মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মাত্র, সেটি চালু হবে ২০২৫ সালে। এর আগেই সমুদ্রবন্দর এলাকার পাশে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে পণ্যবাহী জাহাজ আসা শুরু হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর প্রথম জাহাজ ‘ভেনাস ট্রায়াম্ফ’ নির্মাণসামগ্রী নিয়ে সেই জেটিতে ভিড়ে। এরপর ৬ জানুয়ারি একই জেটিতে ভিড়ে দ্বিতীয় পণ্যবাহী জাহাজ ‘এসপিএম ব্যাংকক’। এই জাহাজটির মাধ্যমে দেশের সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে নতুন একটি রুটের সূচনা হলো।
এসপিএম ব্যাংকক মালয়েশিয়ার ‘পোর্ট কেলাং’ বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়ে। সেখানে অর্ধেক পণ্য নামিয়ে ১৩ জানুয়ারি বাকি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছায়। এটি এই রুটের কোনো নিয়মিত পণ্যবাহী সার্ভিস নয়, জাহাজটি শুধু কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী নিয়ে আসে। এর মধ্য দিয়ে পোর্ট কেলাং-মাতারবাড়ী-চট্টগ্রাম বন্দর রুটে প্রথম পণ্য পরিবহনের রেকর্ড গড়ল জাহাজটি; একই সঙ্গে এই রুটে পণ্য পরিবহনের নতুন দুয়ার খুলল। অন্যদিকে প্রথম জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার সিলেগন থেকে এসে মাতারবাড়ীতে পণ্য নামিয়ে ওখান থেকেই ফিরে যায়।
এসপিএম ব্যাংককে ছয় আমদানিকারকের পণ্য ছিল। জাহাজটির শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপিংয়ের পরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ মোরশেদ হারুন বলেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার আগেই আমরা বিদেশ থেকে পণ্য পরিবহনের বিরাট সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে তৃতীয় জাহাজ আসে ১৮ জানুয়ারি। গ্র্যান্ড তাজিমা ওয়ান নামের এই জাহাজটিও প্রথমটির মতো ইন্দোনেশিয়ার সিলেগন থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণসামগ্রী নিয়ে আসে।