করোনার কারণে গত বছর বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহনে ধাক্কা লেগেছিল। সেই ধাক্কায় বৈশ্বিক ক্রমতালিকায় পিছিয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। এক বছরের ব্যবধানে কনটেইনার পরিবহনে ৯ ধাপ পিছিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম লয়েড’স লিস্টে ব্যস্ত বন্দরগুলোর তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২৩ আগস্ট তালিকাটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ২০২০ সালে সারা বিশ্বের বন্দরগুলোর ব্যস্ততা, অর্থাৎ কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে শীর্ষ ১০০টি বন্দরের তালিকা তৈরি করেছে লয়েড’স লিস্ট।
লয়েড’স লিস্টের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্ব ৬৩ কোটি ২০ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। এই সংখ্যা ২০১৯-এর তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কম। আর একই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন কমেছে ৮ শতাংশ।
তালিকায় পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ, বন্দরটি দিয়ে কনটেইনারে বৈদেশিক বাণিজ্য কমেছে। সমুদ্রপথে দেশের কনটেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। এতে একক বন্দর হিসেবে চট্টগ্রামের অবস্থান পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ বৈদেশিক বাণিজ্যও কমে, যা বৈশ্বিক ক্রমতালিকা প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সালে কনটেইনার পরিবহনে বিশ্ব চট্টগ্রামের অবস্থান ছিল ৮৬তম। এরপর টানা সাত বছর এগিয়ে গেছে চট্টগ্রাম বন্দর।
পরিমাণে এক-চতুর্থাংশ পণ্য পরিবহন হলেও কনটেইনারে বেশির ভাগ শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য ও ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়। আবার সমুদ্রপথে রপ্তানির পুরোটাই যায় কনটেইনারে।
লয়েড’স লিস্টের তালিকায় বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই। এর পরের অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর বন্দর। এ তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ বন্দরের মধ্যে ৭টিই চীনের।