ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকে অস্থিতিশীল রয়েছে জ্বালানির বাজার। কয়েক মাস ধরে নিম্নমুখী ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময়মূল্য। এ অবস্থায় আমদানিতে আরও বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে জাপানকে। ফলে চলতি বছরের প্রথমার্ধে রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির বাণিজ্য ঘটাতি। অর্ধবার্ষিক হিসাবে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জাপানের রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি থাকল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে জাপানের আমদানি ব্যয় ছিল ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার কোটি ইয়েন (৩৯ হাজার কোটি ডলার)। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৩৮ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি ১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার কোটি ইয়েনে (৩৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার)। এ হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি ইয়েন (৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার)। এর আগে ছয় মাসে জাপানের সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতির রেকর্ড ছিল ২০১৪ সালের প্রথমার্ধে ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি ইয়েন।
জুনে জাপানের আমদানি ব্যয় ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। গত মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি ইয়েনে (১ হাজার কোটি ডলার), যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। এ নিয়ে টানা ১১ মাস দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
দেশভিত্তিক হিসাবে গত মাসে চীন থেকে জাপানের আমদানি বছরওয়ারি ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে রপ্তানি বেড়েছে ৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ২৫ শতাংশ ও দেশটিতে রপ্তানি ১৫ শতাংশ বেড়েছে।