‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই অগ্রগতির গর্বিত অংশীদার চট্টগ্রাম বন্দর। বাংলাদেশের মোট আমদানি-রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয় দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর দিয়ে। দেশের বাণিজ্যের স্বর্ণদ্বারখ্যাত এই বন্দর দীর্ঘদিন পর্যন্ত সমুদ্র পরিবহন সচল রাখার গুরু দায়িত্ব একাই পালন করছে। বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল কার্যক্রম ছাড়া সমাজ তথা দেশের উন্নয়ন সাধন সম্ভব নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ ও তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শতভাগ অটোমেশনের বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
৫০টি মডিউল তৈরির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরকে শতভাগ ডিজিটালাইজ করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা ডিজিটাইলাইজেশনের সুফল পেতে শুরু করেছেন। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার, ডিজিটাল গেট ফি, ভিটিএমআইএস, সিটিএমএস, ডিজিটাল এক্সেস কন্ট্রোল, ডিজিটাল পেমেন্ট, অনলাইন ভেসেল বিলিং সিস্টেম, অনলাইন শিপিং এজেন্ট বিলিং সিস্টেম, অনলাইন বার্থিং সিস্টেম, পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (পিএমআইএস), হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এইচএমএস), ডিফারেন্সিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (ডিজিপিএস), ট্রেনিং সিম্যুলেটর, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম, অনলাইন রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম, ক্রুঅ্যান্ড ভেসেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ফিক্সড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, জিসিবি, পানগাঁও ও ঢাকা আইসিডির কর্মকা-ের কম্পিউটারাইজেশন, লিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে আধুনিকায়ন এবং দ্রুত ও সহজে সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়োগপ্রার্থীরা ঘরে বসে বিভিন্ন পদে নিয়োগের আবেদন করছেন এবং পরীক্ষার আগে অনলাইন থেকেই তাদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। ই-জিপির মাধ্যমে বন্দরের ঠিকাদাররা তাদের টেন্ডার জমা দিচ্ছেন ও বন্দরের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছেন। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের বন্দর ব্যবহারকারীরা একই জায়গায় সকল সেবা ও সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন। অন্যান্য সার্ভিস নিয়ে সম্পূর্ণ অটোমেশন চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও গতিশীলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
গত ১ ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে স্বয়ংক্রিয় ডেলিভারি পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম বন্দর বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ছাড়ে অনলাইন ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) পদ্ধতি চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেলিভারি পদ্ধতি চালু হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ছয়টি শিপিং লাইন এই পদ্ধতিতে কাজ করছে, ক্রমান্বয়ে সব শিপিং লাইনের জন্য এই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ছাড়ের ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতি অর্থাৎ ডকুমেন্ট নিয়ে সরাসরি গিয়ে আবেদন এবং অনুমতি নিতে হতো। এতে প্রচুর সময়ক্ষেপণ হতো, ভোগান্তি হতো। বিশেষ করে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন কিংবা অফিস সময়ের পর এই ডেলিভারি অর্ডার নিতে বড় জটিলতায় পড়তে হতো। নতুন এই পদ্ধতি চালু হলে পুরনো পদ্ধতির অবসান হবে। ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে কাগজপত্র জাল করে বন্দর থেকে পণ্য ছাড় নেওয়া বন্ধ হবে; একই সাথে পণ্যছাড়ের অনুমতি পেতে সময়ও সাশ্রয় হবে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবাসমূহ
অনলাইন ভেসেল বিলিং সিস্টেম
● ভেসেল বিল আদায় সহজীকরণ হয়েছে।
● ভেসেল বিলিংয়ের তথ্য দেশে-বিদেশে অনলাইনে পাঠানো যাচ্ছে।
● অনলাইন বিল সম্পর্কে আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে।
● ভেসেলের বিল আদায়ে সময় কমছে।
● বিল আদায়ে জটিলতা হ্রাস পেয়েছে।
● চবকের রাজস্ব দ্রুততার সাথে আদায় করা যাচ্ছে।
অনলাইন শিপিং এজেন্ট বিলিং সিস্টেম
● কনটেইনার বিলিং সহজ হয়েছে।
● কনটেইনার বিলিংয়ের তথ্য শিপিং এজেন্টদের অনলাইনে পাঠানো যাচ্ছে।
● বিল সম্পর্কে যেকোনো আপত্তি উত্থাপন ও নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে।
● বিল আদায়ে সময় কমেছে।
● চবকের রাজস্ব দ্রুততার সাথে আদায় করা যাচ্ছে।
