কনটেইনার পরিবহন সক্ষমতায় মায়েরস্ককে পেছনে ফেলার পথে সিএমএ সিজিএম

মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি) গত বছরই পেছনে ফেলেছিল, এবার কনটেইনার পরিবহন সক্ষমতার দিক থেকে মায়েরস্ককে টেক্কা দিতে চলেছে ফরাসি শিপিং জায়ান্ট সিএমএ সিজিএম। আলফালাইনারের বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিগগিরই মায়েরস্ককে পেছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কনটেইনার লাইনার হতে যাচ্ছে সিএমএ সিজিএম।

আলফালাইনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মায়েরস্কের বহরে রয়েছে ৬৮২টি জাহাজ, যেগুলোর মোট কনটেইনার পরিবহন সক্ষমতা ৪১ লাখ টিইইউর কিছু বেশি। অন্যদিকে সিএমএ সিজিএমের ৬২৫টি জাহাজ মিলে বর্তমানে প্রায় ৩৫ লাখ টিইইউ কনটেইনার পরিবহন করতে পারে। দুই ও তিন নম্বরে থাকা কোম্পানি দুটিকে অনেকটা পেছনে ফেলে গত দেড় বছর শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে এমএসসি। বর্তমানে তাদের জাহাজ রয়েছে ৭৭০টি, যেগুলোর সম্মিলিত পরিবহন সক্ষমতা ৫২ লাখ টিইইউ কনটেইনার।

গত বছরের জানুয়ারিতে মায়েরস্ককে পেছনে ফেলে কনটেইনার পরিবহন খাতের শীর্ষস্থান দখল করে এমএসসি। আসলে মায়েরস্ক এখন তাদের বহরের আকার বাড়ানোর চেয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ লজিস্টিকস কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে গত দেড় বছরে তাদের বহর ও পরিবহন সক্ষমতা না বেড়ে উল্টো কমেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাদের জাহাজ ছিল ৭৩৮টি। কনটেইনার পরিবহন সক্ষমতা ছিল প্রায় ৪৩ লাখ টিইইউ।

এদিকে সিএমএ সিজিএম তাদের বহর সম্প্রসারণের ওপর বেশ জোর দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা নতুন যেসব জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ দিয়ে রেখেছে, সেগুলোর সম্মিলিত সক্ষমতা বিদ্যমান ফ্লিট ক্যাপাসিটির প্রায় ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আলফালাইনার জানিয়েছে, কনটেইনার পরিবহন সক্ষমতা ১০ লাখ টিইইউ থেকে ২০ লাখ টিইইউতে নিয়ে যেতে সাত বছর সময় লেগেছিল সিএমএ সিজিএমের। অথচ বর্তমানে তাদের অর্ডারবুকে রয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার টিইইউ, যেগুলো ২০২৬ সাল নাগাদ হস্তান্তর হওয়ার কথা। অর্থাৎ মাত্র তিন বছরের কম সময়ের মধ্যেই ১০ লাখ টিইইউর বেশি সক্ষমতা যোগ করতে যাচ্ছে তারা। এর মধ্যে আগামী দেড় বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ মোট ৫ লাখ টিইইউ সক্ষমতার কনটেইনার জাহাজ কোম্পানিটির বহরে যোগ হবে বলে আলফালাইনার জানিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here