গিনি উপসাগরে সম্প্রতি একটি বাল্কারে জলদস্যুদের অপতৎপরতা প্রতিহত করেছে ইতালীয় নৌবাহিনীর ফ্রিগেট লুইগি রিজ্জো। উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফ্রিগেটটি সেখানে টহল দিচ্ছিল।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে ইতালীয় নৌবাহিনী এই অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩ এপ্রিল নাইজেরিয়ার লাগো থেকে আনুমানিক ৩০০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে অবস্থানরত বাল্কার আর্চ গ্যাব্রিয়েলের কাছ থেকে একটি সাহায্যবার্তা পায় লুইগি রিজ্জো। এই বার্তায় জানানো হয়, জলদস্যুরা বাল্কারটিতে আরোহন করেছে এবং ক্রুরা জাহাজটির সিটাডালে আশ্রয় নিয়েছেন।

লুইগি রিজ্জো এ সময় বাল্কারটি থেকে আনুমানিক ২৮০ মাইল দূরে অবস্থান করছিল। বার্তা পেয়েই ফ্রিগেটটি দ্রুত ঘটনাস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করে। ৪ এপ্রিল ঊষালগ্নে লুইগি রিজ্জো বাল্কারটির অনতিদূরের অবস্থানে পৌঁছালে সেটি থেকে একটি হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করে এবং বাল্কারকে ঘিরে চক্কর দিতে দিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।
দুপুর নাগাদ লুইগি রিজ্জো বাল্কারটির কাছে পৌঁছায় এবং জাহাজটির ডেকে কোনো সশস্ত্র জলদস্যু কিংবা এর আশেপাশে জলদস্যুদের কোনো নৌকা রয়েছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এরপর হেলিকপ্টার থেকে ইতালীয় নৌবাহিনীর মেরিনা স্যান মার্কো ব্রিগেডের সদস্যরা বাল্কারটিতে আরোহন করে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন এবং সিটাডাল থেকে ক্রুদের উদ্ধার করেন। এ সময় বাল্কারটিতে কোনো জলদস্যু ছিল না। লুইগি রিজ্জোর অভিযান শুরুর পর তারা জাহাজ থেকে নেমে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রিগেটটি কেবল আর্চ গ্যাব্রিয়েলকে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তই করেনি, বরং জাহাজটিকে নিকটবর্তী একটি অ্যাংকরেজে নিরাপদে পৌঁছেও দিয়েছে।
২০১৭ সালে ইতালীয় নৌবাহিনীতে কমিশনকৃত ১৪৬ ফুট দীর্ঘ লুইগি রিজ্জো অপারেশন গ্যাবিনিয়ার অংশ হিসেবে গিনি উপসাগরে টহল দিচ্ছে। আগামী জুন পর্যন্ত ফ্রিগেটটির সেখানে থাকার কথা রয়েছে।