বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অনুকরণীয় হওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের অবদানই বেশি। দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে, তা টেকসই করতে ব্যবসার সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। সে জন্য একক পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে পণ্যের বহুমুখীকরণ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (সিআইডি) মধ্যে সিআইপি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালে রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৩৮ জন ব্যবসায়ীকে (রপ্তানি) সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের ওই সময়ের পরিচালনা পর্ষদের ৩৮ জনকে সিআইপি কার্ড (ট্রেড) দেওয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী সবার হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন।
দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সরকার সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী এই ব্যক্তিদের সিআইপি নির্বাচিত করেছে। নির্বাচিত ব্যক্তিরা (রপ্তানি) আগামী এক বছরের জন্য সব ধরনের সিআইপি সুবিধা ভোগ করবেন। এক বছর পার হওয়ার পরে পরবর্তী বছর সিআইপি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের মেয়াদ থাকবে। তবে এফবিসিসিআই থেকে নির্বাচিত সিআইপিদের মেয়াদ তাঁদের সংগঠনের পদে বহাল থাকা অথবা পরবর্তী সিআইপি ঘোষণা, যেটি আগে হয়, সে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সে জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনাম থেকে ব্যবসা স্থানান্তর হচ্ছে। বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে চীন থেকেও অনেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে চাই। যারা অন্যত্র চলে যাচ্ছে, তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে।’
বাণিজ্যসচিব বলেন, ২০২০ সালে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছিল, করোনায় বাংলাদেশে ২০ লাখ মানুষ মারা যাবে। কিন্তু তাদের তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের পরিশ্রমের ফলে করোনাতেও অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো করেছে। সরকার রপ্তানি বহুমুখীকরণে জোর দিচ্ছে বলে জানান তিনি।