Home Blog Page 7

৫০ দেশের বিনিয়োগকারীরা যোগ দিচ্ছেন বিনিয়োগ সম্মেলনে

দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকায় আগামীকাল সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এতে বিশ্বের ৫০টি দেশের ৫৫০ জনের বেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেবেন। এ জন্য সরাসরি বিনিয়োগ করবেন এমন বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিশ্বের নামীদামি বেশ কিছু কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী কিংবা প্রতিনিধিরাও নিবন্ধন করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম দুজন হলেন কাপড়ের ব্র্যান্ড জারার মূল সংস্থা ইন্ডিটেক্সের গ্রুপ সিইও অস্কার গার্সিয়া মাসেইরাস ও দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমান।

‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ শীর্ষক এ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এ সম্মেলন আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে।

বিডার তথ্য অনুযায়ী, বিনিয়োগ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে থাকবেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন, বহুজাতিক কোম্পানি স্যামসাংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাং-জু লি, কাপড়ের ব্র্যান্ড জিওর্ডানো ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কলিন মেলভিল কেনেডি কারি। এ ছাড়া এক্সিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তানের দাউদ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্টের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

এসব ব্যক্তির পাশাপাশি আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বিডা জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা, উবার, টেলিনর ও টয়োটার মতো অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া বিশ্বের বেশ কিছু বড় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিও আসছে সম্মেলনে। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বি-ক্যাপিটাল, মালয়েশিয়া ও হংকংভিত্তিক গোবি পার্টনার্স, কনজাংশন ক্যাপিটাল ও মার্কোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে।

সম্মেলনে যোগ দেওয়া বড় ব্যবসা খাতের বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ঢাকার বাইরে একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করা হবে। সম্মেলনের প্রথম দিনে আগামীকাল সোমবার বিনিয়োগকারীদের চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান ইপিজেড ও মিরসরাইয়ের জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এনএসইজেড) পরিদর্শন করানো হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

কারখানার জন্য যাঁদের জমি প্রয়োজন, মূলত তাঁদেরই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে নেওয়া হবে। সম্মেলনে দেশি–বিদেশি সেরা বিনিয়োগকারীদের মোট পাঁচটি শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছেন, এমন একজন বিদেশি ব্যবসায়ীকে সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে। পাশাপাশি একই সময়ে স্টার্টআপ ও বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন নিয়ে নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর চিন্তা

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য–ঘাটতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশি পণ্যের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের এ কথাগুলো জানান। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা।

বাণিজ্য উপদেষ্টার ব্রিফিংয়ের সময় প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এই পাঁচজন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা ছাড়া বৈঠকে আরও অংশ নেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদী সাত্তার।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা করণীয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য–ঘাটতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ারও খুলতে পারে।’

বাণিজ্য–ঘাটতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ প্রসঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা, শিল্পপণ্য, জ্বালানি পণ্য আমদানি করা হয়। শুল্কের বাইরে কিছু বাণিজ্য বাধা আছে। আশা করা হচ্ছে, সেগুলো দূর করার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বৃদ্ধি একটা রাস্তা। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমদানি করা যাবে না।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের ধারণা, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব না। আমাদের থেকে শুল্ক কম পাকিস্তান ও ভারতের। কিন্তু আমাদের শিল্পের যে অবয়ব এবং আমাদের পণ্যের যে পরিপক্বতা, মনে হয় বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যেতে পারে বাংলাদেশের জন্য।’

শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান গত ফেব্রুয়ারিতেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেশটির বাণিজ্য সংস্থা ইউএসটিআরসহ অন্য দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেন। যেমন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি সহজ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছে, দেশটিতে আমরাই সবার আগে গিয়েছি এবং গুরুত্ব দিয়েছি।’

চীনের ২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি

চীন সরকার ও সে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্প এবং প্রযুক্তি খাতে সহায়তা দেবে তারা। এ ছাড়া সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ঢাকার পাশে থাকবে বেইজিং।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নানা খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এ বৈঠক হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকে শি জিনপিং বাংলাদেশে সংস্কার কার্যক্রমে ড. ইউনূসকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। দু’দেশের সম্পর্ক আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ও চীন ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে এসব নথি সই হয়।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আব্দুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দুই দেশ অর্থনৈতিক এবং কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছে। এ ছাড়া সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে মোট আটটি সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে। এ ছাড়া বিনিয়োগ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চীনের শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু করা, মোংলা বন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর, রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং হৃদরোগ সার্জারি যানবাহন প্রদান বিষয়ে পাঁচটি ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

