গত বছর বিশ্বে জাহাজনির্মাণ শিল্পে যে জোয়ার দেখা গিয়েছিল, বর্তমানে তা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। তবে বাস্তবে দেখা গেল, বছরের প্রথম চার মাসে কোরিয়া মন্দার কবলে পড়েনি। বরং এ সময়ে তাদের জাহাজনির্মাণের কার্যাদেশ ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
ক্লার্কসন রিসার্চ সার্ভিসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিকভাবে এপ্রিলে জাহাজনির্মাণ কার্যাদেশ কিছুটা কমেছে। গত মাসে মোট ৭১টি জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ এসেছে, যার সম্মিলিত ধারণক্ষমতা ২৫ লাখ ১০ হাজার গ্রস টন। এই শিল্পে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া এখনও আধিপত্য ধরে রেখেছে।
কাতারের কাছ থেকে বড় আকারের এলএনজি ক্যারিয়ার নির্মাণের কার্যাদেশ বেশি পাওয়ায় এপ্রিলে গ্রস টনের ভিত্তিতে চীনের বাজার অংশীদারিত্ব দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় দ্বিগুণে উন্নীত হয়েছে। গত মাসে দেশটি মোট ১৫ লাখ ৪০ হাজার গ্রস টনের ৪৫টি জাহাজের কার্যাদেশ পেয়েছে। আর দক্ষিণ কোরিয়া পেয়েছে ৮ লাখ ২০ হাজার গ্রস টনের ১৬টি জাহাজের কার্যাদেশ।
বৈশ্বিকভাবে কার্যাদেশ কিছুটা কমলেও চলতি বছরের প্রথম চার মাসে কোরীয় জাহাজনির্মাতারা ২০২১ সালের তুলনায় ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখেছে। আলোচ্য সময়ে দেশটি মোট ৫৮ লাখ ১০ হাজার গ্রস টন ধারণক্ষমতার নতুন জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েছে, যা বৈশ্বিক বাজারের ৪৬ শতাংশ।