বে টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি টার্মিনালের কাজ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা তিন থেকে চারগুণ বাড়বে

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেছেন, বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যাবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর হবে সাব রিজিওনাল হাব।

বন্দর দিবসের আগেরদিন রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন । প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল বন্দর দিবস উদযাপন করা হয়।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, এখন আমরা কলম্বো, পোর্ট ক্ল্যাং ও সিঙ্গাপুর বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। মাতারবাড়ি টার্মিনাল হলে তখন আর অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না আমাদের।

তিনি বলেন, বে টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতা) জাহাজ ভিড়বে। মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্রবন্দরে ১৮ মিটার ড্রাফট ও ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ঢুকতে পারবে। এসব জাহাজে ১০ থেকে ১২ হাজার টিইইউএস কনটেইনার পরিবহন করা যাবে।

প্রকল্প দুটির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পর্কে রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২৮৩ একর জমি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজের জন্য দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করা হবে।

এছাড়া বে টার্মিনালের জন্য প্রকল্পের ৬৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ৮০৩ একর জমি নামমাত্র মূল্যে বন্দরের অনুকূলে বরাদ্দ দিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বন্দর চেয়ারম্যানের বক্তব্যের পর বন্দরের কার্গো, কনটেইনার ও জাহাজ হ্যান্ডলিং এবং উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম।

মতবিনিময়কালে বন্দরের সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানসহ বন্দরের পরিচালকগণ, সচিব, বিভাগীয় প্রধান ও উপ-বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here