চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো লিমিটেডের আমদানি-রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনা পুরোদমে শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণের প্রায় পাঁচ মাস পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেওয়ায় গত সপ্তাহ থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করেছে ডিপো কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনার পর ডিপো ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি ও খালি কনটেইনার সংরক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর ডিপো পরিচালনাকারীরা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে। এরপর গত ২২ আগস্ট শুধু খালি কনটেইনার সংরক্ষণের অনুমোদন দেয় কাস্টমস। গত ২৫ অক্টোবর ৯ শর্তে পোশাকপণ্য রপ্তানি কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হয়। শর্ত পরিপালন করায় গত ৭ নভেম্বর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে শুরুর অনুমোদন পায় এই ডিপো।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসংক্রান্ত চিঠি অনুযায়ী, বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া যে ৩৮ ধরনের পণ্য ডিপোতে খালাস বাধ্যতামূলক, সেগুলো ব্যবস্থাপনা করতে পারবে এই ডিপো। একইভাবে লাইসেন্স অনুযায়ী রপ্তানি পণ্যও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে। তবে বিএম ডিপো রাসায়নিক পণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অনুমোদন না নেওয়ায় এ ধরণের পণ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারবে না।
গত ৪ জুন রাতে বিএম ডিপোতে আগুন থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ ৫১ ব্যক্তি নিহত হন, আহত হন দুই শতাধিক। বিস্ফোরণে ডিপোর একাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দুর্ঘটনায় রপ্তানি পণ্যবাহী ১৫৪ কনটেইনার ও আমদানি পণ্যবাহী দুটি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।