অনলাইন বার্থিং সিস্টেম
● বার্থিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়করণ হয়েছে।
● বহির্নোঙরে জাহাজ আসার পর বন্দর সহজেই জানতে পারছে।
● কখন, কোন বার্থে জাহাজটি ভিড়বে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে।
● বন্দরের পাইলট জাহাজে ওঠার সময় নির্ধারণ করা যাচ্ছে।
● গতানুগতিক বার্থিং মিটিংয়ের সময় কমেছে।
● পরবর্তী দিনের বার্থিং শিডিউলের পূর্বপরিকল্পনা করা যাচ্ছে।
ভেহিকল কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ভিসিএমএস)
● জেটি এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে।
● ভেহিকলের অটো শিডিউলিং করা যাচ্ছে।
● পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে বিল আদায় করা যাচ্ছে।
● কিপ ডাউনের তথ্য অনলাইনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের এসএমএসের মাধ্যমে জানানো যাচ্ছে।
হাউস এলটমেন্ট সিস্টেম
● অনলাইনে বাসা বরাদ্দের আবেদন করা যাবে।
● বাসা বরাদ্দের প্রক্রিয়া সহজতর হয়েছে।
● বাসা বরাদ্দে সময় কম লাগছে।
● বরাদ্দের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে।
● বন্দর প্রশাসনের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার
● সকল স্টেকহোল্ডারের সাথে বন্দরকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
● বিবিধ তথ্য, নথি এবং অর্থের দ্রুত আদান-প্রদান করা যাচ্ছে ।
● অনলাইনে কাস্টমসের বকেয়ার তথ্য জানা যাচ্ছে।
● কনটেইনার ও জাহাজের যাবতীয় বিলসহ অন্যান্য বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে।
● পোর্ট ট্রেড অটোমেশন সিস্টেমের সিঙ্গেল ইলেকট্রনিক উইন্ডো ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাসমূহ নিশ্চিত হচ্ছে।
● কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের সাথে কানেক্টিভিটি স্থাপন করা হয়েছে।
● কাস্টমস কর্তৃক পণ্যছাড়ের তথ্য অনলাইনে পাঠানো সম্পন্ন হচ্ছে।
● অনলাইনে চবকের চার্জ আদায়ের ব্যবস্থা হয়েছে।
● কনটেইনারের যাবতীয় তথ্য বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ হয়েছে।

কনটেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিটিএমএস)
● স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কনটেইনার অপারেশন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
● এ পদ্ধতিতে বন্দরে আগত ও নির্গত কনটেইনার পরিকল্পিতভাবে জাহাজ থেকে লোড-আনলোড, ইয়ার্ডে স্থানান্তর, স্ট্যাকিং, ট্র্যাকিং, ডেলিভারি গেট কন্ট্রোল ও অনলাইন বিলিং সম্পাদনের মাধ্যমে পরিচালনা করা যাচ্ছে।
● বন্দরে জাহাজ আগমন-নির্গমণের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্থিংয়ের সময়সূচি এবং বার্থ বরাদ্দ নির্ধারণ করা যাচ্ছে।
● আমদানির ক্ষেত্রে জাহাজের প্রোফাইল স্টোরেজ প্ল্যান এবং শুল্ক বিভাগ থেকে আইজিএম ইডিআইয়ের মাধ্যমে বন্দরের কাছে প্রেরণ করা যাচ্ছে।
● রপ্তানির ক্ষেত্রে এক্সেল-ইডিআই এর মাধ্যমে প্রি-অ্যাডভাইস অনলাইনে গ্রহণ করে সিটিএমএস প্রক্রিয়াকরণ হয়েছে।
● কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট অপারেটর, ইয়ার্ড সুপাভাইজর ও জাহাজের হ্যাজ ক্লার্ক, ভেহিকল, মাউন্ট টার্মিনাল ও হ্যান্ড হেল্ড টার্মিনালের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম সম্পাদন করা যাচ্ছে।
● কনটেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতিসমূহের অনেক অপচয় ঘণ্টা কমে গিয়ে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।
● জাহাজের গড় অবস্থানকাল (টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম) কমে বার্থ প্রডাক্টিভিটি ও বার্থ অকাপেন্সি সর্বোত্তম মাত্রায় রয়েছে, ফলে আমদানিকারকদের জাহাজের অবস্থান ব্যয় হ্রাস ও আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।
গ্রিভ্যান্স রিড্রেস সিস্টেম
● প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা আরও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বন্দরের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গ্রিভেন্স রিড্রেস সিস্টেম।
ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস)
● ভিটিএমআইএস সিস্টেমে সন্নিবেশিত হয়েছে ৪টি শক্তিশালী রাডার, ৮টি ইনফ্রারেড ডে নাইট ক্যামেরা, এআইএস, ভিএইচএফ ইত্যাদি।
● কর্ণফুলী নদী শাহ্ আমানত ব্রিজ থেকে সমুদ্রের দিকে ২০ নটিকেল মাইল পর্যন্ত এলাকা এ প্রযুক্তির আওতাভুক্ত হয়েছে।
● চট্টগ্রাম বন্দরের নৌচলাচল পরিচালনা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে।
● জাহাজ পরিচালনায় নিয়োজিত পাইলটদের নিরাপদ নেভিগেশন বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান সম্ভব হচ্ছে।
● সর্বোপরি পাইরেসি নিয়ন্ত্রণে আরও নির্ভরযোগ্য এবং তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভবপর হয়েছে।
পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (পিএমআইএস)
● চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট জনশক্তির সকল ব্যক্তিগণ ও প্রশাসনিক তথ্য-উপাত্ত জমা রাখা ও সেগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা যাচ্ছে।
● বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতন এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি যেমন প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ-সিপিএফ), হাউস বিল্ডিং লোন ডেটাবেজে সংরক্ষণ হচ্ছে।
হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এইচএমএস)
● চবক হাসপাতালে দৈনন্দিন কার্যক্রম ডেটাবেজভুক্ত করায় আউটডোর বা ইনডোর চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর সংখ্যা, প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে রোগীদের দেওয়া ওষুধের পরিমাণসহ বিস্তারিত তথ্যাদি জানা সম্ভব হচ্ছে।
● চিকিৎসা-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংরক্ষিত থাকায় এবং রোগীর পূর্বকার রেকর্ড দেখে চিকিৎসা দেওয়ার ফলে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার উন্নতি হচ্ছে।
ডিফারেন্সিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (ডিজিপিএস)
● সার্ভে কাজে নিখুঁত তথ্যের জন্য ২০০২ সাল থেকে হাইড্রোগ্রাফি বিভাগে ডিজিপিএস সংযোজন।
● সকল আবহাওয়ায় সার্ভেযোগ্য এবং ২৪ ঘণ্টা অপারেশনযোগ্য।
● ওয়াইড রেঞ্জে ব্যবহারযোগ্য।
● আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সকল হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভের কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পাদন।
● জরিপ চার্ট ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রকাশ।

জিসিবি, পানগাঁও ও ঢাকা আইসিডির কর্মকা-ের কম্পিউটারাইজেশন
● পানগাঁও আইসিটির কনটেইনার ধারণক্ষমতা ১ দশমিক ৮৯ লাখ টিইইউ।
● এই টার্মিনালে কম্পিউটারাইজড ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
● পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে।
● ঢাকা আইসিডি ও চট্টগ্রামের জিসিবিতেও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু হয়েছে।
ট্রেনিং সিম্যুলেটর
● কনটেইনার হ্যান্ডলিং দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ইকুইপমেন্ট সিম্যুলেটর স্থাপন হয়েছে।
● এটি শক্তিশালী কম্পিউটারচালিত ট্রেনিং সুবিধা চালু হয়েছে।
● সিম্যুলেটরের মাধ্যমে শিপ টু শোর গ্যান্ট্রি ক্রেনের ওপর পরিচালনা প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাবে।
● বাস্তব ইকুইপমেন্টের তুলনায় ৭৫ শতাংশ কম খরচ।
● কম সময়ে দক্ষ জনশক্তি গড়তে সিম্যুলেটরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চবক অটোমেশন সার্ভিস
● চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করার লক্ষ্যে অটোমেশন সার্ভিস চালুর প্রক্রিয়া চলমান।
ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম
● চট্টগ্রাম বন্দরের সকল প্রকার বিলিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং আয়-ব্যয় হিসাব সংরক্ষণ করা যাবে।
অনলাইন রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম
● চট্টগ্রাম বন্দরের সকল শ্রেণির পদে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পাদন করা যাচ্ছে।
লিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
● বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল প্রকার ছুটির আবেদন ও মঞ্জুর প্রক্রিয়া সহজভাবে সম্পাদন করা যাবে।
বাজেট মনিটরিং সিস্টেম
● চট্টগ্রাম বন্দরের সকল প্রকার ব্যয়ের খাতওয়ারি বার্ষিক বরাদ্দসাপেক্ষে আর্থিক অনুমোদন ও ব্যবস্থাপনা করা যাবে।
ক্রু অ্যান্ড ভেসেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
● চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ জাহাজ এবং জাহাজে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ।
ফিক্সড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
● চট্টগ্রাম বন্দরের সকল প্রকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিবরণী ও হিসাব সংরক্ষণ করা যাবে।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন ২০২১’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং শতবর্ষ-মেয়াদি ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছেন। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা এসব মহাপরিকল্পনার উদ্দেশ্য। দেশের জনগণ ইতোমধ্যে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার সুফল পেতে শুরু করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় শামিল হতে পেরে চট্টগ্রাম বন্দর গর্বিত। উন্নত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই যাত্রায় সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।