সমুদ্রপথে মোটরগাড়ি পরিবহনকারী চার শীর্ষ জাপানি কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনের প্রমান পেয়েছে ভারতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় কোম্পানিগুলোকে মোট প্রায় ৮৫ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
সংঘবদ্ধভাবে পণ্য বা সেবার মূল্য বৃদ্ধিসহ অন্যান্য অনৈতিক ও প্রতিযোগিতাবিরোধী চর্চা প্রতিরোধের লক্ষ্যে কম্পিটিশন অ্যাক্ট চালু রয়েছে ভারতে। জাপানের শীর্ষ চার কার ক্যারিয়ার এনওয়াইকে লাইন, কে-লাইন, এমওএল ও নিসান মোটর কার ক্যারিয়ার কোম্পানির (এনএমসিসি) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এই আইন লঙ্ঘনের প্রমান পেয়েছে কম্পিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া (সিসিআই)।
কমিশন বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কোম্পানিগুলো সংঘবদ্ধভাবে ভাড়া বাড়ানোসহ প্রতিযোগিতাবিরোধী অন্যান্য কাজ করেছে। এ কারণে কোম্পানিগুলোকে মোটা অংকের জরিমানার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহীদের এই অনৈতিক চর্চা অনুসরণের জন্য ভর্ৎসনা করেছে কমিশন।
এনওয়াইকে, কে-লাইন, এমওএল ও এনএমসিসির এ ধরনের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া এই প্রথম নয়। এর আগেও কোম্পানিগুলো একই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য দেশে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
চারটি কোম্পানিই জরিমানার পরিমাণ কমানোর জন্য সিসিআইয়ের কাছে আবেদন করেছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন শেষ পর্যন্ত সম্মিলিতভাবে জরিমানার পরিমাণ ৮৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারে নামিয়ে এনেছে।
সিসিআই সবচেয়ে বেশি জরিমানা করেছে এনএমসিসিকে। তাদের জরিমানার পরিমাণ প্রায় ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার। তাদের জরিমানা ৩০ শতাংশ কমিয়েছে কমিশন। এরপর বেশি জরিমানা গুনতে হচ্ছে কে-লাইনকে (৩২ লাখ ৪০ হাজার ডলার)। ৫০ শতাংশ কমানোর পর ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে এমওএলকে। তবে পর্যালোচনার পর এনওয়াইকের জরিমানা শতভাগ মওকুফ করেছে সিসিআই।
শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি কমিশন কোম্পানিগুলোকে ভবিষ্যতে যেকোনো প্রতিযোগিতাবিরোধী অনৈতিক চর্চা অবলম্বন থেকে বিরত থাকা এবং সেবাগ্রহীতাকে এই ধরনের চুক্তি করতে বাধ্য না করার নির্দেশ দিয়েছে।



