রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেনটিভিচ মানটিটস্কাই

ডাবল ট্যাক্সেশন ও ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা দূর হলে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী।’

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেনটিভিচ মানটিটস্কাই’র সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশ উদ্যোগেী হলে ব্যবসা বাড়ানো সম্ভব। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চায়।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ও আকর্ষণীয় স্থান। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে একশ’ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাজ ও আনুষ্ঠানিকতা সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ রাশিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও গত অর্থবছরে (২০২০-২০২১) বাংলাদেশ রাশিয়ার বাজারে রপ্তানি করেছে ৬৬৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৬৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান জটিলতা দূর হলে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রাশিয়ায় রফতানি অনেক বাড়বে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here