দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা বছরে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা।
১৭ মে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক এক বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গণভবন থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বাংলাদেশের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষ প্রতি মাসে আয় করে ১৫ হাজার ৭৩৯ টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত বছরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এত দিন মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬৩ ডলার, আগেরবার থেকে যা ৯ শতাংশ বেশি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মাথাপিছু আয়ের পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, আগে যা ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা।’ এই অর্জনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গত বছরের আগস্টে বিবিএস প্রাথমিক হিসাব দিয়ে জানিয়েছিল, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। সাময়িক হিসাব এখনো সাময়িকই আছে। অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরও শেষ হতে চলেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রাক্কলন করেছিল, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। সংস্থাটির হিসাবে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও এর প্রভাব থাকবে।