চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ছাড়ে শতভাগ অনলাইন ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) পদ্ধতি চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ছয়টি শিপিং লাইনের মাধ্যমে এই পদ্ধতি চালু হয়েছিল; এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলেও ১ নভেম্বর থেকে এই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আগে বন্দর থেকে পণ্য ছাড়ের ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতি অর্থাৎ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি গিয়ে আবেদন এবং অনুমতি নিতে হতো। নতুন পদ্ধতি চালুর ফলে সময় সাশ্রয় হচ্ছে।
অনলাইনে এই পদ্ধতি চালু করতে এরই মধ্যে একটি পোর্টাল তৈরি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই পোর্টালে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, শিপিং এজেন্টকে লগইন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জাহাজ থেকে নামানো পণ্য বন্দর থেকে ছাড়ের আগে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ প্রথমে ‘পোর্ট কমিউনিটি সিস্টেম’ পোর্টালে লগইন করে ইলেকট্রনিক ডেলিভারি অর্ডার (ইডিও) পেতে আবেদন করবে; একই সঙ্গে সেই আবেদনের তথ্য শিপিং লাইন ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারকে অবহিত করবে। এরপর জাহাজের মেইন লাইন অপারেটর বা শিপিং লাইন একই পোর্টালে লগইন করে চালানের বিপরীতে মাসুল আদায় করবে। এরপর এই আবেদন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারকে পাঠাবেন এবং নির্ধারিত সময় উল্লেখ করবে। পরবর্তী সময়ে ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারও একইভাবে লগইন করে নিজেদের মাসুল আদায় করে, সেই ডেলিভারি অর্ডার পোর্টালে আপলোড করবে। এরপর বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার ডেলিভারি অর্ডার যাচাই করবে এবং অনুমোদন দেবে। ডেলিভারি অর্ডার নেওয়ার পুরো কাজটি করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
প্রতিদিন বন্দর থেকে পাঁচ হাজার একক কনটেইনার ডেলিভারি হয়, ফলে ডেলিভারি পদ্ধতি অনেক বেশি নিরবচ্ছিন্ন এবং গতিশীল হবে। আর ডিজিটাল বন্দর হিসেবে আরও একধাপ এগুলো দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর।