নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণের ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমলে নিজেদের উত্তোলন সীমা পর্যালোচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক প্লাস। সম্প্রতি জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও তার সহযোগী দেশগুলোর প্লাটফর্ম ওপেক প্লাস জানায়, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের পরবর্তী নির্ধারিত বৈঠকের আগেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত জানুয়ারিতে বাজারে তেলের সরবরাহ দৈনিক চার লাখ ব্যারেলে স্থির করেছে ওপেক প্লাস। ওমিক্রনের বিস্তার আশঙ্কাজনক না হলে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই গ্রেড অপরিশোধিত তেলের বর্তমান সরবরাহ সীমা আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে বাজারে চাহিদা কমলে তার জন্য প্রস্তুত থাকবে ওপেক প্লাস। নতুন ভ্যারিয়েন্টের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছে জোটটি।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) ওপেক প্লাসের বৈঠকের পর জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। এর আগে টানা ছয় সপ্তাহ নিম্নমূখী ছিল পণ্যটির দাম। ২০১৮ সালের পর এমন ঘটনা এই প্রথম।