Home Blog Page 8

হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণে নৌবাহিনীর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর

লালদিয়া–২ এলাকায় বিশেষায়িত হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণের কাজ বাস্তবায়নে নৌবাহিনীর সাথে চুক্তি

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহনে গতি আনতে এবং বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বুধবার একটি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পৃথক দুই অনুষ্ঠানে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একক পরিচালনায় বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে ও লালদিয়া–২ অঞ্চলে বিশেষায়িত হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণের কাজ বাস্তবায়নে নৌবাহিনীর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে যৌথভাবে পরিচালনাধীন পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল ও এর ৪৮.২৪ একর জায়গা প্রচলিত পদ্ধতিতে লিজ নিয়ে পুরোপুরি এককভাবে পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর ২০৩৫ পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে ১০ বছরের জন্য বন্দরকে লাইসেন্স প্রদান করা হবে, যা বার্ষিক নবায়নের ভিত্তিতে চলবে। তবে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী মোট ৩০ বছর কার্যকর থাকবে চুক্তির মেয়াদ। এ সময়কালে বন্দর কর্তৃপক্ষ পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল এককভাবে পরিচালনা করবে।

পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একক পরিচালনায় বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে সমঝোতা স্মারক

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৯৫ শতাংশ মালামাল বর্তমানে সড়ক পথে পরিবাহিত হয়, ফলে সড়কের উপর অতিরিক্ত চাপ এবং পরিবহন ব্যয় বাড়ছে। পানগাঁও আইসিটিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় এককভাবে চালনার মাধ্যমে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী নদীপথ পরিবহন জনপ্রিয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এখানে একটি ফ্রি কটন জোন গড়ে তোলা হবে, যা ব্যবসা–বাণিজ্যের সমপ্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

পৃথক অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি “অর্পিত ক্রয়কার্য হিসেবে” বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। জেটিটি লালদিয়া-২ অঞ্চলে নির্মিত হবে এবং এর দৈর্ঘ্য হবে ২৪০ মিটার।

চট্টগ্রাম বন্দরে এতদিন ভারী শিল্পজাত কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিশেষায়িত কোনো জেটি ছিল না। এনসিটি বার্থ নং–৫ সাময়িকভাবে ব্যবহার করা হলেও সেটি মূলত কনটেই্নার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য নির্মিত হয়েছিল। নতুন জেটিটি প্রতি বর্গমিটারে ৫ টন ভার বহন করতে সক্ষম হবে, যেখানে এনসিটি বার্থ নং–৫ এ এই সক্ষমতা ছিল মাত্র ৩ টন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্দর ব্যবহারকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে এবং শিল্পোন্নয়নেও গতি আসবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠিত দুটি অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষে রিয়ার এডমিরাল (অব.) আনোয়ার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশীদসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক, উপ–প্রকল্প পরিচালক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্দর হাসপাতালে সুপেয় পানির প্ল্যান্ট উদ্বোধন

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওসার রশিদ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বন্দর হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর স্কুল ও কলেজ এবং বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিনটি পৃথক সুপেয় পানির প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন।

প্ল্যান্টগুলো স্থাপনের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দৈনিক ৩ হাজারেরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং বন্দর হাসপাতালে ১ হাজারেরও বেশি রোগী ও দর্শনার্থী বিশুদ্ধ পানি পানের সুবিধা পাবেন।

চট্টগ্রাম বন্দরে চুরির দায়ে আটক এক

চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ ও রিফার কনটেইনারের তার চুরির দায়ে একজনকে আটক করেছে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ। রবিবার মো. মেহেরাজ হোসেন পারভেজ নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি জানায়, তারগুলো এনসিটি ডেলিভারি পয়েন্টে থাকা খালি রিফার কনটেইনার থেকে কেটে নিয়েছে।

এ সময় তার কাছে কোনো বৈধ এন্ট্রি পাশ পায়নি নিরাপত্তা বিভাগ। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটক ব্যক্তিকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

জাহাজ নির্মাণ আইন যুগোপযোগী করা হবে: আদিলুর রহমান

দেশে জাহাজ নির্মাণ আইন যুগোপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সোনারগাঁয়ের মেঘনা ঘাটে অবস্থিত আনন্দ শিপইয়ার্ড প্রাঙ্গণে ৫৫০০ টন আধুনিক মাল্টিপারপাস জাহাজ তুরস্কের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের পরে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হচ্ছে জাহাজ নির্মাণ শিল্প। এটাকে আমাদের সমর্থন জানাতে হবে। আমরা এই শিল্পের আইন প্রণয়ন করে দিয়ে যাবো। এটা আমরা শুরু করে দিয়ে যাবো। আমাদের সময় কম। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এটা বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প দেশের প্রতিরক্ষায় অংশীদার হবে। আমরা চাই এই শিল্প এগিয়ে যাক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় আনন্দ শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহিল বারী বলেন, সোনারগাঁয়ের জাহাজ তৈরির ঐতিহ্য আছে। এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে আনন্দ শিপইয়ার্ড। ঐতিহ্যবাহী এই নির্মাণখাতে অভিভাবক শূন্য ছিল। এরপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিয়ে এই খাত এগিয়ে গেছে। এই শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে সমস্যা রয়েই গেছে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা দরকার। জাহাজ নির্মাণখাত শক্তিশালী হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা মর্যাদা) লুৎফে সিদ্দিকী এবং বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন শনিবার পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা মর্যাদা) লুৎফে সিদ্দিকী এবং বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন শনিবার পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়মিত ড্রেজিং কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষার পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসণেও

