ভারতের কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি পোর্ট অভিমুখী একটি কনটেইনার জাহাজ সম্প্রতি হাওড়ার নিকটবর্তী স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হুগলি নদীর তীরে আঘাত হানে ও নদীর তলদেশের মাটিতে আটকে যায়। অবশ্য ওইদিনই জোয়ার এলে জাহাজটি নিজ শক্তিতেই মুক্ত হয়ে পানিতে ভাসতে সমর্থ হয়। পরে জাহাজটিকে নিকটবর্তী একটি ডকইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার এমটিটি শিপিং পরিচালিত জাহাজটির নাম এমটিটি সিঙ্গাপুর। ১০ হাজার ৩০০ ডেডওয়েট টনের জাহাজটি মোট ৬৫৩ টিইইউ কনটেইনার পরিবহনে সক্ষম। অবশ্য দুর্ঘটনার সময় ২৭ বছরের পুরনো জাহাজটিতে ৩৩৮ টিইইউ কনটেইনার ছিল বলে ভারতের বন্দর, নৌ-পরিবহন ও জলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মালয়েশিয়ায় নিবন্ধিত জাহাজটিতে ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার নাগরিক ২০ জন ক্রু ছিলেন। তারা কেউ হতাহত হননি বলে মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

ঠিক কি কারণে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল, সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হুগলি নদীতে অন্য একটি জাহাজকে অতিক্রম করার সময় অথবা সেটির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে এমটিটি সিঙ্গাপুর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে। দুর্ঘটনার পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাহাজের মাস্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয় সব কনটেইনার যেন ভালোভাবে আটকানো থাকে, তা নিশ্চিত করতে। কোনো কনটেইনার যেন পানিতে পড়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই আদেশ দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার কারণে তেল নিঃসরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া জাহাজটিকে উদ্ধারের জন্য একাধিক টাগবোট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে জোয়ারের পানি এলে জাহজটি নিজ শক্তিতেই মুক্ত হয়ে যায়। পরে সেটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কেদারপুরের নেতাজি সুভাষ ডকে নেওয়া হয়।