সাম্প্রতিক সময়ে গিনি উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে জলদস্যুতা ও অপহরণের ঘটনা কমে যাওয়ায় স্বস্তি পেতে শুরু করেছিলেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সর্বশেষ একটি ঘটনা তাদের আবার নতুন করে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) মধ্য আফ্রিকার দেশ গিনির নিকটবর্তী জলসীমায় অপহরণকারীদের হামলার দুটি ঘটনা ঘটেছে। কাছাকাছি জায়গায় সংঘটিত এই দুই হামলার ঘটনায় অন্তত নয়জন ক্রু অপহৃত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় গিনি উপসাগরে জলদস্যুতা অনেকটাই কমে এসেছিল। কিন্তু এই দুই ঘটনার পর সেখানে জলদস্যু ও অপহরণকারীদের ফের অপতৎপরতা দেখা যেতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনা দুটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে গণমাধ্যমের একটি খবরে জানানো হয়েছে, যে দুটি জাহাজের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তার একটি গত অক্টোবরেও অপহরণকারীদের হামলার শিকার হয়েছিল।
অক্টোবর/নভেম্বর থেকে মার্চ/এপ্রিল- সাধারণত বছরের এই সময়টায় গিনি উপসাগরে জলদস্যুতার ঘটনা বেড়ে যায়। তবে জলদস্যুতা প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াতে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন কর্মসূচি ও অন্তত দুটি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম ফোর্সের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে জলদস্যুদের আক্রমণের প্রবণতা কিছুটা কমেছিল।
গিনি উপসাগরে জলদস্যুতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে গত মে মাসে বাল্টিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম কাউন্সিলের (বিমকো) উদ্যোগে গ্রহণ করা হয় গালফ অব গিনি ডিক্লারেশন অন সাপ্রেশন অব পাইরেসি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারী অংশীজনের সংখ্যা বাড়ছে।
সমুদ্র নিরাপত্তায় বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে নাইজেরিয়া। গত জুনে নাইজেরিয়ার সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থা নিমাসার অধীনে যাত্রা হয়েছে ডিপ ব্লু প্রজেক্টের। এই প্রকল্পের অধীনে দুটি স্পেশাল মিশন প্যাট্রল বোট, তিনটি স্পেশাল মিশন হেলিকপ্টার, দুটি লাইট মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্রাফট ও চারটি আনম্যানড এয়ার ভেসেল যুক্ত হয়েছে সমুদ্র নজরদারিতে।