডেভেলপমেন্ট ইমপারেটিভস অ্যান্ড ইন্টিগ্রিটি চ্যালেঞ্জেস ইন পোর্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দর, মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) ও গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এ সেমিনার আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটিতে জাহাজ আসা যাওয়া জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে শুরু হয়েছে সরাসরি জাহাজ চলাচল। সম্প্রতি বন্দরে ১০ মিটার ড্রাফট এবং ২০০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়ানো শুরু হয়েছে। গ্যান্ট্রি ক্রেন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আরও ইকুইপমেন্ট কেনার পরিকল্পনা আছে।

তিনি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে টার্মিনাল ইত্যাদি প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষে মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল হাব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জানিয়ে বলেন, তখন মোংলা, পায়রাসহ প্রতিবেশী অনেক দেশের বন্দরে ফিডার সার্ভিস চালু হবে।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফারওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল, বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, এমএসিএনের প্রতিনিধি কমডোর (অব.) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, গ্লোবাল কমপেক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাহমিন এস জামান।

বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে ৬৬২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে এমএআরএডি

পোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে (পিআইডিপি) ৬৬২ মিলিয়ন ডলার তহবিল বরাদ্দ করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশন’স মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমএআরএডি)। এ লক্ষ্যে একটি নোটিস অব ফান্ডিং অপরচুনিটি (এনওএফও) ঘোষণা করে এমএআরএডি।

পিআইডিপি প্রোগ্রাম বন্দর আধুনিকীকরণ, নিরাপদ, কার্যকর এবং নির্ভরযোগ্য বন্দর নির্মাণ, সাপ্লাই চেইন জোরদার, শিপিং সময় ও ব্যয় হ্রাস এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্টের ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্যাকেজ পিআইডিপি প্রোগ্রামে বার্ষিক ৪৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সরবরাহ করে।

২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হবে

dig

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে। আগামী জুলাই নাগাদ জেটি ও কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।

রবিবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশের (এসআরএফবি) একটি প্রতিনিধিদল এবং চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের একটি দল পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ্যিক হাব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন, মাতারবাড়ী বন্দরও প্যারালাল লাইফ লাইন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ এখনকার স্মার্ট দেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা দেশে এসেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭শ ৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও এপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, পর্ষদ সদস্যবৃন্দ ও প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরবে এফবিসিসিআই

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। এ সামিটের মূল লক্ষ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, যা আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সামিটের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১১-১৩ মার্চ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩, বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩ এবং বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩।’ এতে দেশী-বিদেশী ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ বিশ্বের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে তিনদিনের এ সামিট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামিটের উদ্বোধন করবেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরো ত্বরান্বিত করতে এ সামিট বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সামিটের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বাজার বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা এবং উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং নীতিনির্ধারকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনা, বিটুবি মিটিং, নেটওয়ার্কিং সেশন ইত্যাদি।’ এ সামিটে সহযোগিতা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

মো. জসিম উদ্দিন আরো বলেন, ‘এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ১২ থেকে ১৫টি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নেবেন বলে আমরা আশা করছি। পাশাপাশি কয়েকটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এবং ইইউর ট্রেড কমিশনারকেও আনার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৃহৎ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কেননা, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সুতরাং এখনই সময় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার। এখনই সময় আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে যাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।’

ভ্যাঙ্কুবার বন্দরে নতুন টার্মিনাল নির্মাণের কাজে অগ্রগতি

ভ্যাঙ্কুবার বন্দরের রবার্টস ব্যাংক টার্মিনাল ২ প্রকল্পটি অনুমোদিত করেছেন কানাডার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী স্টিভেন গিলবু।

প্রকল্পটি মৎস্যসম্পদ, মাছের আবাসস্থল, লবণাক্ততা এবং স্থানীয় আদিবাসী গোষ্ঠীদের ওপর কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রকল্প পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই সরকারি অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কানাডার ওয়েস্ট কোস্ট কনটেইনার টার্মিনালের ধারণক্ষমতা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশটির ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ-ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের তাগিদ

বাংলাদেশ ও ভারতের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক সাদৃশ্য ও সম্পর্ককে কাজে লাগাতে পারলে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে। এক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ভারতীয় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুবির চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে।

চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুদেশের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে, যা আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। সে জন্য আমাদের সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) পলিসি অত্যন্ত লাভজনক। ত্রিপুরাকে ঘিরে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরো এগিয়ে নিতে পারলে উভয় দেশই লাভবান হবে।’ দুদেশের মধ্যে অনেক বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে এ বৈষম্য দূর করা সম্ভব। তিনি ভারতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পাঞ্চল মিরসরাই শিল্পনগরে বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান।

বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুবির চক্রবর্তী বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের কালচার একই রকম, যা যৌথ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে কালচার মিল না থাকলে যৌথ বিনিয়োগ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের গেটওয়ে না, এটা গেটওয়ে অব ইস্ট। তার সঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টারসসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে যুক্ত করে ইস্টার্ন রিজিওন কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে’

চিটাগাং চেম্বার এবং বেঙ্গল চেম্বার যৌথভাবে একটা ইস্টার্ন রিজিয়ন নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করতে পারে উল্লেখ করে সুবির চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোতে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশ এবং ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নদীর ধারে এবং সাগর তীরকেন্দ্রিক। তাই রিভার ক্রুজ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, লেদার প্রসেসিং, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।’

বিশ্বের প্রথম লিকুইড হাইড্রোজেনচালিত স্বয়ংক্রিয় জাহাজ নির্মাণে ৩.৮ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করবে যুক্তরাজ্য

বিশ্বের প্রথম লিকুইড হাইড্রোজেনচালিত স্বয়ংক্রিয় জাহাজ নির্মাণে একটি কনসোর্টিয়ামকে ৩.৮ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

পোর্ট অব অ্যাবারডিন, জিরো ইমিশনস মেরিটাইম টেকনোলজিস, ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন, ন্যাশ মেরিটাইম, ট্রিডেন্ট মেরিন ইলেকট্র্রনিক্যাল, অ্যান্ড কম্পোজিট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড ডিজাইন ‘হাইড্রোজেন ইনোভেশন-ফিউচার ইনোভেশন অ্যান্ড ভেসেল ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড ডেমনস্ট্রেশন’ (হাই-ফাইভড) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। কনসোর্টিয়ামের সদস্যরা মিলিতভাবে লিকুইড হাইড্রোজেনচালিত এমন একটি স্বয়ংক্রিয় জাহাজ এবং বাঙ্কারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণ করতে যাচ্ছে, যেটা সামুদ্রিক শিল্পে কার্বন ব্যবহার বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

চলতি মাসে বার্থিং শুরু করতে যাচ্ছে ভারতের গভীরতম বন্দর ভিরেন্নম

চলতি মাস থেকে বার্থিং কার্যক্রম শুরু করবে ভারতের সবচেয়ে গভীর বন্দর ভিরেন্নম।

আদানি পোর্ট কেরালার এই ভিরেন্নম বন্দরের নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে। রাজ্যটির বন্দরমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভিরেন্নম বন্দরের বার্থিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সেটা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ভেতর বন্দরের প্রথম ধাপের কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখ্য, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের ৮০ শতাংশ ভিরেন্নম বন্দরে ট্রানজিট করবে।