ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর

৭ ই মার্চের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ  উপলক্ষে আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান । এ সময় বন্দরের পর্ষদ সদস্যগণ, বিভাগীয় প্রধান, উপ-বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সিবিএ নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ কেবল মুখনিঃসৃত শব্দরাজি নয়, বঞ্চিত বাঙালি জাতির হাজার বছরের চাপা পড়া কষ্ট একসাথে ধ্বনিত হয়েছে। স্বতস্ফূর্ত আবেগ এবং কাঙ্খিত স্বপ্নকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ বাঙালিকে দিয়েছে পথের দিশা, যুদ্ধে যাওয়ার অমিত সাহসী প্রেরণা। তাই ৭ই মার্চের ভাষণের বহুমাত্রিক তাৎপর্য্ রয়েছে এবং অনুপম একটি বক্তব্য, যা জাতিকে স্বাধীনতার পথে ধাবিত করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই জারগণের ধ্বনি ‘জয়বাংলা আজ বাংলদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

তিনি বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চট্টগ্রাম বন্দরের একটি ঐতিহাসিক সাহসিকতাপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত কর্মকর্তাসহ ২০০ জনের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ও ১০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী শহীদ হন।

তিনি আরও বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্মিলিত চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। বন্দরে  কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যার যার অবস্থান থেকে সংগঠিতভাবে এবং জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাঁর যে দিকনির্দেশনা ও ২০৪১ সালের মধ্যে  উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়া এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটি অনন্য প্লাটফর্ম যেখান থেকে দেশের মানুষের সেবা করতে পারা যায়।

তিনি ৭ ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নিজ নিজ অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে আহবান জানান।

সবশেষে বন্দর চেয়ারম্যান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদ ও ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ।

আলোচনা সভা শেষে বন্দর চেয়ারম্যান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here