চট্টগ্রাম শহরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্ণফুলী চ্যানেলসহ বিভিন্ন খালে নিয়মিত ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি, খাল ও নালার মুখে ভেসে আসা প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য অপসারণ করে পানি প্রবাহ সচল রাখছে নিয়মিত।

বিশেষ করে রাজাখালী খাল, চাক্তাই খালসহ চট্টগ্রাম শহরের সাথে কর্ণফুলী নদীর সংযুক্ত বিভিন্ন খালের মুখে বর্জ্য অপসারণের কাজ বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে সম্পন্ন করে আসছে দীর্ঘদিন। ইতোমধ্যে রাজাখালী খালের মুখে মাটি ও বর্জ্য অপসারণ করে ২-৩ মিটার গভীরতা এবং খাল থেকে নদী পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্ণফুলী নদীর মূল চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি খালসমূহে বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্র্যাব ড্রেজারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে খালের মুখে ড্রেজিং করে খালের নাব্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে খালের পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। যা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এসব কার্যক্রম সফল করতে নগরবাসীর সহযোগিতাও প্রয়োজন বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। খাল, নালা, নদী ও ড্রেনে সরাসরি বর্জ্য না ফেলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে বর্জ্য ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলে সম্মিলিতভাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সদস্যবৃন্দ। এর নেতৃত্বে ছিলেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ।

আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মিডার সদস্য কমডোর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।

বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন মিডার চেয়ারম্যান। মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি।

আশিক চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে—প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫, এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকনোমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না, বরং সেখানে একটা নতুন শহরের জন্ম হবে। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।’

গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেন তিনি। এক্ষেত্রে বিশ্বে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রফেসর ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সাথেও মিলবে ভালো সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, ওশান ইকনোমি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।’

এর পাশাপাশি, পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরেও জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।’

নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার আজ মঙ্গলবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোর উন্নয়নসহ জাহাজ নির্মাণশিল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে ডেনমার্কের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে।

এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, আইএমও কনভেনশন বাস্তবায়ন, ডিজিটালাইজেশন এবং সমুদ্রদূষণ রোধে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

আসন্ন (২০২৬-২৭ মেয়াদে) ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের নির্বাচনে ক্যাটাগরি ‘সি’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন কামনা করেন। তিনি আইএমও ভুক্ত সকল সদস্য রাষ্ট্রের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন । এ সময় ডেনিশ রাষ্ট্রদূত সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ডেনমার্কের পক্ষেও আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। উপদেষ্টা ডেনমার্কের প্রতি বাংলাদেশের অকুন্ঠ সমর্থন থাকবে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আইএমও’র কার্বনমুক্ত ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আইসিডিগুলোতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ আজ থেকে বাড়ছে

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) আজ থেকে বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে (আইসিডি) নতুন হ্যান্ডলিং চার্জ কার্যকর করতে যাচ্ছে। এর ফলে রপ্তানি কার্গোর চার্জ সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত এবং খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জও সর্বোচ্চ ৩১.৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। এ পরিবর্তনে বিশেষ করে পোশাক খাতের রপ্তানিকারকদের ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ১৫ জুলাই প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই ট্যারিফ কাঠামো ঘোষণা করে বিকডা।

নতুন কাঠামো অনুযায়ী, রপ্তানি কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ ৩৬ শতাংশ থেকে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত এবং খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ সর্বোচ্চ ৩১.৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। তবে আমদানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ অপরিবর্তিত থাকবে।

বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের অপারেটিং খরচ অনেক বেড়েছে। তাই চার্জ সংশোধন করা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প ছিল না।

তবে এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। সংগঠনটি এ বৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘অন্যায্য’ বলে আখ্যায়িত করেছে, বিশেষ করে যখন বৈশ্বিকভাবে তৈরী পোশাকের চাহিদা মন্দার মুখে।

বিজিএমইএ পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী সতর্ক করে বলেন, অংশীজনদের সাথে আলোচনা ছাড়াই চার্জ বাড়ানো হলে রপ্তানি সঙ্কট আরো তীব্র হবে। আইসিডিগুলো ইতোমধ্যেই সক্ষমতা সমস্যায় ভুগছে। অংশীজনদের মতামত ছাড়াই চার্জ বাড়ালে রপ্তানি সঙ্কট আরো গভীর হবে।

কনটেইনার অপসারণে সেপ্টেম্বরে তিনটি নিলাম করবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কনটেইনার অপসারণে সেপ্টেম্বর মাসে তিনটি পৃথক নিলামের ডাক দিয়েছে কাস্টম হাউস। এর মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর ৫৮ লট, ২৮ সেপ্টেম্বর ৪১ লট এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ১০১ লট পণ্য নিলামের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. শফি উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র (এসি), কংক্রিট, সিমেন্ট ও কংক্রিট মিক্সচার লরিসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার উপকরণ ও পোশাক নিলামে তোলা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. শফি উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা এসব কনটেইনার অপসারণ বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। নিলামের মাধ্যমে এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা গেলে বন্দরের জট কমবে এবং স্বাভাবিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় গতি আসবে।

তিনি জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্য দ্রুত নিলাম, ধ্বংসের লক্ষ্যে একটি নিলাম কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিলামের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কনটেইনার অপসারণের কাজ চলছে। নিলামের মাধ্যমে শুধু স্থান খালি হবে না, সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।