২০৫০ সাল নাগাদ নিঃসরণ অর্ধেক কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না

নরডিক ওয়েস্ট অফিসের গবেষণা প্রতিবেদন

২০৫০ সাল নাগাদ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ ৫০ শতাংশ কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও), বৈশ্বিক সমুদ্র শিল্প তা অর্জনের পথে নেই। পরামর্শক সংস্থা ও থিংক ট্যাংক নরডিক ওয়েস্ট অফিসের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্র শিল্পে বর্তমানে যেসব উদ্যোগ চলমান রয়েছে, তাতে নিঃসরণের পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব হতে পারে। তবে এর জন্য আরও কয়েক দশক অতিরিক্ত সময় লেগে যাবে।

এই প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে হ্যাপাগ-লয়েড, কার্নিভাল, ওয়ার্ল্ড ওশান কাউন্সিলের মতো প্রতিষ্ঠানের মতামতকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র শিল্প কতটা সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরিত হতে পারে, তিনটি প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে সেই বিষয়টিও পর্যালোচনা করেছেন গবেষকরা। এই তিনটি প্রেক্ষাপট প্রণয়ন করেছে ব্রিটিশ বহুজাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানি শেল। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আরও সক্রিয় উদ্যোগ ও আরও বেশি সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইএমওর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

নরডিক ওয়েস্ট অফিস বলেছে, নিঃসরণ কমানোর কার্যক্রমে কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে। এই প্রচেষ্টার পালে হাওয়া দিতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারক, জাহাজ মালিক, বিনিয়োগকারী, জ্বালানি সরবরাহকারী, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে সেই ঘাটতিগুলো দূর করতে হবে।

গবেষণায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে, সেটি হলো সবুজ জ্বালানির সাপ্লাই চেইন গড়ে তোলা, যার জন্য বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। এর পাশাপাশি জাস্ট ইন-টাইম অ্যারাইভাল, উইন্ড-অ্যাসিস্টেড প্রপালশন, কার্যকর রুট নির্ধারণের মতো বিষয়গুলোর ওপরও জোর দিতে হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here