আগামী ১৪ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩৬ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল’ নামক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মূলত বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষমতা, ক্রমবর্ধমান আরএমজি (তৈরি পোশাক) চাহিদা ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে ১৯১টি দেশের মধ্যে সামনের সারির দিকে থাকবে বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ৪২তম অবস্থানে রয়েছে। আগামী বছরেই এক ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ ৪১তম অবস্থান অর্জন করবে বলে প্রতিবেদনটিতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ২০২৬ সাল নাগাদ গিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান গিয়ে দাঁড়াবে ৩৪তম স্থানে এবং ২০৩৬ সালে পৌঁছাবে ২৪তম অবস্থানে। এর আগে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৮তম এবং ২০১১ এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ যথাক্রমে ৫৯তম এবং ৪৬তম অবস্থানে ছিল।
প্রতিবেদনটিতে দেখানো হয়েছে, বিগত বছরগুলো থেকে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জিডিপির তুলনায় ঋণের পরিমাণ কম ছিল। চলতি বছরে বাংলাদেশ যেভাবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতি সামাল দিয়েছে তার প্রশংসা করেছে সিইবিআর।
প্রতিবেদনে অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং স্থির মূল্যে জিডিপি আকার ৮৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত উন্নতির এই ধারা বজায় থাকবে বলেও প্রতিবেদনটিতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ ৩২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পরেই তৃতীয় অবস্থান দখল করে আছে পাকিস্তান। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ ও ভুটান।