আয়ে উত্থান-পতনের বিষয়টি বাদ দিলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক শিপিং খাত মোটামুটি স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে বলা যায়। তবে এ খাতে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কার্গো পরিবহনের সক্ষমতা অর্জন। বর্তমান যুগের জাহাজগুলোর আকার আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া নকশা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে জাহাজের ধারণক্ষমতাতেও এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। কিন্তু উপরিল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এর চেয়েও বাড়তি সক্ষমতা প্রয়োজন। আর তা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে মার্কেট ডেটা বা বাজার উপাত্ত। সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এই তথ্যই শিপিং খাতে পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে পারে।
বর্তমানে শিপিং খাত-সংশ্লিষ্ট সবাই অপারেশনকেন্দ্রিক ‘বিগ ডেটা’ সলিউশন নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু খাত-সংশ্লিস্ট বেশির ভাগ আলোচনাতেই বাজার উপাত্তের বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়। অর্থাৎ বাজারের চাহিদা ও সক্ষমতায় সামঞ্জস্যতার বিষয়টিতে খুব কমই আলোকপাত করা হয়।
শিপিং কোম্পানিগুলো সবসময়ই তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিজেদের মালিকানা-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় ও গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিতে জোর দিয়ে এসেছে। কিন্তু খাত-সংশ্লিষ্ট সবার কাজে লাগে, এমন তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে খুব কমই দেখা গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আবহাওয়া-সংক্রান্ত তথ্য সব অংশীদারের জন্যই জরুরি। সবাই এতে উপকৃত হয়। এছাড়া শিল্প খাতের জন্য কাঁচামাল উৎপাদন কতটা বাড়তে পারে কিংবা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কী পরিমাণ কার্গো পরিবহনের অপেক্ষায় রয়েছে, সে তথ্যও মুনাফা সক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব বিষয়ে কার্যকর তথ্য ব্যবস্থাপনা শিপিং খাতে নতুন যুগের সূচনা করবে।