বাসস জানায়, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। প্রধান উপদেষ্টা চীনের উদ্যোক্তাদের প্রতি বাংলাদেশে শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসব অঙ্গীকার এসেছে।

চীন মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে আরও প্রায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ প্রদান, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শি জিনপিং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশকে চীনের উন্নয়ন থেকে অভিজ্ঞতা নেওয়া এবং বাংলাদেশে দ্রুত প্রবৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেন শি জিনপিং। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের দুই বছর পরও অর্থাৎ ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করার জন্য একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং বিনিয়োগ চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করতে চায় বেইজিং।

শি জিনপিং বলেন, বাংলাদেশে একটি বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্প পার্ক নির্মাণে সহায়তা করবে বেইজিং। তিনি চীনে আরও বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি, বিআরআইয়ে সহযোগিতা এবং ডিজিটাল ও সমুদ্র অর্থনীতির পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান। ইউনান এবং চীনের অন্যান্য প্রদেশের হাসপাতালে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়ানোর আগ্রহের কথা জানিয়েছেন জিনপিং। এ ছাড়া বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণাও দিয়েছে দেশটি।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন শি জিনপিং। ড. ইউনূস নতুন বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীনের সমর্থন চেয়েছেন এবং বাংলাদেশে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি চীনা প্রকল্প ঋণের সুদের হার কমানো এবং ঋণের প্রতিশ্রুত ফি মওকুফেরও দাবি জানান। এ সময় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার কথা জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। জিনপিং জানান, বাংলাদেশি আম ও কাঁঠালের স্বাদ গ্রহণ করেছেন তিনি। এসবের গুণমানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে ফল আমদানিতে প্রস্তুত।

বৈঠকে চীন থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় এবং কুনমিং ও বাংলাদেশের বন্দরের যোগাযোগের মাল্টিমডাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ছাড়াল

ঈদের আগে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত বেড়ে ২৫ বিলিয়ন, তথা ২ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি মার্চ মাসে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে। এই রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় আসার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মুনশি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ডলারে উঠেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ মান অনুযায়ী, দেশে রিজার্ভের পরিমাণ হচ্ছে ২ হাজার ২৯ কোটি ডলার।

জানা গেছে, ৯ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। রিজার্ভ কমে হয় ১ হাজার ৯৭৫ কোটি ডলার। তবে ২০ দিনের মধ্যে আবার রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রবাসী ও পণ্য রপ্তানির আয়। চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ২৯৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে কোনো একক মাসে দেশে এত বেশি প্রবাসী আয় আসেনি।

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল

ভারত থেকে ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ইয়াং শেং জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে বৃহস্পতিবার। জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।

উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এরমধ্যে ২ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৯ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সূর্যোদয়ের পরপরই বন্দরের প্রধান দপ্তর, ভবন, ওয়ার্কশপ, আবাসিক ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সংঘ ও বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ ও জলযানগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল সাড়ে নয়টায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এএন্ডপি) ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: হাবিবুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব) বন্দর রিপাবলিক ক্লাব প্রাঙ্গণে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অভিবাধন গ্রহণ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বন্দরের সকল সদস্য, সকল বিভাগীয় প্রধান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বন্দর থানা কমান্ডের নেতৃবৃন্দ, বন্দরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ছাত্রছাত্রীরা তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে জোহরের নামাজের পর বন্দরের সকল মসজিদে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বন্দরের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, এবাদতখানা, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন এবং বন্দর হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ রোগীদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

বন্দরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং জুলাই-২৪ এর বিপ্লবের ধারনার সাথে মিল রেখে রচনা, আবৃত্তি এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আরও ৩৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান সরকার

মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে আরও প্রায় ৩৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান সরকার। এর আগে সাত দফায় এই প্রকল্পে ঋণ ছাড় করেছে জাপান। মঙ্গলবার এ নিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাপান সাহায্য সংস্থা বা জাইকার মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

একই অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে ১৯ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সব মিলিয়ে এই দুটি প্রকল্পে পাওয়া যাবে ৫৮ কোটি ডলার।

রাজধানীর ইআরডিতে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, জাপানের রাষ্ট্রদূত সেইদা সিনিচি ও জাইকার ঢাকা অফিসের প্রধান ইচিগুচি টোমোহাইড। ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ৫৬ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। জাইকা দিচ্ছে ৪৭ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা।

এর আগে ৭টি পর্যায়ে মোট ৬৫ হাজার ৫৩১ কোটি জাপানি ইয়েনের ঋণচুক্তি হয়েছে। আজকের ঋণচুক্তির মাধ্যমে ৫ হাজার ৭১২ কোটি ইয়েন বা ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণসহায়তা প্রদান করা হবে। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের খাদ্যনিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকায় রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, অফিস, প্রশিক্ষণ ভবন এবং চট্টগ্রাম ও খুলনায় ২টি বিভাগীয় পরীক্ষাগারসহ অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পে জাইকা দেবে ২ হাজার ১৯ কোটি টাকা। আজকের ঋণচুক্তির মাধ্যমে ১৯ কোটি ডলার দেবে জাইকা।

চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌরুটে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সমুদ্র পথে ( চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ) ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রামের বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া নৌপথে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

উদ্বোধনকালে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে সরাসরি এই ফেরি সেবা চালুর মধ্য দিয়ে সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। বাস, ট্রাক, ট্যাংক লরি, মিনিবাস, প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যানবাহন সরাসরি দ্বীপে পৌঁছানোর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সন্দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

উদ্বোধন শেষে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।

চার লাখ মানুষের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হল এ ফেরি সেবার মধ্যে দিয়ে। সাগরবক্ষের এই দ্বীপের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সরাসরি যোগাযোগের স্বপ্ন পূরণ হল। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া পর্যন্ত এই ফেরি চলাচল করবে।

সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।

সোমবার চালু হচ্ছে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি সার্ভিস

সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রামের বাঁশবাড়িয়া, সীতাকুণ্ড-গুপ্তছড়া-সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করবেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) মোঃ খোদা বখস চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান।

নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার তাগিদে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূথানে যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেই ঐক্যের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ সরাসরি ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হবে, যার ফলে সন্দ্বীপবাসী একটি নিরাপদ নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা পাবে। বাস, ট্রাক, ট্যাংক লরি, মিনিবাস, প্রাইভেট কারসহ সকল ধরণের যানবাহন চলাচল করার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সন্দ্বীপের মানুষের জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়ে যাবে। ফেরি সার্ভিস চালু হলে সন্দ্বীপে পর্যটকসহ পর্যটনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। ফলে সন্দ্বীপ অচিরেই দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকার মর্যাদা লাভ করবে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সহনীয় রাখতে ৮ দফা করণীয় নির্ধারণ

আগামী বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতা সহনীয় রাখতে ৮ দফা করণীয় ঠিক করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিশেষজ্ঞ কমিটি। শহরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জলাদ্ধতাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে নির্ধারিত এসব করণীয়’র মধ্যে আছে ১০টি খাল খনন ও ৯টি খালের মুখ পরিষ্কার, আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের বক্স কালভার্ট পরিষ্কার, চারটি খালসংলগ্ন স্থানে সিল্ট ট্র্যাপ (বালি আটকানোর ফাঁদ) নির্মাণ, বারইপাড়া ডাইভারশন চ্যানেলে সংস্কার, খালে ভাসমান প্লাস্টিকসহ পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী ভাসমান পণ্য আটকে তুলে ফেলা ও স্লুইচ গেট সংস্কার।

বুধবার টাইগারপাস চসিকের সম্মেলন কক্ষে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে করণীয়গুলো তুলে ধরে চসিক, সিডিএ, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ মে–এর মধ্যে বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়।

প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ায় ড্রেনেজ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ড. আবদুল্লাহ আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মোহাম্মদ শামসিত তাবরীজ, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ও চসিক মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ। সভায় অংশগ্রহণকারীরা একমত হন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে সমন্বিত ও টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং দ্রুততার সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি তদারকি করতে হবে। মেয়র এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার কথা বলেন।