বে টার্মিনাল: দুই কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের চুক্তি আজ

বে টার্মিনাল প্রকল্প এলাকা

চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রাধিকার প্রকল্প বে টার্মিনাল প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান, ডিটেইল ড্রয়িং ডিজাইন ও নির্মাণ কাজ সুপারভিশন করতে বন্দরের সাথে দুটি কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (৩১ মে)। কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড এবং ডাইয়াং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সাথে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই চুক্তি অনুষ্ঠিত হবে।

চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।

চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠান দুটি বে টার্মিনালের ডিটেইল ড্রয়িং ডিজাইন, টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরি এবং নির্মাণ কাজের সুপারভিশন করবে। প্রতিষ্ঠান দুটি প্রথম ধাপে ৬ মাসে ডিটেইল ড্রয়িং ডিজাইন করবে। পরবর্তী আড়াই বছর নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধান করবে। এসব কাজের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যয় হবে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৬ টাকা।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়।

প্রকল্পের আওতায় মোট ৩টি টার্মিনাল নির্মিত হবে। এর মধ্যে একটি নির্মিত ও পরিচালিত হবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে। বাকি দুটি টর্মিনাল পিপিপি ভিত্তিতে বিদেশি বিনিয়োগে নির্মাণ করা হবে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৯ মিটার গভীরতা ও ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের চেয়ে বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। বে টার্মিনালে ভিড়তে পারবে ১২ মিটার গভীরতা ও ২৮০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের জাহাজ। ভেড়ানোর ক্ষেত্রে জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করতে হবেনা।

এখন বন্দরে জোয়ার-ভাটার ওপর ভিত্তি করে জাহাজগুলো জেটিতে ভেড়ে। বে টার্মিনালে দিনে-রাতে জাহাজ জেটিতে ভিড়তে ও ছেড়ে যেতে পারবে। জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করতে হবেনা। এতে পণ্য পরিবহন খরচ ও প্রচুর সময় সাশ্রয় হবে। চ্যানেলের প্রশস্ততা রয়েছে সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ মিটার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here