করোনাজনিত স্থবিরতা কাটিয়ে সবার আগে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে হাঁটতে শুরু করেছিল যে দেশ, সেটি হলো চীন। প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরেছে দেশটির রপ্তানি। অবশ্য রপ্তানির তুলনায় আমদানি প্রবৃদ্ধির গতি এখনও শ্লথ। ফলে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ক্রমেই বাড়ছে। জুনে এই উদ্বৃত্ত ৯ হাজার ৭৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। মে মাসে এর পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলার।
কাস্টমস ডাটা অনুসারে, জুনে চীনের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ১২০ কোটি ডলার, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে জুনে আমদানি ১ শতাংশ বেড়ে ২৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আলোচ্য সময়ে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বছরওয়ারি বেড়েছে ৯০ শতাংশ।
লকডাউনের স্থবিরতা কাটিয়ে বিশ্বের ব্যস্ততম সমুদ্র বন্দর সাংহাইয়ে পণ্য হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ার কারণে কর্তৃপক্ষ শহরটিতে লকডাউন আরোপ করায় দুই মাসের জন্য বাণিজ্যের গতি ধীর হয়ে পড়েছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের রপ্তানির ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যা বছরওয়ারি ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশটিতে পণ্য আমদানি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার। জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত এক বছর আগের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ১৪০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) চীনের রপ্তানি ১৭ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে জুনে ৫ হাজার ৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে ইইউ চীন থেকে পণ্য আমদানি করেছে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের, যা বছরওয়ারি ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। ইইউর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৬৫ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।