করোনার প্রকোপ কম থাকা ও স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা বাড়তে থাকায় আমদানি বেড়েছে, যা রাজস্ব আদায়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ বা প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে শুল্ক আদায়ে। আলোচ্য সময়ে এককভাবে কাস্টমস ডিউটি আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয় প্রায় ২০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আমদানি বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
এনবিআরের তৈরি করা প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, গত ছয় মাসে এনবিআরের আওতাধীন অফিসগুলো আদায় করেছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে কাস্টমস ডিউটি ছাড়াও ভ্যাট ও আয়কর আদায় বেড়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক ৫৪ ও ১৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
গত বছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ শতাংশেরও কম। আলোচ্য সময়ে কাস্টমস ডিউটি, ভ্যাট ও আয়কর আদায়ে প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৭৭, ১ দশমিক ১৬ ও ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। সে তুলনায় প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় কম হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
দেশের আদায়কৃত শুল্কের বেশিরভাগই আসে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বেনাপোল কাস্টম হাউসের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রতি জ্বালানির তেলসহ বেশকিছু বাণিজ্যিক পণ্য ও কাঁচামালের বাড়তি দাম এবং জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধিও শুল্ক আদায় বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।