দেশীয় চাহিদা পূরণে ঘাটতির কারণ দেখিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইন্দোনেশিয়া। অবশ্য এবারের নিষেধাজ্ঞা সর্বব্যাপী নয়, আংশিক। নির্দিষ্ট কয়েকটি মাইনারের ক্ষেত্রে নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ইন্দোনেশিয়া এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ নিল, যখন ইউরোপের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) এখন বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় বিশ্বের শীর্ষ কয়লা রপ্তানিকারক দেশটির নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিতভাবেই তাদের কপালে চিন্তার রেখা বাড়িয়ে দেবে। পাশাপাশি কয়লা আমদানিকারক অন্যান্য দেশকেও বিপাকে পড়তে হতে পারে এর কারণে।
সম্প্রতি নতুন সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার ২৫ শতাংশ স্থানীয় বাজারে বিক্রির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মোট ৭১টি খনি এই শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৮টির ক্ষেত্রে এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
ইন্দোনেশীয় সরকার জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ২৫ শতাংশের এই বাধ্যবাধকতা আরোপ করা অপরিহার্য ছিল। দেশটির জ্বালানির অন্যতম প্রাথমিক উৎস এই কয়লা।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে সব ধরনের থার্মাল কয়লা রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল ইন্দোনেশিয়া। সে সময় সরকার জানিয়েছিল, দেশটির ২০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার মজুদ কমে গেছে, যার ফলে প্রায় ১ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ হুমকির মুখে পড়ে গেছে।