নৌপথ ও বাণিজ্য প্রটোকলের (পিআইডব্লিউটিঅ্যান্ডটি) আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করছে। এসব জাহাজে ফ্ল্যাই অ্যাশসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবাহিত হয়ে থাকে। দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী বেশিরভাগ জাহাজই বাংলাদেশের মালিকানাধীন। এখন পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে দুদেশের নৌরুটে যাত্রীরা অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারবেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলটি বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর স্বাক্ষর করেন। এরপর থেকে দুদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন চলছে। এতে সড়কের ওপর চাপ কমছে। এখন নৌপথে পর্যটকরা যেতে পারবেন। করোনার কারণে প্যাসেঞ্জার ক্রুজশিপ পুরো চালু করা যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নৌপথে পর্যটকরা যেতে পারবেন। এভাবে ভারতসহ পার্শ্ববর্তী অন্য দেশেও নৌপথে পর্যটকদের যাতায়াতের সুযোগ তৈরি হবে।
দুদেশের মধ্যে নৌযোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে নৌবাণিজ্য ও ট্রানজিট সম্পর্কিত প্রটোকলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অভ্যন্তরীণ নৌরুট ও পোর্টস অব কল বৃদ্ধি করে অভ্যন্তরীণ নৌযোগাযোগ জোরদারের বিষয়ে সম্প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উভয় দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌযান বা পর্যটন জাহাজসেবা চালুর। প্যাসেঞ্জার অ্যান্ড ক্রুজ সার্ভিসেস অন দ্য কোস্টাল অ্যান্ড প্রটোকল রুট নামে একটি এমওইউ ও এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে নৌযানের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্যিক পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্য ১০টি সুনির্দিষ্ট নৌপথ আছে।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তির অনুসরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলটি ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর স্বাক্ষর করেন। ১৯৭২ সাল থেকে প্রটোকলটি দ্বিপক্ষীয় সভা ও নবায়নের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে কার্যকর আছে।