নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মেগা প্রকল্প মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র টার্মিনাল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রবিবার সমুদ্রপথে কমিটির সদস্যগণ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শনে যান। সংসদীয় কমিটির নেতৃত্ব দেন সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এ সময় সাথে ছিলেন।
মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না হলে এত উন্নয়ন প্রকল্প, মহাযজ্ঞ হতো না। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রকল্পগুলোর তিনটি ভাগ করেছেন। তহবিলের সমস্যা হবে না।
তিনি আরও বলেন, করোনার মধ্যেও কাজ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজ শেষ হবে আশা করি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন হয়ে গেছে। মাতারবাড়ী বন্দরের সঙ্গে রেললাইন যুক্ত হবে।
কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়লা রাখার জায়গা কাভার্ড এরিয়ায় থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশে আছে।
পিসিটি দ্রুত চালুর জন্য মন্ত্রণালয়কে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বিশ্বে ব্রান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের বন্দর দিয়ে বাংলাদেশকে রিজিওনাল হাব করতে চাই। বিগ বি ইনিশিয়েটিভের বড় অংশ মাতারবাড়ি। বিশ্বে এক নামে পরিচিত হবে। মাদার ভেসেল আসবে। প্রতিবেশী দেশের বন্দরগুলো এ বন্দরের সেবা পাবে।
তিনি বলেন, রেনাং পোর্টসহ তিনটি দেশের সঙ্গে কোস্টাল শিপিং চুক্তি হয়েছে। ইতালি ও সাংহাইয়ের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হয়েছে। আরও অনেক পোর্টে সরাসরি জাহাজ চলাচল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশকে রিজিওনাল হাব করতে এসব করা হচ্ছে।