বিশ্বজুড়ে লাইফবোট দুর্ঘটনার যত ঘটনা ঘটে, তার প্রায় এক-চতুর্থাংশের কারণ হলো যন্ত্রপাতির বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি। ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি লয়েড’স রেজিস্টার ও শিপ ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ইন্টারম্যানেজারের সর্বশেষ সেফটি রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।
লাইফবোট দুর্ঘটনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮০ সাল থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে ইন্টারম্যানেজার। বর্তমানে মেরিটাইম খাতে লাইফবোট দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় তথ্যভাণ্ডার রয়েছে তাদের কাছে। এসব তথ্য পর্যালোচনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সলিউশন সেফটিস্ক্যানার ব্যবহার করেছে লয়েড’স রেজিস্টার। তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা দেখতে চেয়েছেন কী কারণে বারবার লাইফবোট দুর্ঘটনা ঘটছে, আর কীভাবে ঘটছে।
পর্যালোচনায় যেসব ফলাফল উঠে এসেছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দুর্ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে মানুষ দায়ী নয়, ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ দুর্ঘটনা যন্ত্রপাতির ত্রুটির কারণে হয়েছে, রিলিজ মেকানিজম ও তার/দড়ির ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে, প্রতি পাঁচটি দুর্ঘটনার একটিতে বোট/ক্রু পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।