চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বৈশ্বিক বাণিজ্য মাঝারি গতিতে বাড়তে পারে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এ কথা জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমোডিটির উচ্চমূল্য, দুর্বল আর্থিক অবস্থা ও আমদানি চাহিদার মন্দার মতো বিষয়গুলোর কারণে বিশ্ববাণিজ্য প্রত্যাশিত গতিতে বাড়তে পারছে না।
বাণিজ্যের গতিধারা বিশ্লেষণের জন্য পিরিওডিক গুডস ব্যারোমিটার পদ্ধতি ব্যবহার করে ডব্লিউটিও। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকের জন্য এই ব্যারোমিটারের মান ৯৯ দশমিক ১ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। সংস্থাটি দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) জন্য ব্যারোমিটার হিসাব করেছিল গত মে মাসে, যেখানে এর মান ছিল ৯৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট। সাধারণত পিরিওডিক গুডস ব্যারোমিটারের মান ১০০ পয়েন্ট স্পর্শ করলে ধরে নেওয়া হয় যে, মধ্যমেয়াদি ধারা বজায় রেখে পরবর্তী প্রান্তিকে বৈশ্বিক বাণিজ্যের আকার বাড়বে।
সার্বিকভাবে ২০২৩ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যে ১ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে ডব্লিউটিওর। জেনেভাভিত্তিক সংস্থাটি বলছে, কিছু চাপ থাকলেও এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। তবে তার জন্য বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাণিজ্য প্রত্যাশিত মাত্রায় গতিশীল থাকতে হবে।
ডব্লিউটিওর পূর্বাভাস আশাব্যঞ্জক হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্থনৈতিক নির্দেশকে মন্দার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অর্থনীতি বিশ্লেষকদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বন্দর লস অ্যাঞ্জেলেস দিয়ে পণ্য পরিবহন কমেছে বছরওয়ারি ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এদিকে মায়েরস্ক, সিএমএ সিজিএমের মতো শিপিং জায়ান্টরা এরই মধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে যে, চলতি বছরের বাকি সময়টায় বৈশ্বিক বাণিজ্য খানিকটা চাপের মধ্যে থাকতে পারে।