আগামী সোমবার থেকে পাম তেলের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পাম তেল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল রপ্তানিকারক এই দেশ গত ২৮ এপ্রিল অপরিশোধিত পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতেই পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইন্দোনেশিয়া।
এক ভিডিও বার্তায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পাম তেল সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি। এপ্রিলের শেষ দিকে নিষেধাজ্ঞার আগে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ছিল ১৯ হাজার ৮০০ রুপি। নিষেধাজ্ঞার পর তেলের দাম কমে ১৭ হাজার ২০০ রুপিতে নেমে এসেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় বাজারে অন্যান্য ভোজ্যতেলের দামও মানুষের নাগালে চলে আসবে বলে জানান জোকো। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের ফলে ইউক্রেন থেকে সূর্যমুখী তেল রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে রাশিয়াও কোনো তেল রপ্তানি করতে পারছে না। ফলে বিশ্ববাজারে তেলের ব্যাপক সংকট তৈরি। ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞা ভোজ্যতেলের সেই সংকট আরও ঘনীভূত করে।
আন্তর্জাতিক ভোজ্যতেলের বাজারের এক-তৃতীয়াংশ পাম তেলের দখলে, আর বিশ্বের মোট পাম তেল সরবরাহের ৬০ শতাংশই আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে।